Ajker Patrika

নির্মাণ শেষ না হতেই ফাটল

আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫২
নির্মাণ শেষ না হতেই ফাটল

নির্মাণকাজ শেষ না হতেই দোয়ারাবাজারে রগার খালের ওপর নির্মিত সেতুর উইং ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কাজের মান তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির বিরুদ্ধে। সেতুটি উদ্বোধনের আগে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান স্থানীয় লোকজন।

এলজিইডির সূত্রমতে, উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর থেকে বাংলাবাজারগামী রাস্তার রগার খালের সেতুটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে সেতুটি ভেঙে একই জায়গায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুর কাজ শুরু হয়। বর্তমানে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এই সেতুর এখনো উদ্বোধন হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, উদ্বোধনের আগেই সেতুটির উইং ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন সেতুর ফাটলে সিমেন্টের প্রলেপ ও রং দিয়ে ঢেকে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার আলী বলেন, ‘সেতুর উইং ওয়ালে ফাটল দেখা দিলে সিমেন্টের প্রলেপ ও রং দিয়ে ফাটল ঢেকে দিয়েছেন ঠিকাদার। প্রতিবাদ করলেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে—এই ভয়ে কেউ কথা বলতে চান না। সেতুটি উদ্বোধনের আগে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই।’

নরসিংপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, ‘কাজের ম্যানুয়াল ও ড্রইংমতো কাজ হয়নি। এলজিইডি অফিসের লোকজন এসে দায়সারাভাবে দেখে গেছেন। এরপর আর কিছুই হয়নি। এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।’

নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন বলেন, ‘নবনির্মিত সেতুর উইং ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েছি। পরে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’

রগার খালের সেতুর কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মিলন বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা আসলে কোনো ফাটল নয়। সিমেন্ট জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে একধরনের দাগ সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি অফিসের লোকজন সরেজমিনে এসে দেখে গেছে।’

এলজিইডির দোয়ারাবাজার উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ফাটল নয়, এক্সপানশন (সম্প্রসারণ) জয়েন্ট। জয়েন্টে কংক্রিট না দেওয়ায় এ রকম হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত