Ajker Patrika

ঘর তৈরির সাধ্য নেই তহমিনার

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০১
ঘর তৈরির সাধ্য নেই তহমিনার

২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া তিন শতক ভিটে ও ভাঙা ঘরে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাস করে আসছেন তহমিনা বেগম। মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললেও ভালো ঘর তৈরির সামর্থ্য নেই। ঘরের চালের টিনে মরিচা পড়ে ফুটো হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে আকাশ দেখা যায়। সামান্য বৃষ্টিতে বিছানাপত্র ভিজে যায়।

তহমিনা বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই সরদারপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সামিউল হকের স্ত্রী। তহমিনার এক ছেলে ও এক মেয়ে।

তহমিনার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ভিটেবাড়ির চারদিক খোলা। শুধু মাঝখানে ভাঙাচোরা চৌচালা ঘর। ভাঙা বেড়া, ফুটো চাল। ঘরের সামনের আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে তৈরি করেছেন চুলা। শুকনো কলাপাতার বেড়া দিয়ে রান্নার কাজ করেন। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।

তাহমিনা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। ধারদেনা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অতিকষ্টে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেকে পড়ালেখা করাতে পারেননি। ছেলেটা এখন ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনোমতে তাঁর জীবন চালাচ্ছেন। এদিকে বয়স বাড়ায় তহমিনা আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। সরকার ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা কামনা করেন।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ‘আমি তাহমিনা বেগমকে চিনি। তিনি একেবারেই অসহায় একজন নারী। সুযোগ-সুবিধা আসলে তাঁকে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে—অডিও ফাঁস

নেছারাবাদের সেই প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করল শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন চাননি সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত