আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিরাজগঞ্জে গতকাল বেলা ৩টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় ২০০ বাড়িঘর এখন পানিতে আংশিক ডুবেছে। এ ছাড়া উপজেলার ৫০০ হেক্টর পাট, ১৫০ হেক্টরের আমন পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থেকে শাহজাদপুর উপজেলা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার বাঁধে ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে শনিবার বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
চৌহালী উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া জানান, পানি বাড়ার ফলে এক সপ্তাহ আগে ব্রাহ্মণগ্রামের অন্তত ২০টি বসতভিটা মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়। ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করা হোক। দ্রুত ভাঙন বন্ধ না হলে বিলীন হয়ে যাবে অনেক এলাকা।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, গত চার দিনেই চর বয়ড়া, বর্ণি, দোরতা, সয়াশাখা ও কাটাঙ্গা চরের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে পানি উঠতে পারে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পানি বাড়ার ফলে জেলার কাজীপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়া ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও ৯৬ হাজার জিও ব্যাগ আমাদের হাতে আসবে। আসামাত্রই ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত সেগুলো ফেলা হবে।’
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির কালীতলা পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে বাঙ্গালী নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ৫০০ হেক্টর পাট, ১৫০ হেক্টর আমন পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলার বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মজনু শাহর স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, ‘আমার বাড়িঘরে গতকাল পানি উঠেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছি।’
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমার সাত বিঘা জমির আধাপাকা কাউন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আট বিঘা জমিতে পাট ছিল। তার মধ্যে মাত্র তিন বিঘা জমির পাট আধাপাকা অবস্থায় কোনোমতে কেটে নিয়েছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে অস্থায়ী টিনের ঘরে স্থানান্তর করে পাঠদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পানি উঠেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২০০ বাড়িঘর এখন পানিতে আংশিক ডুবেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিরাজগঞ্জে গতকাল বেলা ৩টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় ২০০ বাড়িঘর এখন পানিতে আংশিক ডুবেছে। এ ছাড়া উপজেলার ৫০০ হেক্টর পাট, ১৫০ হেক্টরের আমন পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থেকে শাহজাদপুর উপজেলা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার বাঁধে ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে শনিবার বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
চৌহালী উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া জানান, পানি বাড়ার ফলে এক সপ্তাহ আগে ব্রাহ্মণগ্রামের অন্তত ২০টি বসতভিটা মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়। ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করা হোক। দ্রুত ভাঙন বন্ধ না হলে বিলীন হয়ে যাবে অনেক এলাকা।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, গত চার দিনেই চর বয়ড়া, বর্ণি, দোরতা, সয়াশাখা ও কাটাঙ্গা চরের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে পানি উঠতে পারে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পানি বাড়ার ফলে জেলার কাজীপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়া ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও ৯৬ হাজার জিও ব্যাগ আমাদের হাতে আসবে। আসামাত্রই ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত সেগুলো ফেলা হবে।’
সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির কালীতলা পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে বাঙ্গালী নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ৫০০ হেক্টর পাট, ১৫০ হেক্টর আমন পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলার বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মজনু শাহর স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, ‘আমার বাড়িঘরে গতকাল পানি উঠেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছি।’
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমার সাত বিঘা জমির আধাপাকা কাউন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আট বিঘা জমিতে পাট ছিল। তার মধ্যে মাত্র তিন বিঘা জমির পাট আধাপাকা অবস্থায় কোনোমতে কেটে নিয়েছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে অস্থায়ী টিনের ঘরে স্থানান্তর করে পাঠদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পানি উঠেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২০০ বাড়িঘর এখন পানিতে আংশিক ডুবেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪