মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
‘দশ বছরে বাড়ি সরিয়েছি পাঁচ-ছয়বার। আমরা দরিদ্র কৃষক পরিবার। এবারও ভাঙনে আমাদের বসতবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। দূরে কোথাও নতুন করে বাড়িঘর তোলার সামর্থ্য নেই। স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলছিলেন রেহেনা খাতুন নামের এক গৃহবধূ।
মাগুরার মহম্মদপুরের উত্তরে চরসেলামতপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণে কালি শংকরপুর পর্যন্ত মধুমতির ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
রেহেনা খাতুন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের হাসান কাজির স্ত্রী। শুধু রেহেনা খাতুনই নন; নদীপারের অগণিত পরিবার একাধিকবার বাড়িঘর সরিয়েও মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকুও রক্ষা করতে পারছেন না। রাক্ষসী মধুমতি গিলে খাচ্ছে লোকালয়। তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপারের মানুষ।
উপজেলার উত্তরে চরসেলামতপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণে কালি শংকরপুর পর্যন্ত মধুমতির ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে উপজেলার মানচিত্র থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে ১৫টি গ্রাম। এর মধ্যে গোপালনগর, মহেশপুর, হরেকৃষ্ণপুর, ঝামা, আড়মাঝি, যশোবন্তপুর, চরপাচুড়িয়া, রায়পুর, মুরাইল, ধুপুড়িয়া, জাঙ্গালিয়া, রুইজানি, কাশিপুর, ধুলজুড়ি, দ্বিগমাঝি, দেউলি ও ভোলানাথপুর গ্রামগুলোও ভাঙনের শিকার। এসব গ্রামের মানুষের কাছে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রূপ হিসেবে দেখা দেয় মধুমতি।
সরেজমিনে নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকের বসতভিটা ও গাছপালা মধুমতির গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কেউ কেউ দ্রুত ঘরসহ প্রয়োজনীয় মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রি করে দিয়েছেন গাছপালা। চোখের সামনে ভিটেবাড়ি মধুমতিতে বিলীন হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
মধুমতি নদীভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, স্কুল, বাজার, মন্দির ও অসংখ্য দোকানপাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। নদীপাড়ের শত শত পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দিনের দিন। এতে বাড়ছে ভূমিহীনের সংখ্যাও। তাই তাদের দাবি স্থায়ী বাঁধের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমার গ্রামের দিনমজুর হাসান কাজির বসতবাড়িসহ গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই এলাকার আরও অনেক বসতভিটা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার জন্য।
গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা ধোয়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি মধুমতি নদীভাঙনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে, আমার নিজের বসতবাড়িও ঝুঁকিতে রয়েছে। একটা পরিবার পাঁচ থেকে সাতবার বাড়ি সরিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাই নদীপাড়ের অসহায় পরিবারের কথা ভেবে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে হরেকৃষ্ণপুর থেকে ঝামা পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা এবং কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি।’
‘দশ বছরে বাড়ি সরিয়েছি পাঁচ-ছয়বার। আমরা দরিদ্র কৃষক পরিবার। এবারও ভাঙনে আমাদের বসতবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। দূরে কোথাও নতুন করে বাড়িঘর তোলার সামর্থ্য নেই। স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলছিলেন রেহেনা খাতুন নামের এক গৃহবধূ।
মাগুরার মহম্মদপুরের উত্তরে চরসেলামতপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণে কালি শংকরপুর পর্যন্ত মধুমতির ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
রেহেনা খাতুন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের হাসান কাজির স্ত্রী। শুধু রেহেনা খাতুনই নন; নদীপারের অগণিত পরিবার একাধিকবার বাড়িঘর সরিয়েও মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকুও রক্ষা করতে পারছেন না। রাক্ষসী মধুমতি গিলে খাচ্ছে লোকালয়। তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপারের মানুষ।
উপজেলার উত্তরে চরসেলামতপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণে কালি শংকরপুর পর্যন্ত মধুমতির ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে উপজেলার মানচিত্র থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে ১৫টি গ্রাম। এর মধ্যে গোপালনগর, মহেশপুর, হরেকৃষ্ণপুর, ঝামা, আড়মাঝি, যশোবন্তপুর, চরপাচুড়িয়া, রায়পুর, মুরাইল, ধুপুড়িয়া, জাঙ্গালিয়া, রুইজানি, কাশিপুর, ধুলজুড়ি, দ্বিগমাঝি, দেউলি ও ভোলানাথপুর গ্রামগুলোও ভাঙনের শিকার। এসব গ্রামের মানুষের কাছে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রূপ হিসেবে দেখা দেয় মধুমতি।
সরেজমিনে নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকের বসতভিটা ও গাছপালা মধুমতির গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কেউ কেউ দ্রুত ঘরসহ প্রয়োজনীয় মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রি করে দিয়েছেন গাছপালা। চোখের সামনে ভিটেবাড়ি মধুমতিতে বিলীন হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
মধুমতি নদীভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, স্কুল, বাজার, মন্দির ও অসংখ্য দোকানপাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। নদীপাড়ের শত শত পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দিনের দিন। এতে বাড়ছে ভূমিহীনের সংখ্যাও। তাই তাদের দাবি স্থায়ী বাঁধের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমার গ্রামের দিনমজুর হাসান কাজির বসতবাড়িসহ গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই এলাকার আরও অনেক বসতভিটা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার জন্য।
গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা ধোয়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি মধুমতি নদীভাঙনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে, আমার নিজের বসতবাড়িও ঝুঁকিতে রয়েছে। একটা পরিবার পাঁচ থেকে সাতবার বাড়ি সরিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাই নদীপাড়ের অসহায় পরিবারের কথা ভেবে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে হরেকৃষ্ণপুর থেকে ঝামা পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা এবং কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪