ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি দুটিতে দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক লোক স্লোগান দেওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিক্ষোভ মিছিলের ছবি বলে মনে হচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘আজ নেপাল কে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবীর বুকে এই প্রথম হিন্দু রাষ্ট্র। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যাদের পরিশ্রমে নেপাল আজ হিন্দু রাষ্ট্র। জয় শ্রীরাম’।
ফেসবুকে অন্তত ৫৬টি গ্রুপ ও আইডিতে একই তথ্যসহ ছবি দুটি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্টচেক
প্রথম ছবি: রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, প্রথম ছবিটি দ্য ডিপ্লোম্যাট সাময়িকীর ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রতিবাদে এবং নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ভারতের দিল্লিতে বিক্ষোভ করেন নেপালিরা। সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকেল-এর ওয়েবসাইটেও এই প্রতিবাদ সভার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় ছবি: এ ছবিটি ‘পিপলস রিভিউ’ সাময়িকীর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্র বাদ দিয়ে রাজতন্ত্রে ফেরার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে নেপালে। রাজপরিবারের সমর্থকরা রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিশাল বিক্ষোভ করেন’।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আরও জানা যায়, গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরুর পর নেপালে রাজতন্ত্রের পক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় বাদ দিয়ে নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য কি–ওয়ার্ড সার্চ করে বিভিন্ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র শাসিত নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে গৃহীত সংবিধানে নেপালকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
২০১৫ সালে গৃহীত সংবিধানে প্রথম অধ্যায়ের চার নম্বর ধারায় নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা আছে।
নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় ‘আর হিন্দু রাষ্ট্র থাকছে না নেপাল’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
সিদ্ধান্ত:
ছড়িয়ে পড়া ছবি দুটি পুরোনো এবং প্রকাশিত তথ্যটি অসত্য। নেপাল এখনও ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্রই, ফের হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার তথ্য সঠিক নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি দুটিতে দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক লোক স্লোগান দেওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিক্ষোভ মিছিলের ছবি বলে মনে হচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘আজ নেপাল কে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবীর বুকে এই প্রথম হিন্দু রাষ্ট্র। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যাদের পরিশ্রমে নেপাল আজ হিন্দু রাষ্ট্র। জয় শ্রীরাম’।
ফেসবুকে অন্তত ৫৬টি গ্রুপ ও আইডিতে একই তথ্যসহ ছবি দুটি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্টচেক
প্রথম ছবি: রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, প্রথম ছবিটি দ্য ডিপ্লোম্যাট সাময়িকীর ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রতিবাদে এবং নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ভারতের দিল্লিতে বিক্ষোভ করেন নেপালিরা। সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকেল-এর ওয়েবসাইটেও এই প্রতিবাদ সভার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় ছবি: এ ছবিটি ‘পিপলস রিভিউ’ সাময়িকীর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্র বাদ দিয়ে রাজতন্ত্রে ফেরার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে নেপালে। রাজপরিবারের সমর্থকরা রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিশাল বিক্ষোভ করেন’।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আরও জানা যায়, গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরুর পর নেপালে রাজতন্ত্রের পক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় বাদ দিয়ে নেপালকে আবার হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য কি–ওয়ার্ড সার্চ করে বিভিন্ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র শাসিত নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে গৃহীত সংবিধানে নেপালকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
২০১৫ সালে গৃহীত সংবিধানে প্রথম অধ্যায়ের চার নম্বর ধারায় নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা আছে।
নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় ‘আর হিন্দু রাষ্ট্র থাকছে না নেপাল’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
সিদ্ধান্ত:
ছড়িয়ে পড়া ছবি দুটি পুরোনো এবং প্রকাশিত তথ্যটি অসত্য। নেপাল এখনও ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্রই, ফের হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার তথ্য সঠিক নয়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে