Ajker Patrika

আল্লাহর অতিপ্রিয় দুটি বাক্য

ইসলাম ডেস্ক
আল্লাহর অতিপ্রিয় দুটি বাক্য

সহিহ বুখারির সর্বশেষ হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘দুটি বাক্য দয়াময়ের কাছে খুবই প্রিয়। তা জিহ্বায় (উচ্চারণ করা) হালকা হলেও (পরকালের) মিজান পাল্লায় তা অনেক ভারী হবে। বাক্য দুটি হলো ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ: আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। মহান আল্লাহ পবিত্র। (বুখারি: ৬৪০৬)

অর্থাৎ, এই দুটি বাক্য পাঠের তিনটি ফজিলত। এক. আল্লাহর প্রিয় বাক্য। দুই. উচ্চারণে খুবই সহজ। তিন. পরকালে এর সওয়াব অনেক বেশি। হাদিসে উল্লিখিত বাক্য দুটিতে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতার কথা বর্ণিত হয়েছে, যা আল্লাহ তাআলার জিকির তথা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)

কিয়ামতের দিন মানুষের কাজ পরিমাপের জন্য ‘মিজান’ তথা পরিমাপক স্থাপন করা হবে। কারও ভালো কাজ ভারী হবে এবং কারও মন্দ কাজ। তবে মুমিনের এমন কিছু আমল আছে, যা বাহ্যত হালকা মনে হলেও এর ওজন অনেক বেশি হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। কোনো কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনের হয়, তবু আমি তা উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)

অন্যান্য হাদিসেও আল্লাহর প্রশংসাসূচক বাক্য উচ্চারণের অসামান্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু মালিক আল-আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী সবকিছুকে পূর্ণ করবে।’ (মুসলিম: ২২৩)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত