ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি শিশুর ছবি পোষ্ট করে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তাসমিয়া নাম দাবি করা ওই শিশুর চিকিৎসায় সাহায্য চেয়ে পোস্ট করা ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
ফ্যাক্টচেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেসবুকে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, কয়েক হাজার আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই তথ্য এবং ওই শিশুর ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, মো. রহিম ইসলামের ওই শিশুসন্তান পঞ্চগড়ের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
দাবি করা হচ্ছে, শিশু তাসমিয়ার লিভার ৯৫ শতাংশ নষ্ট। অপারেশন করলে সুস্থ হয়ে যাবে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের তাঁদের ধর্মীয় রীতির কথা স্মরণ করিয়ে সুকৌশলে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর জন্য মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে গুগলে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, পঞ্চগরের তাসমিয়া নাম দিয়ে যে শিশুর ছবি প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত ভারতের একটি শিশুর ছবি।
ভারতের গণ-অর্থায়ন বিষয়ক ওয়েবসাইট মিলাপ-এ ২০১৮ সালের ২০ জুন শিশুটির ছবি পোস্ট করে অর্থ সাহায্যের আহ্বান করা হয়েছিল। ওই সাহায্যের আবেদনে বলা হয়, ৭ মাস বয়সী কন্যাশিশুটি লিভারের জটিল রোগে ভুগছে।
শিশুটির নাম মানাসবি। তার মায়ের নাম নীলকমল। হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে ১৬ লাখ রুপি প্রয়োজন ছিল। ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি টুইট বার্তায় ১৩৭৮ জন সহায়তাকারীকে ধন্যবাদ জানায় মিলাপ কর্তৃপক্ষ। সে সময় মানাসবির লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
বাংলাদেশে শিশুটির ছবি দিয়ে সাহায্য চেয়ে করা পোস্টগুলোতে যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিতে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগেও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত এরকম প্রতারণামূলক সাহায্যের আবেদন নিয়ে করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নম্বরগুলো বন্ধ। ধারণা করা যায়, প্রতারণার ছলে কেবল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই নম্বরগুলো ব্যবহার করা হয়।
আজকের পত্রিকার পঞ্চগড় প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন যে ওই জেলায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই নামে একটি হাসপাতাল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় অবস্থিত।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে তাসমিয়া নামে পঞ্চগড়ের অসুস্থ শিশুর ছবি দাবিতে যে ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত এক ভারতীয় শিশুর। প্রতারণার উদ্দেশ্যে শিশু ও হাসপাতালের ভুয়া নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি শিশুর ছবি পোষ্ট করে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তাসমিয়া নাম দাবি করা ওই শিশুর চিকিৎসায় সাহায্য চেয়ে পোস্ট করা ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
ফ্যাক্টচেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেসবুকে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, কয়েক হাজার আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই তথ্য এবং ওই শিশুর ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, মো. রহিম ইসলামের ওই শিশুসন্তান পঞ্চগড়ের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
দাবি করা হচ্ছে, শিশু তাসমিয়ার লিভার ৯৫ শতাংশ নষ্ট। অপারেশন করলে সুস্থ হয়ে যাবে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের তাঁদের ধর্মীয় রীতির কথা স্মরণ করিয়ে সুকৌশলে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর জন্য মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে গুগলে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, পঞ্চগরের তাসমিয়া নাম দিয়ে যে শিশুর ছবি প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত ভারতের একটি শিশুর ছবি।
ভারতের গণ-অর্থায়ন বিষয়ক ওয়েবসাইট মিলাপ-এ ২০১৮ সালের ২০ জুন শিশুটির ছবি পোস্ট করে অর্থ সাহায্যের আহ্বান করা হয়েছিল। ওই সাহায্যের আবেদনে বলা হয়, ৭ মাস বয়সী কন্যাশিশুটি লিভারের জটিল রোগে ভুগছে।
শিশুটির নাম মানাসবি। তার মায়ের নাম নীলকমল। হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে ১৬ লাখ রুপি প্রয়োজন ছিল। ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি টুইট বার্তায় ১৩৭৮ জন সহায়তাকারীকে ধন্যবাদ জানায় মিলাপ কর্তৃপক্ষ। সে সময় মানাসবির লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
বাংলাদেশে শিশুটির ছবি দিয়ে সাহায্য চেয়ে করা পোস্টগুলোতে যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিতে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগেও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত এরকম প্রতারণামূলক সাহায্যের আবেদন নিয়ে করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নম্বরগুলো বন্ধ। ধারণা করা যায়, প্রতারণার ছলে কেবল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই নম্বরগুলো ব্যবহার করা হয়।
আজকের পত্রিকার পঞ্চগড় প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন যে ওই জেলায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই নামে একটি হাসপাতাল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় অবস্থিত।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে তাসমিয়া নামে পঞ্চগড়ের অসুস্থ শিশুর ছবি দাবিতে যে ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত এক ভারতীয় শিশুর। প্রতারণার উদ্দেশ্যে শিশু ও হাসপাতালের ভুয়া নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে