ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ডামুড্যা উপজেলায় সংস্কারের অভাবে ৩০০ মিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। তবে এই রাস্তাটির মালিকানা পাওয়া যাচ্ছে না! এলজিইডি বলছে রাস্তাটি পৌরসভার আর পৌরসভা বলছে এলজিইডির।
সরেজমিন দেখা যায়, ডামুড্যা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে থেকে হাসপাতালের পেছনের ফটক পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার সড়কের কার্পেটিং সম্পূর্ণ উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি ও আমার অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা তাতে আমরা ভয়ে থাকি, কখন যে কার দুর্ঘটনার খবর আসে। বৃষ্টির দিনে আমাদের দুই সেট পোশাক সঙ্গে রাখতে হয়। এর কারণ হচ্ছে যে কোনো সময় মোটরসাইকেল নিয়ে গর্তের মধ্যে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার অফিসে যে সকল মানুষ সেবা নিতে আসেন তারও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যাঁরা জুতা পায়ে আসেন, তাদের সে জুতা খুলে হাতে করে নিয়ে আসতে হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন যাতায়াত করতে হয়। তাই আমরা সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যে দুর্ঘটনার শিকার হই। আমার সামনেই একদিন এক মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী খাদে পড়ে গিয়ে আহত হন। তাদের সমস্ত শরীর কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। আমরা পরিত্রাণ চাই।’
ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা বলেন, ‘পৌরসভা সৃষ্টির পর থেকে আমার বাবা মরহুম আলি আজম ছৈয়াল প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আমার বড় ভাই হুমায়ুন কবির বাচ্চু মেয়র ছিলেন, এখন আমি আছি। এখন পর্যন্ত আমরা জানি যে, এই রাস্তাটি এলজিইডির রাস্তা। মূলত মৌজাটি হচ্ছে দক্ষিণ ডামুড্যা। তাই দক্ষিণ ডামুড্যা মৌজা হলেই কি এটি পৌরসভার রাস্তা হবে? এ বিষয়টিই আমার বোধগম্য নয়। আমি এলজিইডির কাছে আবেদন করছি, আর কালক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ রাস্তাটি ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের সময় করা হয়েছে। তাছাড়া আমি গত ১২ বছর ধরে এই উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি ডামুড্যা পৌরসভাকে কোনো কাজ করতে দেখিনি। আমার জানামতে, এই রাস্তাটি এলজিইডি’র। তবে এ বিষয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরি। কেননা আমার বাসভবন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস, নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস, উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিস ও সহকারী কমিশনার ভূমির অফিসও এই রাস্তায়। এ রাস্তার কারণে মাঝে মাঝে আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।’
বেহাল রাস্তার কথা স্বীকার করে ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নিজেও এই রাস্তাটির জন্য ভুক্তভোগী একজন। কিন্তু আমার কী করার আছে, বলেন? এ রাস্তাটি হচ্ছে ডামুড্যা পৌরসভার মধ্যে। তাই এর সংস্কারের কাজ পৌরসভাকে করতে হবে।’
ডামুড্যা উপজেলায় সংস্কারের অভাবে ৩০০ মিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। তবে এই রাস্তাটির মালিকানা পাওয়া যাচ্ছে না! এলজিইডি বলছে রাস্তাটি পৌরসভার আর পৌরসভা বলছে এলজিইডির।
সরেজমিন দেখা যায়, ডামুড্যা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে থেকে হাসপাতালের পেছনের ফটক পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার সড়কের কার্পেটিং সম্পূর্ণ উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি ও আমার অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা তাতে আমরা ভয়ে থাকি, কখন যে কার দুর্ঘটনার খবর আসে। বৃষ্টির দিনে আমাদের দুই সেট পোশাক সঙ্গে রাখতে হয়। এর কারণ হচ্ছে যে কোনো সময় মোটরসাইকেল নিয়ে গর্তের মধ্যে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার অফিসে যে সকল মানুষ সেবা নিতে আসেন তারও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যাঁরা জুতা পায়ে আসেন, তাদের সে জুতা খুলে হাতে করে নিয়ে আসতে হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন যাতায়াত করতে হয়। তাই আমরা সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যে দুর্ঘটনার শিকার হই। আমার সামনেই একদিন এক মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী খাদে পড়ে গিয়ে আহত হন। তাদের সমস্ত শরীর কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। আমরা পরিত্রাণ চাই।’
ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা বলেন, ‘পৌরসভা সৃষ্টির পর থেকে আমার বাবা মরহুম আলি আজম ছৈয়াল প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আমার বড় ভাই হুমায়ুন কবির বাচ্চু মেয়র ছিলেন, এখন আমি আছি। এখন পর্যন্ত আমরা জানি যে, এই রাস্তাটি এলজিইডির রাস্তা। মূলত মৌজাটি হচ্ছে দক্ষিণ ডামুড্যা। তাই দক্ষিণ ডামুড্যা মৌজা হলেই কি এটি পৌরসভার রাস্তা হবে? এ বিষয়টিই আমার বোধগম্য নয়। আমি এলজিইডির কাছে আবেদন করছি, আর কালক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ রাস্তাটি ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের সময় করা হয়েছে। তাছাড়া আমি গত ১২ বছর ধরে এই উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি ডামুড্যা পৌরসভাকে কোনো কাজ করতে দেখিনি। আমার জানামতে, এই রাস্তাটি এলজিইডি’র। তবে এ বিষয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরি। কেননা আমার বাসভবন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস, নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস, উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিস ও সহকারী কমিশনার ভূমির অফিসও এই রাস্তায়। এ রাস্তার কারণে মাঝে মাঝে আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।’
বেহাল রাস্তার কথা স্বীকার করে ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নিজেও এই রাস্তাটির জন্য ভুক্তভোগী একজন। কিন্তু আমার কী করার আছে, বলেন? এ রাস্তাটি হচ্ছে ডামুড্যা পৌরসভার মধ্যে। তাই এর সংস্কারের কাজ পৌরসভাকে করতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪