Ajker Patrika

জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন হাজারো কৃষক

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ২০: ৪৮
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন হাজারো কৃষক

চৌধুরী ঘুঘাট খাল পুনঃখননে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার হাজারো কৃষক। সরকারি খাল দখলমুক্ত করে খনন করায় হাজার হাজার একর জমির জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন হবে। এ ছাড়াও এক ফসলি জমি রূপান্তরিত হবে তিন ফসলিতে। এতে বছরে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন।

জানা গেছে, প্রভাবশালীরা করতোয়া নদীর শাখা এই খালটি দখল করে ১৮টি পুকুর খননের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এতে করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় দুই উপজেলার প্রায় তিন হাজার বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া তিন ফসলি জমি পরিণত হয় এক ফসলিতে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খালটি এককালের প্রবহমান খরস্রোতা করতোয়া নদীর শাখা হলেও কালের পরিক্রমায় মরা খালে রূপ নেয়। এটি দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার শত শত হেক্টর জমি জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায়। এ কারণে খালটি উদ্ধারসহ পুনঃখননের দাবিতে আন্দোলনে নামেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, উজানের পানি এ খাল দিয়ে মূল চলনবিলে গিয়ে পড়ার কথা থাকলেও খালটি দখল করে মাছ চাষ করার কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে বিএডিসির প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খালটি পুনঃখনন সম্পন্ন হলে প্রায় ৩৫০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে। সেই সঙ্গে তিন হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা দূর হবে। এতে লাভবান হবেন দুই উপজেলার প্রায় তিন হাজার কৃষক।

এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ উপজেলার আমশড়া গ্রামের কৃষক আরমান হোসেন, সোহরাব আলী ও মেছের আলী জানান, খালটি খনন সম্পন্ন হলে স্থানীয় কৃষকদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এতে জলাবদ্ধতা দূর হবে।

সিরাজগঞ্জ বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মাজুদ আলম বলেন, খননের কাজ সম্পন্ন হলে এক দিকে যেমন জলাবদ্ধতা দূর হবে, তেমনি এক ফসলি জমিতে তিন ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। জাতীয় উৎপাদনে অতিরিক্ত এক হাজার ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ মেট্রিক টন ফসল নতুন করে যোগ হবে।

তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলা অংশে ইতিমধ্যে খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাড়াশ অংশের কাজও সম্পন্ন করা হবে। প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে হলেও কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান সাংসদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত