ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ট্রেনের কোচের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীদের ওপর পাথর ছোড়া থেকে রক্ষার জন্য জানালায় নেট লাগানো হয়েছে। ফেসবুকের কয়েক শ পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে ছবিটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘ট্রেনের নতুন লুক, ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
পোস্টগুলোতে ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী দ্রুতযান/একতা এক্সপ্রেসের একটি কোচের অংশবিশেষের ছবি দেখানো হয়েছে। যাত্রীসহ ট্রেনের জানালায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি জানালা নেট দিয়ে ঢাকা। ছবির নিচের দিকে ভ্রমণ ইনফো নামে একটি ওয়েবসাইটের নাম লেখা হয়েছে। যদিও ভ্রমণ ইনফো ডটকমে এবং তাদের ফেসবুকে পেজে গিয়ে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেশ কিছু ফেসবুক পেজে ছবিটি আপলোড করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর সিদ্ধান্তটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার! এতে শুধু পাথর নিক্ষেপ না; জানালা থেকে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ছিনতাই, অবৈধ যাত্রী প্রবেশ এবং যন্ত্রাংশ চুরিও একই সঙ্গে বন্ধ হবে বলে আমরা যাত্রীরা আশাবাদী। ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের টুলস ব্যবহার করে মূল ছবিটি দ্রুতযান এক্সপ্রেসের উইকিপিডিয়া পেজে খুঁজে পাওয়া যায়। মূল ছবিতে জানালায় কোনো নেট দেখা যাচ্ছে না। ট্রেনের জানালায় যাত্রীসহ অন্য সবকিছু একই রকম। অর্থাৎ, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের এই ছবি সম্পাদনা করে সম্প্রতি ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর সিদ্ধান্ত কি হয়েছে?
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনাটি বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায়। গত ১৬ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আজমির ইসলাম নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এর আগে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে ভাটিয়ারি এলাকায় চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে নিহত হন প্রকৌশলী প্রীতি দাশ (২৪)।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘ছুটে আসে আতঙ্ক’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এতে সাড়ে ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ট্রেন চালক হিসেবে কাজ করা সহকারী লোকোমাস্টার মো. কাওছার আহমেদের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে ভৈরব স্টেশনে ঢোকার আগে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে ঢুকে পড়ে কাওছারের চোখে। দ্রুত ট্রেন থামিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকার একটি হাসপাতালে। এ ঘটনায় তাঁর চোখ নষ্ট না হলেও একটা স্থায়ী আতঙ্ক কিন্তু তাঁর মধ্যে বাসা বেঁধেছে।
গত ৬ অক্টোবর একই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দ্য ডেইলি স্টারেও। সেখানেও নীলফামারির চোখ হারানো ওই শিশুর কথা উল্লেখ করা হয়। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। এসব ঘটনায় রেলের ক্ষতির পাশাপাশি আহত হয়েছেন ২৯ জন।
৩ অক্টোবরের ওই সংবাদ সম্মেলনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও কোচের জানালায় নেট লাগানোর কথাও বলেন রেলমন্ত্রী।
গত ১১ অক্টোবর থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। প্রচারের অংশ হিসেবে তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুরে রেলস্টেশনের আশপাশের মানুষকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এর আগে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারী সম্পর্কে তথ্য দিলে কিংবা ধরিয়ে দিলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর কথা ভাবছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।’
সিদ্ধান্ত
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা মোকাবিলা করতে ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর বিষয়টি পরিকল্পনায় থাকলেও এখনো সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ফেসবুকে ট্রেনের জানালায় নেট লাগানো ভাইরাল ছবিটি পুরোনো। সম্পাদনা করে ট্রেনের জানালায় নেট যোগ করে ‘ট্রেনের নতুন লুক (চেহারা)’ বলে দাবি করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ট্রেনের কোচের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীদের ওপর পাথর ছোড়া থেকে রক্ষার জন্য জানালায় নেট লাগানো হয়েছে। ফেসবুকের কয়েক শ পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে ছবিটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘ট্রেনের নতুন লুক, ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
পোস্টগুলোতে ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী দ্রুতযান/একতা এক্সপ্রেসের একটি কোচের অংশবিশেষের ছবি দেখানো হয়েছে। যাত্রীসহ ট্রেনের জানালায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি জানালা নেট দিয়ে ঢাকা। ছবির নিচের দিকে ভ্রমণ ইনফো নামে একটি ওয়েবসাইটের নাম লেখা হয়েছে। যদিও ভ্রমণ ইনফো ডটকমে এবং তাদের ফেসবুকে পেজে গিয়ে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেশ কিছু ফেসবুক পেজে ছবিটি আপলোড করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর সিদ্ধান্তটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার! এতে শুধু পাথর নিক্ষেপ না; জানালা থেকে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ছিনতাই, অবৈধ যাত্রী প্রবেশ এবং যন্ত্রাংশ চুরিও একই সঙ্গে বন্ধ হবে বলে আমরা যাত্রীরা আশাবাদী। ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের টুলস ব্যবহার করে মূল ছবিটি দ্রুতযান এক্সপ্রেসের উইকিপিডিয়া পেজে খুঁজে পাওয়া যায়। মূল ছবিতে জানালায় কোনো নেট দেখা যাচ্ছে না। ট্রেনের জানালায় যাত্রীসহ অন্য সবকিছু একই রকম। অর্থাৎ, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের এই ছবি সম্পাদনা করে সম্প্রতি ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর সিদ্ধান্ত কি হয়েছে?
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনাটি বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায়। গত ১৬ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আজমির ইসলাম নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এর আগে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে ভাটিয়ারি এলাকায় চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে নিহত হন প্রকৌশলী প্রীতি দাশ (২৪)।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘ছুটে আসে আতঙ্ক’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এতে সাড়ে ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ট্রেন চালক হিসেবে কাজ করা সহকারী লোকোমাস্টার মো. কাওছার আহমেদের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে ভৈরব স্টেশনে ঢোকার আগে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে ঢুকে পড়ে কাওছারের চোখে। দ্রুত ট্রেন থামিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকার একটি হাসপাতালে। এ ঘটনায় তাঁর চোখ নষ্ট না হলেও একটা স্থায়ী আতঙ্ক কিন্তু তাঁর মধ্যে বাসা বেঁধেছে।
গত ৬ অক্টোবর একই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দ্য ডেইলি স্টারেও। সেখানেও নীলফামারির চোখ হারানো ওই শিশুর কথা উল্লেখ করা হয়। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। এসব ঘটনায় রেলের ক্ষতির পাশাপাশি আহত হয়েছেন ২৯ জন।
৩ অক্টোবরের ওই সংবাদ সম্মেলনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও কোচের জানালায় নেট লাগানোর কথাও বলেন রেলমন্ত্রী।
গত ১১ অক্টোবর থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। প্রচারের অংশ হিসেবে তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুরে রেলস্টেশনের আশপাশের মানুষকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এর আগে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারী সম্পর্কে তথ্য দিলে কিংবা ধরিয়ে দিলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর কথা ভাবছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।’
সিদ্ধান্ত
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা মোকাবিলা করতে ট্রেনের জানালায় নেট লাগানোর বিষয়টি পরিকল্পনায় থাকলেও এখনো সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ফেসবুকে ট্রেনের জানালায় নেট লাগানো ভাইরাল ছবিটি পুরোনো। সম্পাদনা করে ট্রেনের জানালায় নেট যোগ করে ‘ট্রেনের নতুন লুক (চেহারা)’ বলে দাবি করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে