Ajker Patrika

জনভোগান্তির কারণ ৫ সেতু

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ২৫
জনভোগান্তির  কারণ ৫ সেতু

মির্জাপুরে আঞ্চলিক সড়কের পাঁচটি সেতু জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুগুলো জরাজীর্ণ ও ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে এসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুগুলো হলো বাঁশতৈল ইউনিয়নের পেকুয়া সেতু, বংশীনগর ইনথখাচালা সেতু, মন্দিরাপাড়া সেতু ও দেওহাটা সেতু। এ ছাড়া দেওহাটা-ধানতারা রাস্তার গেড়ামাড়া গ্রামে সেতু না থাকায় বাঁশের সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

দেওহাটা থেকে ধামরাই হয়ে ঢাকা যাওয়ার অন্যতম সড়ক দেওহাটা-ধানতারা আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়কটি মির্জাপুরের সঙ্গে পাশের ধামরাই, মানিকগঞ্জ, সাভার, সাটুরিয়া, ঢাকা ও কালিয়াকৈরে যাওয়ার সহজ মাধ্যম। প্রতিদিন যানবাহনসহ হাজারো মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে দেওহাটা সেতু নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর আগে এ সেতুর স্ল্যাব ভেঙে যায়। স্থানীয় লোকজন সেতুর সাময়িক সংস্কার করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ২০১৮ সালের বন্যায় ওই সড়কের গেড়ামাড়া এলাকায় সড়কটি ধসে পড়ে। মাটি ভরাটের পর গত বছরের বন্যায় ওই স্থানে আবার ভেঙে যায়।

মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এই সাঁকোটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ছানোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামের ওই অংশে সেতু না থাকায় দক্ষিণ মির্জাপুরের বাসিন্দদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পেকুয়া-পাথরঘাটা সড়কের পেকুয়া দক্ষিণপাড়া সেতুর মাঝখানের স্ল্যাব ভেঙে পড়েছে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা। ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা আওয়ামী লীগের নেতা ইজ্জত আলী জনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর জায়গায় দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি এলাকার সব মানুষের।

পেকুয়া-অভিরামপুর সড়কের বংশীনগর এলাকার ইনথখাচালার সেতু গত বছর ২১ জুন ভেঙে যায়। এতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জনসাধারণের চলাচলের জন্য বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মাটি ভরাট করে সরু রাস্তা তৈরি করলেও তা দিয়ে ভারী যান চলাচল করতে পারে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার পারভেজ বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী তাঁদের উৎপাদিত ফসল উপজেলা সদরসহ রাজধানীতে নিতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণ করলে ভালো হবে।

কদিম ধল্যা-বাসাইল সড়কের মহেড়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া সেতুর মাঝখানে কংক্রিটের ঢালাই উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। ইউনিয়ন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার উদ্যোগে সেতুটির ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়।

দক্ষিণ মির্জাপুরের ছয়-সাতটি গ্রামের লোকজন বুধিরপাড়া রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। রাস্তাটির মন্দিরাপাড়া গ্রামের সেতুর রেলিং নেই। এসব সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকি এড়াতে ব্রিজটির একপাশে মন্দিরাপাড়া গ্রামের লোকজন সিমেন্টের তৈরি খুঁটি বেঁধে দিয়েছেন।

মন্দিরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল শিকদার ও জালাল শিকদার সরকারের ওপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত