Ajker Patrika

সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২২, ১১: ৪৩
Thumbnail image

আগৈলঝাড়ায় সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন এ কার্যক্রম বন্ধে একাধিকবার পদক্ষেপ নিলেও দখল থামেনি। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাশালীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ছয়গ্রাম বাজারের সরকারি খালের একপাশ দখল করে স্থানীয় রহিম আকন, মশিউর রহমান, সেরাল গ্রামের সাইদুল সেপাই ও জসিম সেপাই পাকা ভবনের নির্মাণকাজ করছেন। এই দখলের কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছয়গ্রাম, কাজীরহাট, ডিএসবিরহাট এলাকার কয়েক শ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খাল দখলকারী রহিম আকন বলেন, দোকানঘর তোলার জন্য কাজ শুরু করেছি। এতে আর সমস্যা কী? খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বিভিন্ন খালের পানি প্রবাহ কমে গেছে। এতে ওই এলাকার কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, ছয়গ্রাম-মাহিলারা খালের ছয়গ্রাম বাজারে কয়েক দিন ধরে সরকারি খাল দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ছয়গ্রাম বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ছয়গ্রাম বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের কাঠের ঘর ভেঙে সরকারি জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

ব্যবসায়ী সাইদুল সেপাই বলেন, ‘আমরা আমাদের পুরোনো টিনের ঘর ভেঙে পাকা ভবন নির্মাণ করলেও কোনো ভবনের ছাদ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র পুরোনো ঘরটি সংস্কার করা হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জামাল হোসেন, রায়হান মোল্লা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাল রক্ষা এবং খালে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলার ছয়গ্রাম থেকে মাহিলারা পর্যন্ত এই খালে ছোট বড় অনেক নৌকা চলাচল করে। সরকারি খাল দখল করে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় এই খালে চলাচলকারী নৌযান গুলো বিপাকে পরবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, দখলের খবর পাওয়া মাত্রই দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে সরকারি সম্পত্তি দখল অনেকটাই কমে আসবে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ নির্মাণাধীন ভবন অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে। দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত