ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’-এর একটি পর্বের খণ্ডিত অংশ ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি বরিশাল সদরের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন।
সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ইউএনওর মধ্যে দ্বন্দ্বে আলোচনায় উঠে এসেছে মুনিবুর রহমানের নাম। তালাশ টিম তাঁর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছিল অনেক আগেই- এমন শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিও প্রতিবেদনটি তাই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফ্যাক্টচেক
ভাইরাল ভিডিওর যে অংশটি বরিশালের বর্তমান ইউএনওর দুর্নীতির চিত্র দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত তালাশের ১৯০ তম পর্ব থেকে নেওয়া। তালাশের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট পর্বটি প্রকাশ করা হয়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে তালাশের ওই পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ কোটি ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিলে ইউএনও মুনিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করা হয়। ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মুনিবুর রহমান বরিশাল সদরে ইউএনও হিসেবে যোগ দেন ২০২০ সালের ৪ মে। এর আগে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তালাশে প্রচারিত অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু সে সময়েরই। তবে তালাশের ওই পর্ব যে সময়ে প্রচার করা হয়, তখন তিনি বরিশাল সদরে কর্মরত ছিলেন। ফলে তাঁর সাক্ষাৎকারে পদবির জায়গায় ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল সদর’ উল্লেখ করা হয়। এটিকে আশ্রয় করেই মূল ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তালাশ অনেক আগেই ওই ইউএনওর দুর্নীতি ফাঁস করেছিল।
গত বছরের ওই প্রতিবেদনে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মুনিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নেয় তালাশ টিম। ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত ভিডিওতে তাঁর ওই সাক্ষাৎকারের ফুটেজ থেকে একটি স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। স্ক্রিনশট এবং উপস্থাপকের বক্তব্য এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যেন মনে হবে, ইউএনও-ই এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
মূলত তালাশের ওই পর্বে পটুয়াখালীর তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই উপজেলার ইউএনও ছিলেন মুনিবুর রহমান। তপন কুমার তাঁর স্বাক্ষরই জাল করেছিলেন বলে তালাশের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও তালাশের ব্যাখ্যা
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে গত ২০ আগস্ট তালাশের ফেসবুক পেজে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে লেখা হয়, ‘অনুগ্রহ করে ভুল বুঝবেন না: তালাশের একটি পর্ব ভিডিও এডিট করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফেসবুকে কে বা কাহারা উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে উক্ত পর্বে কোন ইউএনওর দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রচারিত হয় নি। সাইবার সিকিউরিটির সাথে যারা কাজ করেন তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’
ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ বেশকিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক মামলা করেছেন।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। মূল ভিডিওটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রচারিত তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। সেটিই সম্পাদনা করে বরিশাল সদর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন বলে প্রচার করা হচ্ছে।
বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’-এর একটি পর্বের খণ্ডিত অংশ ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি বরিশাল সদরের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন।
সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ইউএনওর মধ্যে দ্বন্দ্বে আলোচনায় উঠে এসেছে মুনিবুর রহমানের নাম। তালাশ টিম তাঁর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছিল অনেক আগেই- এমন শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিও প্রতিবেদনটি তাই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফ্যাক্টচেক
ভাইরাল ভিডিওর যে অংশটি বরিশালের বর্তমান ইউএনওর দুর্নীতির চিত্র দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত তালাশের ১৯০ তম পর্ব থেকে নেওয়া। তালাশের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট পর্বটি প্রকাশ করা হয়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে তালাশের ওই পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ কোটি ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিলে ইউএনও মুনিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করা হয়। ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মুনিবুর রহমান বরিশাল সদরে ইউএনও হিসেবে যোগ দেন ২০২০ সালের ৪ মে। এর আগে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তালাশে প্রচারিত অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু সে সময়েরই। তবে তালাশের ওই পর্ব যে সময়ে প্রচার করা হয়, তখন তিনি বরিশাল সদরে কর্মরত ছিলেন। ফলে তাঁর সাক্ষাৎকারে পদবির জায়গায় ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল সদর’ উল্লেখ করা হয়। এটিকে আশ্রয় করেই মূল ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তালাশ অনেক আগেই ওই ইউএনওর দুর্নীতি ফাঁস করেছিল।
গত বছরের ওই প্রতিবেদনে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মুনিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নেয় তালাশ টিম। ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত ভিডিওতে তাঁর ওই সাক্ষাৎকারের ফুটেজ থেকে একটি স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। স্ক্রিনশট এবং উপস্থাপকের বক্তব্য এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যেন মনে হবে, ইউএনও-ই এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
মূলত তালাশের ওই পর্বে পটুয়াখালীর তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই উপজেলার ইউএনও ছিলেন মুনিবুর রহমান। তপন কুমার তাঁর স্বাক্ষরই জাল করেছিলেন বলে তালাশের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও তালাশের ব্যাখ্যা
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে গত ২০ আগস্ট তালাশের ফেসবুক পেজে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে লেখা হয়, ‘অনুগ্রহ করে ভুল বুঝবেন না: তালাশের একটি পর্ব ভিডিও এডিট করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফেসবুকে কে বা কাহারা উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে উক্ত পর্বে কোন ইউএনওর দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রচারিত হয় নি। সাইবার সিকিউরিটির সাথে যারা কাজ করেন তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’
ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ বেশকিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক মামলা করেছেন।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। মূল ভিডিওটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রচারিত তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। সেটিই সম্পাদনা করে বরিশাল সদর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন বলে প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে