ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
হামাস–ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে কোকাকোলা, পেপসিসহ বিভিন্ন পণ্য বয়কটের ডাক পুরোনো খবর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে এসব পণ্য বয়কটের ক্যাম্পেইন। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কদিন ধরে কোমলপানীয় কোকাকোলা, পেপসি মুসলমানদের জন্য হারাম দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রথিতযশা ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খুল ইসলাম মুফতি ত্বকী উসমানী এই ফতোয়া দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ‘Boycutt Indian Products’ নামের প্রায় এক লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে এমন তথ্য সংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয় ‘ভালোবাসা বৃষ্টির গহীনে’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। গত এপ্রিলেও একই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়। ‘আব্দুল্লাহ ইয়াকুব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ১১ এপ্রিল মুফতি ত্বকী উসমানীর ছবি ব্যবহার করে কথিত ফতোয়াটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ৮০০ শেয়ার হয়েছে। একই ফতোয়া এপ্রিলে উর্দু ভাষাতেও ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত হয়েছে।
মুফতি ত্বকী উসমানী কি এমন ফতোয়া দিয়েছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘Urdu News India’ নামের একটি ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ এপ্রিল পোস্ট করা ভিডিওতে ফতোয়াটি উল্লেখ করা হয়। তবে সূত্র হিসেবে দেখানো হয় উর্দুতে লেখা একটি ফটোকার্ড। কোনো সংবাদমাধ্যমে মুফতি ত্বকী উসমানীর ‘পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম’ ফতোয়া দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই ত্বকী উসমানীর মতো প্রথিতযশা কোনো আলেম এমন ফতোয়া দিয়ে থাকলে তা সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন হতো।
‘QAFILA E HAQ’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ এপ্রিল এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটিতে মুফতি ত্বকী উসমানীর এমন ফতোয়া দেওয়ার সত্যা–সত্য যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। তারাও বলেছে, দাবিটির পক্ষে সত্যতা মেলেনি।
মুফতি ত্বকী ওসমানীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ফতোয়া বিভাগে খুঁজেও এমন কোনো ফতোয়া পাওয়া যায়নি। এই ওয়েবসাইটে ত্বকী ওসমানীর ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টের লিংক দেওয়া রয়েছে।
অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৩ এপ্রিল পোস্ট করা একটি টুইট পাওয়া যায়। উর্দু ভাষায় দেওয়া টুইটটিতে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুফতি ত্বকী উসমানীকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা হচ্ছে। এগুলো সরাসরি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট অথবা আমার ওয়েবসাইট অথবা দারুল উলুমের ফতোয়া বিভাগ থেকে আমার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি থেকে নেওয়া হয়নি। যদি কোনো বিবৃতিতে ত্বকী উসমানীর স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে সেটি ‘ভুয়া’ হিসেবে ধরে নিতে হবে। অনেকে পয়সা কামানোর জন্য এগুলো করছে।
এই টুইটের বরাত দিয়ে ‘QAFILA E HAQ’ ইউটিউব চ্যানেলটি একই দিনে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানায়, পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম ঘোষণার কোনো ফতোয়া মুফতি ত্বকী উসমানী দেননি।
মুফতি ত্বকী উসমানী ‘পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম’ ফতোয়া দিয়েছেন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফটোকার্ড প্রচারের সময় এবং ত্বকী উসমানীর টুইটটির সময় থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, ভাইরাল ফতোয়াটি ভিত্তিহীন।
পেপসি, কোকাকোলা কী হারাম?
এমন প্রশ্নে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বলা হয়, যদি এসব পানীয়তে কোনো হারাম বস্তু না থাকে তাহলে এগুলো পান করা, ক্রয়–বিক্রয় করা বৈধ।
হামাস–ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে কোকাকোলা, পেপসিসহ বিভিন্ন পণ্য বয়কটের ডাক পুরোনো খবর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে এসব পণ্য বয়কটের ক্যাম্পেইন। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কদিন ধরে কোমলপানীয় কোকাকোলা, পেপসি মুসলমানদের জন্য হারাম দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রথিতযশা ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খুল ইসলাম মুফতি ত্বকী উসমানী এই ফতোয়া দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ‘Boycutt Indian Products’ নামের প্রায় এক লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে এমন তথ্য সংবলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয় ‘ভালোবাসা বৃষ্টির গহীনে’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। গত এপ্রিলেও একই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়। ‘আব্দুল্লাহ ইয়াকুব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ১১ এপ্রিল মুফতি ত্বকী উসমানীর ছবি ব্যবহার করে কথিত ফতোয়াটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ৮০০ শেয়ার হয়েছে। একই ফতোয়া এপ্রিলে উর্দু ভাষাতেও ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত হয়েছে।
মুফতি ত্বকী উসমানী কি এমন ফতোয়া দিয়েছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘Urdu News India’ নামের একটি ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ এপ্রিল পোস্ট করা ভিডিওতে ফতোয়াটি উল্লেখ করা হয়। তবে সূত্র হিসেবে দেখানো হয় উর্দুতে লেখা একটি ফটোকার্ড। কোনো সংবাদমাধ্যমে মুফতি ত্বকী উসমানীর ‘পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম’ ফতোয়া দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই ত্বকী উসমানীর মতো প্রথিতযশা কোনো আলেম এমন ফতোয়া দিয়ে থাকলে তা সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন হতো।
‘QAFILA E HAQ’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ এপ্রিল এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটিতে মুফতি ত্বকী উসমানীর এমন ফতোয়া দেওয়ার সত্যা–সত্য যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। তারাও বলেছে, দাবিটির পক্ষে সত্যতা মেলেনি।
মুফতি ত্বকী ওসমানীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ফতোয়া বিভাগে খুঁজেও এমন কোনো ফতোয়া পাওয়া যায়নি। এই ওয়েবসাইটে ত্বকী ওসমানীর ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টের লিংক দেওয়া রয়েছে।
অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৩ এপ্রিল পোস্ট করা একটি টুইট পাওয়া যায়। উর্দু ভাষায় দেওয়া টুইটটিতে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুফতি ত্বকী উসমানীকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা হচ্ছে। এগুলো সরাসরি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট অথবা আমার ওয়েবসাইট অথবা দারুল উলুমের ফতোয়া বিভাগ থেকে আমার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি থেকে নেওয়া হয়নি। যদি কোনো বিবৃতিতে ত্বকী উসমানীর স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে সেটি ‘ভুয়া’ হিসেবে ধরে নিতে হবে। অনেকে পয়সা কামানোর জন্য এগুলো করছে।
এই টুইটের বরাত দিয়ে ‘QAFILA E HAQ’ ইউটিউব চ্যানেলটি একই দিনে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানায়, পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম ঘোষণার কোনো ফতোয়া মুফতি ত্বকী উসমানী দেননি।
মুফতি ত্বকী উসমানী ‘পেপসি, কোকাকোলা মুসলমানদের জন্য হারাম’ ফতোয়া দিয়েছেন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফটোকার্ড প্রচারের সময় এবং ত্বকী উসমানীর টুইটটির সময় থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, ভাইরাল ফতোয়াটি ভিত্তিহীন।
পেপসি, কোকাকোলা কী হারাম?
এমন প্রশ্নে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বলা হয়, যদি এসব পানীয়তে কোনো হারাম বস্তু না থাকে তাহলে এগুলো পান করা, ক্রয়–বিক্রয় করা বৈধ।
চাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৬ মিনিট আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
১৯ ঘণ্টা আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাকির টাকা চাওয়ায় চায়ের দোকানিকে ছাত্রদল নেতা ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগে