তানভীর হাসান, শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডাইনিং ও ক্যানটিনে খাবারের মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। এসব খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, মালিকেরা খেয়াল খুশিমতো খাবার পরিবেশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি নেই।
এদিকে আগের দামে বর্তমানে খাবার পরিবেশন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে ডাইনিং ও ক্যানটিনের মালিকদের দাবি।
হল ও ক্যাম্পাসের ডাইনিং, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আবাসিক হলগুলোর প্রতিটিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যের খাবার রয়েছে। তবে এর বাইরে পৃথক মূল্যে ‘স্পেশাল রেসিপি’ নামে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া বাড়তি খাবার হিসেবে ভর্তা ও ভাজি সরবরাহ করা হচ্ছে। স্পেশাল রেসিপির নামে মাছের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৬০ টাকা, মুরগির ৪০-৫০ টাকা। হলের ক্যানটিনগুলোতে ভাতের দাম প্রতি প্লেট ১২ টাকা করা হয়েছে। একটা ডিম ভাজির মূল্য রাখা হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা।
এদিকে গত মে মাসে হলগুলোতে নিয়মিত খাবারের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। তার ওপর মাছ ও মাংসের আকার ছোট হয়েছে। কমানো হয়েছে সবজি-ভর্তার পরিমাণ।
খাবারের পরিমাণ, পুষ্টিগুণ ও মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিউশন করে খরচ চালান। আগে যেখানে ৭০ টাকার মধ্যে তিন বেলায় খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যেত সেখানে এখন দুই বেলাতেই ১০০ টাকার বেশি লেগে যাচ্ছে। তা ছাড়া যে খাবার আমরা খাচ্ছি তা কতটুকু পুষ্টিসমৃদ্ধ তা নিয়ে সবাই চিন্তিত।’
একই কথা বলেছেন প্রথম ছাত্রী হলের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, মূল্য বাড়লেও খাবারের মান সেভাবে বাড়েনি। খাবারের পরিমাণ যা দেওয়া হয় তাতে একজন মানুষের দৈনিক যে ন্যূনতম ক্যালরি প্রয়োজন, সেটাও পূরণ হয় না। খাদ্যের মূল্য তালিকায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং মনিটরিং সেল গঠন দরকার।
তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আগের দামে খাবার সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি ডাইনিং মালিকদের। বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং পরিচালক মাসুক আহমদ বলেন, ‘আগে হলে খাবারে ভর্তুকি দেওয়া হতো, তা বন্ধ রয়েছে। সবকিছুর দাম এত বেড়েছে যে, ডাইনিং চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। হল প্রশাসনকে আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। সমন্বয় করা না হলে ক্যানটিন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তা ছাড়া কর্মচারীদের বেতন বাবদ হল থেকে দেওয়া ভর্তুকি দিয়ে একজন বাবুর্চিরই ঠিকমতো বেতন হয় না। তাহলে আমরা কেমনে চলব?’
হলগুলোর প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও শাহ পরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির প্রভাব শুধু ডাইনিং ক্যানটিনে নয় আমাদের সবার ওপরেই পড়ছে। আমরা হলের পক্ষ থেকে ডাইনিং ও ক্যানটিনের যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের সব ধরনের সাপোর্ট করছি। আমাদের শিক্ষার্থী ও তাঁদের (ডাইনিং ও ক্যানটিন পরিচালক) সবার কথায় চিন্তা করতে হয়। ২৫ টাকার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ৫০-৬০ টাকার মানের বিশেষ খাবার রাখছি। খাবারের দামের সঙ্গে মান ঠিক না থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডাইনিং ও ক্যানটিনে খাবারের মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। এসব খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, মালিকেরা খেয়াল খুশিমতো খাবার পরিবেশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি নেই।
এদিকে আগের দামে বর্তমানে খাবার পরিবেশন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে ডাইনিং ও ক্যানটিনের মালিকদের দাবি।
হল ও ক্যাম্পাসের ডাইনিং, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আবাসিক হলগুলোর প্রতিটিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যের খাবার রয়েছে। তবে এর বাইরে পৃথক মূল্যে ‘স্পেশাল রেসিপি’ নামে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া বাড়তি খাবার হিসেবে ভর্তা ও ভাজি সরবরাহ করা হচ্ছে। স্পেশাল রেসিপির নামে মাছের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৬০ টাকা, মুরগির ৪০-৫০ টাকা। হলের ক্যানটিনগুলোতে ভাতের দাম প্রতি প্লেট ১২ টাকা করা হয়েছে। একটা ডিম ভাজির মূল্য রাখা হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা।
এদিকে গত মে মাসে হলগুলোতে নিয়মিত খাবারের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। তার ওপর মাছ ও মাংসের আকার ছোট হয়েছে। কমানো হয়েছে সবজি-ভর্তার পরিমাণ।
খাবারের পরিমাণ, পুষ্টিগুণ ও মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিউশন করে খরচ চালান। আগে যেখানে ৭০ টাকার মধ্যে তিন বেলায় খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যেত সেখানে এখন দুই বেলাতেই ১০০ টাকার বেশি লেগে যাচ্ছে। তা ছাড়া যে খাবার আমরা খাচ্ছি তা কতটুকু পুষ্টিসমৃদ্ধ তা নিয়ে সবাই চিন্তিত।’
একই কথা বলেছেন প্রথম ছাত্রী হলের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, মূল্য বাড়লেও খাবারের মান সেভাবে বাড়েনি। খাবারের পরিমাণ যা দেওয়া হয় তাতে একজন মানুষের দৈনিক যে ন্যূনতম ক্যালরি প্রয়োজন, সেটাও পূরণ হয় না। খাদ্যের মূল্য তালিকায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং মনিটরিং সেল গঠন দরকার।
তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আগের দামে খাবার সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি ডাইনিং মালিকদের। বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং পরিচালক মাসুক আহমদ বলেন, ‘আগে হলে খাবারে ভর্তুকি দেওয়া হতো, তা বন্ধ রয়েছে। সবকিছুর দাম এত বেড়েছে যে, ডাইনিং চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। হল প্রশাসনকে আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। সমন্বয় করা না হলে ক্যানটিন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তা ছাড়া কর্মচারীদের বেতন বাবদ হল থেকে দেওয়া ভর্তুকি দিয়ে একজন বাবুর্চিরই ঠিকমতো বেতন হয় না। তাহলে আমরা কেমনে চলব?’
হলগুলোর প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও শাহ পরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির প্রভাব শুধু ডাইনিং ক্যানটিনে নয় আমাদের সবার ওপরেই পড়ছে। আমরা হলের পক্ষ থেকে ডাইনিং ও ক্যানটিনের যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের সব ধরনের সাপোর্ট করছি। আমাদের শিক্ষার্থী ও তাঁদের (ডাইনিং ও ক্যানটিন পরিচালক) সবার কথায় চিন্তা করতে হয়। ২৫ টাকার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ৫০-৬০ টাকার মানের বিশেষ খাবার রাখছি। খাবারের দামের সঙ্গে মান ঠিক না থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪