রেজা করিম, ঢাকা
দীর্ঘদিন পরে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ মিটে যাবে বলেও আশা করছেন দলের কেউ কেউ। তবে নেতারা বলছেন, বৈঠক অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু সমঝোতা এখনো অনেক দূর। তাই এই বৈঠকের পরে দলে স্বস্তি ফেরা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
বিদেশে চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে ২৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের জানান, জাপার বিরাজমান সংকট নিরসনে জি এম কাদেরসহ সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। এরপর কাদেরের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুজন আলোচনায় বসেন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এক টেবিলে সকালের নাশতাও করেন দেবর-ভাবি।
এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও রওশনপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, পুত্রবধূ মহিমা সাদ উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী-দলীয় নেতা এবং ভাবির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর প্রথমে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন জি এম কাদের। তারপর সবাইকে সরিয়ে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রওশনের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন জি এম কাদের।
এর আগে গত সোমবার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ। মোস্তফার নাম ঘোষণাতেই রওশন এরশাদের সঙ্গে কাদেরের দূরত্ব কমার আভাস মেলে। কারণ জি এম কাদেরের পক্ষে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আগেই মোস্তফার নাম মেয়রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এদিকে, গতকাল জি এম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বটা বেশ পুরোনো। তবে দীর্ঘদিন রওশনের অসুস্থতাজনিত কারণে সেই দ্বন্দ্ব খানিকটা অপ্রকাশ্যেই ছিল। গত আগস্টে হঠাৎ করে দলের জাতীয় সম্মেলন ডাকেন রওশন। এর পরই দ্বন্দ্বটা চলে আসছে প্রকাশ্যে। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ২৬ নভেম্বর ডাকা সেই সম্মেলন স্থগিত হলেও তত দিনে ঘরের দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
রওশনের সম্মেলন ডাকার পরে তার কড়া জবাব দিয়ে তাঁকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দেন জাপার সংসদ সদস্যরা। পরে রওশনের সাফাই গেয়ে পদ-পদবি হারান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় পদ-পদবি হারান রওশনপন্থী নেতা জিয়াউল হক মৃধাও। তখন মৃধা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত কাদেরের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে পরিস্থিতি জটিল হয়। কাদেরপন্থী ও রওশনপন্থীদের তৎপরতায় জাতীয় পার্টিতে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়।
এমন এক বাস্তবতায় কাদের-রওশন বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখছেন দলের উভয় পক্ষের নেতারাই। রওশনপন্থীরা বলছেন, দেরিতে হলেও জি এম কাদেরের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপরও দুই নেতার বৈঠক অবশ্যই দলের জন্য ইতিবাচক। তবে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে এখনো সমঝোতা করার সময় আসেনি। তাদের অভিযোগ, বিএনপির সঙ্গে জোট করতে একটি পক্ষ জি এম কাদেরকে অনেকটা বাধ্য করেছিল। কাদের-রওশনের সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে সেই চেষ্টায় ছেদ পড়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের স্বার্থে উভয় পক্ষের সমঝোতা হওয়া খুব জরুরি। তবে এর আগে আমাদের কিছু প্রস্তাব আছে। প্রস্তাবগুলো নিয়ে আবার বসা হবে। তারপর সমঝোতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সমঝোতা এখনো অনেক দূরে।’
আর কাদেরপন্থী নেতা জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে বৈঠকটা মূলত একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে জাপায় যে মতবিরোধ চলছিল, এই বৈঠক তার সেই সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি। তিনি বললে জানতে পারব।’ জাপায় কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গেও কোনো বিরোধ নেই। একটি পক্ষ তাঁকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। তাঁর নাম ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।
দীর্ঘদিন পরে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ মিটে যাবে বলেও আশা করছেন দলের কেউ কেউ। তবে নেতারা বলছেন, বৈঠক অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু সমঝোতা এখনো অনেক দূর। তাই এই বৈঠকের পরে দলে স্বস্তি ফেরা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
বিদেশে চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে ২৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের জানান, জাপার বিরাজমান সংকট নিরসনে জি এম কাদেরসহ সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। এরপর কাদেরের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুজন আলোচনায় বসেন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এক টেবিলে সকালের নাশতাও করেন দেবর-ভাবি।
এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও রওশনপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, পুত্রবধূ মহিমা সাদ উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী-দলীয় নেতা এবং ভাবির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর প্রথমে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন জি এম কাদের। তারপর সবাইকে সরিয়ে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রওশনের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন জি এম কাদের।
এর আগে গত সোমবার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ। মোস্তফার নাম ঘোষণাতেই রওশন এরশাদের সঙ্গে কাদেরের দূরত্ব কমার আভাস মেলে। কারণ জি এম কাদেরের পক্ষে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আগেই মোস্তফার নাম মেয়রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এদিকে, গতকাল জি এম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বটা বেশ পুরোনো। তবে দীর্ঘদিন রওশনের অসুস্থতাজনিত কারণে সেই দ্বন্দ্ব খানিকটা অপ্রকাশ্যেই ছিল। গত আগস্টে হঠাৎ করে দলের জাতীয় সম্মেলন ডাকেন রওশন। এর পরই দ্বন্দ্বটা চলে আসছে প্রকাশ্যে। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ২৬ নভেম্বর ডাকা সেই সম্মেলন স্থগিত হলেও তত দিনে ঘরের দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
রওশনের সম্মেলন ডাকার পরে তার কড়া জবাব দিয়ে তাঁকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দেন জাপার সংসদ সদস্যরা। পরে রওশনের সাফাই গেয়ে পদ-পদবি হারান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় পদ-পদবি হারান রওশনপন্থী নেতা জিয়াউল হক মৃধাও। তখন মৃধা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত কাদেরের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে পরিস্থিতি জটিল হয়। কাদেরপন্থী ও রওশনপন্থীদের তৎপরতায় জাতীয় পার্টিতে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়।
এমন এক বাস্তবতায় কাদের-রওশন বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখছেন দলের উভয় পক্ষের নেতারাই। রওশনপন্থীরা বলছেন, দেরিতে হলেও জি এম কাদেরের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপরও দুই নেতার বৈঠক অবশ্যই দলের জন্য ইতিবাচক। তবে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে এখনো সমঝোতা করার সময় আসেনি। তাদের অভিযোগ, বিএনপির সঙ্গে জোট করতে একটি পক্ষ জি এম কাদেরকে অনেকটা বাধ্য করেছিল। কাদের-রওশনের সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে সেই চেষ্টায় ছেদ পড়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের স্বার্থে উভয় পক্ষের সমঝোতা হওয়া খুব জরুরি। তবে এর আগে আমাদের কিছু প্রস্তাব আছে। প্রস্তাবগুলো নিয়ে আবার বসা হবে। তারপর সমঝোতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সমঝোতা এখনো অনেক দূরে।’
আর কাদেরপন্থী নেতা জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে বৈঠকটা মূলত একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে জাপায় যে মতবিরোধ চলছিল, এই বৈঠক তার সেই সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি। তিনি বললে জানতে পারব।’ জাপায় কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গেও কোনো বিরোধ নেই। একটি পক্ষ তাঁকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। তাঁর নাম ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪