নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনায়ও দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বাস বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। চাপ বাড়ে রেলপথে। এই সুযোগে কালোবাজারিরা দ্বিগুণ দামে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছে। এরপরও সিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।
গতকাল শনিবার পারলা বাসস্ট্যান্ড ও রাজুর বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। নেত্রকোনা টু ঢাকা, ঢাকা টু নেত্রকোনায় চলাচলকারী বিরতিহীন শাহজালাল নামে একটি বাসের ভেতর বেশ কয়েকজন সুপারভাইজার ও চালক বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বললে জানান, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম নেত্রকোনায় ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে আগে যেখানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা, বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহজালাল পরিবহনের গাড়ির চালক গোলাম রব্বানী ও সুপার ভাইজার ফারুক বলেন, আমাদের বাস চললে টাকা রোজগার হয়। দুই দিন ধরে বাস না চলার কারণে কোনো টাকা পাইনি। যে কারণে বাড়ি থেকে টাকা এনে চলতে হচ্ছে।
এদিকে নেত্রকোনা টু ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদেরকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ যেতে হচ্ছে। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহে চলাচলকারী অটোরিকশার ভাড়া ৮০ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের বাস না থাকার কারণে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়েও যেতে দেখা গেছে।
সঞ্জয় ধর নামে এক যাত্রী বলেন, ময়মনসিংহ হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে। গত শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ২০ টাকা বেশি ভাড়া বিষয় না। গাড়িই পাওয়া যাচ্ছে না। একটি অটোরিকশা পেয়েছি তাই আর ভাড়া নিয়ে কথা বলিনি। শহরের রাজুরবাজার এলাকার বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র।
রাজুরবাজার থেকে মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দা উপজেলায় বাস চলাচল করে। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। তবে বিপাকে পড়েছেন নারী যাত্রীরা। এই বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও বাস চলাচল না করার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রেলপথে। দুটি আন্তনগর একটি কমিউটারসহ মোট তিনটি ট্রেন চলাচল করে ঢাকা টু মোহনগঞ্জ, মোহনগঞ্জ টু ঢাকা পথে। কিন্তু বাস চলাচল না করায় কালোবাজারে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিটি কাটতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সাগর মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ১৬৫ টাকার টিকিট বাইরে থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। কাউন্টারে টিকিট নাই। কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটার বিষয়ে বলেন, জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হবে। তাই কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে বাইরে থেকেই টিকিট কিনেছি।
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেত্রকোনা শাখার সভাপতি আব্দুল ওহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই দিন ধরে পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এভাবে চললে পণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষেরও দুর্ভোগ বাড়বে। তবে কবে নাগাত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছুই বলতে পারছেন না। নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ জেলার সঙ্গে উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।
নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শিবলী সাদিক বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ জেলার সঙ্গে উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনায়ও দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বাস বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। চাপ বাড়ে রেলপথে। এই সুযোগে কালোবাজারিরা দ্বিগুণ দামে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছে। এরপরও সিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।
গতকাল শনিবার পারলা বাসস্ট্যান্ড ও রাজুর বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। নেত্রকোনা টু ঢাকা, ঢাকা টু নেত্রকোনায় চলাচলকারী বিরতিহীন শাহজালাল নামে একটি বাসের ভেতর বেশ কয়েকজন সুপারভাইজার ও চালক বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বললে জানান, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম নেত্রকোনায় ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে আগে যেখানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা, বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহজালাল পরিবহনের গাড়ির চালক গোলাম রব্বানী ও সুপার ভাইজার ফারুক বলেন, আমাদের বাস চললে টাকা রোজগার হয়। দুই দিন ধরে বাস না চলার কারণে কোনো টাকা পাইনি। যে কারণে বাড়ি থেকে টাকা এনে চলতে হচ্ছে।
এদিকে নেত্রকোনা টু ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদেরকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ যেতে হচ্ছে। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহে চলাচলকারী অটোরিকশার ভাড়া ৮০ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের বাস না থাকার কারণে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়েও যেতে দেখা গেছে।
সঞ্জয় ধর নামে এক যাত্রী বলেন, ময়মনসিংহ হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে। গত শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ২০ টাকা বেশি ভাড়া বিষয় না। গাড়িই পাওয়া যাচ্ছে না। একটি অটোরিকশা পেয়েছি তাই আর ভাড়া নিয়ে কথা বলিনি। শহরের রাজুরবাজার এলাকার বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র।
রাজুরবাজার থেকে মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দা উপজেলায় বাস চলাচল করে। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। তবে বিপাকে পড়েছেন নারী যাত্রীরা। এই বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও বাস চলাচল না করার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রেলপথে। দুটি আন্তনগর একটি কমিউটারসহ মোট তিনটি ট্রেন চলাচল করে ঢাকা টু মোহনগঞ্জ, মোহনগঞ্জ টু ঢাকা পথে। কিন্তু বাস চলাচল না করায় কালোবাজারে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিটি কাটতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সাগর মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ১৬৫ টাকার টিকিট বাইরে থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। কাউন্টারে টিকিট নাই। কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটার বিষয়ে বলেন, জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হবে। তাই কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে বাইরে থেকেই টিকিট কিনেছি।
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেত্রকোনা শাখার সভাপতি আব্দুল ওহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই দিন ধরে পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এভাবে চললে পণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষেরও দুর্ভোগ বাড়বে। তবে কবে নাগাত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছুই বলতে পারছেন না। নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ জেলার সঙ্গে উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।
নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শিবলী সাদিক বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ জেলার সঙ্গে উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪