Ajker Patrika

কালীগঞ্জে লাল্টুর বাগান ভরে গেছে আপেল কুলে

মাসুদ পারভেজ, কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা)
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ২৮
কালীগঞ্জে লাল্টুর বাগান ভরে গেছে আপেল কুলে

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরের আবু আসলাম লাল্টুর বাগান ভরে গেছে কুলে। পরিপক্ব কুলগুলো দেখতে লাল আপেলের মতো। স্বাদে মিষ্টি এই কুল স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আপেল কুল নামে পরিচিত। প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাঁর বাগানে এসে কুল কিনে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। এ বছর আবু আসলামের বাগানে কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো, এতে বেশ খুশি আবু আসলাম লাল্টু।

বিষ্ণুপুর গ্রামে আসলামের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি তিন বিঘা জমিতে ১০০টি কুল গাছ লাগিয়েছেন। যার সর্বোচ্চ উচ্চতা চার ফুট। গাছগুলো ভরে গেছে কুলে। কিছু কিছু ডাল কুলের ভরে নুয়ে পড়েছে। গাছ থেকে আপেল রঙের পাকা কুল ছিঁড়ছেন আবু আসলাম।

তিনি জানান, তাঁর বাগান থেকে প্রতি কেজি কুল বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকা। গত বছর যশোর শহরের সোহাগ নার্সারি থেকে ২০০ কুলের চারা কিনে আনেন তিনি। এরপর মে ও জুন মাসে বাগান বাড়িতে সেগুলো লাগানো হয়। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছগুলোতে ফুল আসে। বর্তমানে কুলগুলো বিক্রি উপযোগী হয়েছে। কুল চাষে তাঁর মোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ মৌসুমে তিনি বাগান থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন।

এদিকে, প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে তাঁর বাগান থেকে আপেল কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আপেল কুল ছাড়াও তাঁর বাগানে বিলেতি কুল, কাশ্মীরি কুল, নারিকেল কুলসহ সুস্বাদু বিভিন্ন জাতের কুল গাছ রয়েছে।

বিষ্ণুপুরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, ‘আপেল কুল বেশি মিষ্টি হয়, খেতে সুস্বাদু এবং ফলন বেশি হয়। এতে কৃষকেরা বেশ লাভবান হন। আমরা কৃষি অফিস থেকে উপজেলার বরই চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে আসছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতন কাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

নাম প্রস্তাবে আটকে আছে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’

মোহাম্মদপুরে আলোকচিত্রী ও জিগাতলায় শিক্ষার্থী খুন

ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট, পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত