ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ভারতে বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ শীর্ষক অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে করা সংবাদটিতে বলা হয়েছে, দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে এমন একটি অধ্যায় যুক্ত করেছে।
দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা প্রতিবেদনগুলোর শিরোনাম ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছেন।এ ছাড়া স্যাটায়ার ভিত্তিক ফেসবুক পেজ ইয়ার্কি ডটকমও দেশীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ব্যবহার করে ভারতে বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের অধ্যায় যুক্ত করা নিয়ে ফটোকার্ড পোস্ট করেছে।
পেজটিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ঘটে যাওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের বই ছেঁড়ার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে লেখা হয়েছে, ‘বইটি যেখানেই পাবেন ৮০ টাকা দিয়ে কিনবেন। এরপর বইয়ের এই অধ্যায়টি ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। এরপর বইটি আবার দোকানদারকে ফেরত দেবেন। একজন দার্শনিক হিসেবে এই কথাটি আসিফ মাহতাব উৎস বলেননি।’
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের কোনো অধ্যায় যুক্ত করেছে কি না যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্টের ফ্যাক্টচেকিং বিভাগ ওয়েবকুফ গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ভাইরাল বইটির সঙ্গে সিবিএসইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এই অধ্যায়যুক্ত বইটি মূলত জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।
এই প্রতিবেদন সূত্রে সিবিএসইয়ের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে গত ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) পোস্ট করা একটি টুইট পাওয়া যায়।
টুইটটিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সিবিএসই কর্তৃক দেশটির নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের অধ্যায় যুক্ত করা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভুল ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সিবিএসইয়ের বলে দাবি করা বইয়ের অধ্যায়টি মূলত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ নামের একটি বইয়ের। বইটি গগণ দীপ কৌর নামে একজন লেখকের লেখা। এটি শিক্ষামূলক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড থেকে প্রকাশিত। সিবিএসই কোনো বই প্রকাশ করে না এবং কোনো বেসরকারি প্রকাশকদের বই সুপারিশ করে না।
বইটি প্রসঙ্গে জানতে ওয়েবকুফ জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক টেনসি মঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়েবকুফ। তিনি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাটিকে নিশ্চিত করেন, ভাইরাল অধ্যায়টি তাঁদের প্রকাশনী থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রকাশিত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইয়ের।
এ ছাড়া জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেডও তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে গত ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) এক টুইটে জানায়, ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইটি তাদেরই প্রকাশনা। এই বইয়ের সঙ্গে সিবিএসই এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেইনিংয়ের (এনসিইআরটি) কোনো সম্পর্ক নেই।’
অর্থাৎ এটি স্পষ্ট যে, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের কোনো অধ্যায় যুক্ত করেনি। সিবিএসই কোনো বই প্রকাশ করে না এবং কোনো বেসরকারি প্রকাশকদের বইও সুপারিশ করে না। ভাইরাল অধ্যায়টি মূলত দেশটির জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইয়ের অংশ। ভারতের মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলো কোনো ধরনের যাচাই–বাছাই ছাড়াই খবরটি প্রকাশ করেছে। আর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও সেসব ইংরেজি প্রতিবেদনের বাংলা অনুবাদ ছেপেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ভারতে বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ শীর্ষক অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে করা সংবাদটিতে বলা হয়েছে, দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে এমন একটি অধ্যায় যুক্ত করেছে।
দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা প্রতিবেদনগুলোর শিরোনাম ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছেন।এ ছাড়া স্যাটায়ার ভিত্তিক ফেসবুক পেজ ইয়ার্কি ডটকমও দেশীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ব্যবহার করে ভারতে বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের অধ্যায় যুক্ত করা নিয়ে ফটোকার্ড পোস্ট করেছে।
পেজটিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ঘটে যাওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের বই ছেঁড়ার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে লেখা হয়েছে, ‘বইটি যেখানেই পাবেন ৮০ টাকা দিয়ে কিনবেন। এরপর বইয়ের এই অধ্যায়টি ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। এরপর বইটি আবার দোকানদারকে ফেরত দেবেন। একজন দার্শনিক হিসেবে এই কথাটি আসিফ মাহতাব উৎস বলেননি।’
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের কোনো অধ্যায় যুক্ত করেছে কি না যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্টের ফ্যাক্টচেকিং বিভাগ ওয়েবকুফ গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ভাইরাল বইটির সঙ্গে সিবিএসইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এই অধ্যায়যুক্ত বইটি মূলত জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।
এই প্রতিবেদন সূত্রে সিবিএসইয়ের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে গত ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) পোস্ট করা একটি টুইট পাওয়া যায়।
টুইটটিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সিবিএসই কর্তৃক দেশটির নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের অধ্যায় যুক্ত করা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভুল ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সিবিএসইয়ের বলে দাবি করা বইয়ের অধ্যায়টি মূলত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ নামের একটি বইয়ের। বইটি গগণ দীপ কৌর নামে একজন লেখকের লেখা। এটি শিক্ষামূলক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড থেকে প্রকাশিত। সিবিএসই কোনো বই প্রকাশ করে না এবং কোনো বেসরকারি প্রকাশকদের বই সুপারিশ করে না।
বইটি প্রসঙ্গে জানতে ওয়েবকুফ জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক টেনসি মঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়েবকুফ। তিনি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাটিকে নিশ্চিত করেন, ভাইরাল অধ্যায়টি তাঁদের প্রকাশনী থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রকাশিত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইয়ের।
এ ছাড়া জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেডও তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে গত ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) এক টুইটে জানায়, ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইটি তাদেরই প্রকাশনা। এই বইয়ের সঙ্গে সিবিএসই এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেইনিংয়ের (এনসিইআরটি) কোনো সম্পর্ক নেই।’
অর্থাৎ এটি স্পষ্ট যে, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের কোনো অধ্যায় যুক্ত করেনি। সিবিএসই কোনো বই প্রকাশ করে না এবং কোনো বেসরকারি প্রকাশকদের বইও সুপারিশ করে না। ভাইরাল অধ্যায়টি মূলত দেশটির জি রাম বুকস (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে একটি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ‘অ্যা গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ বইয়ের অংশ। ভারতের মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলো কোনো ধরনের যাচাই–বাছাই ছাড়াই খবরটি প্রকাশ করেছে। আর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও সেসব ইংরেজি প্রতিবেদনের বাংলা অনুবাদ ছেপেছে।
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৮ দিন আগেরাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
২১ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২৯ জুন ২০২৫