রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর ও সদর উপজেলার ৪ হাজার ৯০০ একর জমি নিয়ে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দেশি ও বিদেশি প্রাণীর বিশাল এ সংগ্রহশালায় রয়েছে অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। পার্কের মূল ফটক, সাফারি কিংডম, পশুপাখির বেষ্টনী, বাগান, নালা, লেক, অডিটরিয়ামসহ সবকিছুতেই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পার্কে প্রবেশের মূল ফটকটি বিবর্ণ, ঝলসে গেছে সাইনবোর্ড। ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত গাঢ় সবুজ রঙের প্রতিকৃতি। এটির গায়ে লেগে আছে শেওলা। পার্কের চারপাশে বাগানগুলোতে গজিয়েছে আগাছা। দেখে মনে হবে বহুদিন ধরে মালির হাতের ছোঁয়া পায়নি। বাগানগুলোর ভেতর যত্রতত্র পড়ে আছে শুকনো পাতা আর ছোট ছোট ডালপালা।
পার্কের নালাগুলো অপরিচ্ছন্ন। নিয়মিত ছিটানো হয় না রাস্তার দুপাশে শোভাবর্ধনকারী গাছের ডাল। প্রজাপতি পার্কের সামনে ফোয়ারাটি ছেয়ে আছে লতাপাতায়। ভেতরে নামমাত্র কয়েকটি প্রজাপতি আছে।
বিশাল মৎস্য অ্যাকোরিয়ামের এক পাশ অচল। পার্কের ভেতরে অনেক টাকা খরচ করে তৈরি করা রেস্তোরাঁর দরজায় তালা বহু বছর ধরে। রং বিবর্ণ হয়ে ঝলসে গেছে এর সামনে তৈরি করা বিশাল আকৃতির ডিমের প্রতিকৃতিটিও। রেস্তোরাঁর সামনে বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়।
রেস্তোরাঁর পাশেই রয়েছে বিদেশি প্রজাতির রঙিন মাছের লেক। লেকের পানিতে ভাসছে ময়লা। লেকের প্যাডেল বোটগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে লেকের চারপাশ।
পশুপাখির শেডগুলোর লোহার তারে মরিচা ধরে বিবর্ণ হয়েছে বহু আগে। জরাজীর্ণ অবস্থায় খুলে পড়ছে বিভিন্ন শেডের নাট। উটপাখি, ইমুপাখি বেষ্টনীর পশ্চিম পাশে লেকের ওপর নির্মিত সেতুটি বহু বছর ধরে বিকল। কাঠের পাটাতনগুলো উঠে গেছে। সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে সেতুটি।
পার্কের বাগানের বেঞ্চগুলো ভেঙে পড়ছে। দর্শনার্থীরা যাতে পার্কের পুরো অংশ দেখতে পারে, সে জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। সেগুলো ছেয়ে গেছে ঝোপঝাড়ে।
পার্কে থাকা ক্যাঙারু অনেক বছর হলো আর নেই। ক্যাঙারু রাখার শেড ঝোপঝাড় আর লতাপাতায় ছেয়ে গেছে। শিশুপার্কের বেশির ভাগ রাইড অচল। যে কয়টা সচল, সেগুলোও জরাজীর্ণ।
এদিকে গত ২ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্কের আফ্রিকান সাফারিতে নয়টি জেব্রা মারা যায়। ২৫ জানুয়ারি জেব্রা মৃত্যুর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক বসে। ২৯ জানুয়ারি ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুটি জেব্রার মৃত্যু হয়। ১১টি জেব্রার মৃত্যুর পরও কর্তৃপক্ষ জেব্রা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি।
এরপর একটি বাঘ ও সিংহী মারা যায়। ৬ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা পার্ক পরিদর্শনে এসে জড়িত কর্মকর্তাদের খুঁজে বিচারের ঘোষণা দেন। তার আগেই প্রত্যাহার করা হয় পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পার্কে আমি নতুন এসেছি। পরিকল্পনা করে সব ধরনের সংস্কারকাজ করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর ও সদর উপজেলার ৪ হাজার ৯০০ একর জমি নিয়ে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দেশি ও বিদেশি প্রাণীর বিশাল এ সংগ্রহশালায় রয়েছে অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। পার্কের মূল ফটক, সাফারি কিংডম, পশুপাখির বেষ্টনী, বাগান, নালা, লেক, অডিটরিয়ামসহ সবকিছুতেই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পার্কে প্রবেশের মূল ফটকটি বিবর্ণ, ঝলসে গেছে সাইনবোর্ড। ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত গাঢ় সবুজ রঙের প্রতিকৃতি। এটির গায়ে লেগে আছে শেওলা। পার্কের চারপাশে বাগানগুলোতে গজিয়েছে আগাছা। দেখে মনে হবে বহুদিন ধরে মালির হাতের ছোঁয়া পায়নি। বাগানগুলোর ভেতর যত্রতত্র পড়ে আছে শুকনো পাতা আর ছোট ছোট ডালপালা।
পার্কের নালাগুলো অপরিচ্ছন্ন। নিয়মিত ছিটানো হয় না রাস্তার দুপাশে শোভাবর্ধনকারী গাছের ডাল। প্রজাপতি পার্কের সামনে ফোয়ারাটি ছেয়ে আছে লতাপাতায়। ভেতরে নামমাত্র কয়েকটি প্রজাপতি আছে।
বিশাল মৎস্য অ্যাকোরিয়ামের এক পাশ অচল। পার্কের ভেতরে অনেক টাকা খরচ করে তৈরি করা রেস্তোরাঁর দরজায় তালা বহু বছর ধরে। রং বিবর্ণ হয়ে ঝলসে গেছে এর সামনে তৈরি করা বিশাল আকৃতির ডিমের প্রতিকৃতিটিও। রেস্তোরাঁর সামনে বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়।
রেস্তোরাঁর পাশেই রয়েছে বিদেশি প্রজাতির রঙিন মাছের লেক। লেকের পানিতে ভাসছে ময়লা। লেকের প্যাডেল বোটগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে লেকের চারপাশ।
পশুপাখির শেডগুলোর লোহার তারে মরিচা ধরে বিবর্ণ হয়েছে বহু আগে। জরাজীর্ণ অবস্থায় খুলে পড়ছে বিভিন্ন শেডের নাট। উটপাখি, ইমুপাখি বেষ্টনীর পশ্চিম পাশে লেকের ওপর নির্মিত সেতুটি বহু বছর ধরে বিকল। কাঠের পাটাতনগুলো উঠে গেছে। সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে সেতুটি।
পার্কের বাগানের বেঞ্চগুলো ভেঙে পড়ছে। দর্শনার্থীরা যাতে পার্কের পুরো অংশ দেখতে পারে, সে জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। সেগুলো ছেয়ে গেছে ঝোপঝাড়ে।
পার্কে থাকা ক্যাঙারু অনেক বছর হলো আর নেই। ক্যাঙারু রাখার শেড ঝোপঝাড় আর লতাপাতায় ছেয়ে গেছে। শিশুপার্কের বেশির ভাগ রাইড অচল। যে কয়টা সচল, সেগুলোও জরাজীর্ণ।
এদিকে গত ২ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্কের আফ্রিকান সাফারিতে নয়টি জেব্রা মারা যায়। ২৫ জানুয়ারি জেব্রা মৃত্যুর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক বসে। ২৯ জানুয়ারি ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুটি জেব্রার মৃত্যু হয়। ১১টি জেব্রার মৃত্যুর পরও কর্তৃপক্ষ জেব্রা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি।
এরপর একটি বাঘ ও সিংহী মারা যায়। ৬ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা পার্ক পরিদর্শনে এসে জড়িত কর্মকর্তাদের খুঁজে বিচারের ঘোষণা দেন। তার আগেই প্রত্যাহার করা হয় পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পার্কে আমি নতুন এসেছি। পরিকল্পনা করে সব ধরনের সংস্কারকাজ করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৮ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫