জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
‘দুর্গতিনাশিনী’ শব্দটা শুনলে এক নারীর প্রতিচ্ছবি দেখা দেয় মনের চোখে, দুর্গা তাঁর নাম। দেবী দুর্গা এমনই এক নারী, যিনি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন তো করেনই, সঙ্গে অন্নহীনের মুখে জোগান অন্ন।
মহামায়া দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যে আসবেন গজে অর্থাৎ হাতির পিঠে চড়ে। আর মর্ত্য থেকে ফিরে যাবেন নৌকায়। গজে আগমন মানে শস্যপূর্ণ পৃথিবীর আভাস এবং নৌকায় গমনের অর্থ শস্য ও জল বৃদ্ধি। দুটিই পৃথিবীর জন্য, মানুষের জন্য মঙ্গলজনক। জগজ্জননী কি জগতের মঙ্গল না করে পারেন!
২. ঈদের দিন হিন্দু প্রতিবেশীকে বাড়িতে এসে সেমাই, পায়েস দিয়ে যেমন আপ্যায়ন করেছি, তেমনি পূজার সময় হিন্দু বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে নাড়ু খাওয়ার কথাও স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল। সেই সৌহার্দ্য কোথায় যেন হোঁচট খেয়েছে। সেভাবে হাতে হাত ধরে যেন এগোতে পারছে না।
আমাদের ছেলেবেলায় মসজিদ-মন্দিরে এতটা দূরত্ব ছিল না। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঙালির সম্মিলিত জয়যাত্রার কালে কিছুকালের জন্য মানুষে মানুষে ভেদাভেদ প্রায় দূর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতির চেয়ে হানাহানিটাই প্রকটিত ছিল রাজনৈতিক সময়ের বিভিন্ন বিন্দুতে। মানুষ হয়ে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মিলন ঘটানোর যে আকাঙ্ক্ষা মানুষের, তা যেন দূরবর্তী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়েই রয়ে গেল!
কাজী নজরুল ইসলাম এই ভেদাভেদের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছেন, তা খুবই সাহসী লড়াই। মানুষের জয়গান করতে গিয়ে তিনি হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মের গোঁড়াদেরই কোপানলে পড়েছেন। আর রবীন্দ্রনাথ? জীবনের পুরোটা পথ তিনি এগিয়েছেন জঞ্জাল সাফ করতে করতে। সে জঞ্জাল ধর্মের, সে জঞ্জাল সংস্কারের, আচারের।
সনাতন ধর্মমতে, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতেই পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী দুর্গার। শারদীয় এই উৎসবটিকে বলা হয় ‘সর্বজনীন’ উৎসব। মানুষে মানুষে মিলনের ক্ষেত্র হিসেবে উৎসবগুলো খুব বড় ভূমিকা পালন করে। সনাতন ধর্মের বর্ণবৈষম্য মানুষে মানুষে যে বিভেদ তৈরি করে রেখেছে, তা থেকেও কিন্তু মুক্তি দিতে পারে উৎসব। ওপর-নিচ, বড়লোক-গরিব ইত্যাদি বিভাজনের পথ অগ্রাহ্য করে মানুষ যদি মিলতে পারে, তবেই তো সার্থক হয় সে মিলন। নইলে, এক দিনের বা কয়েক দিনের জন্য এই মিলন হয় সত্য, তারপর যে-ই কে সেই। বিভেদগুলো টিকে থাকে।
অসুখটা তো সংক্রামক হয়ে গেছে। অসুর এসে লাগিয়ে দিচ্ছে ভজকট। এই অসুর এখন আসে নানা বেশে। বিষ্ণু দে বহু আগেই সে সত্যকে জেনেছেন। তাই লিখেছেন,
বাংলায় হাজার রূপে হাজার রাক্ষস
বহু ছল, ক্ষমতার হরেক কৌশল
তাই আত্মপরিচয় নেই, ব্যক্তি নেই,
সত্তা নেই।…
আত্মপরিচয়হীন হলে মানুষের কী থাকে? থাকে স্বার্থ, লোভ, ক্রোধ, অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হওয়ার বাসনা ইত্যাদি। এসব অসততা যত বাড়তে থাকে, শাস্ত্রমতে, দেবী দুর্গা ততই কঠোর হাতে তা দমন করার জন্য মর্ত্যে আসেন। এবারও আসছেন তিনি।
৩. শাস্ত্রে অনেক রকম বর্ণনা থাকে। তারই একটি এ রকম, স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করে স্বর্গরাজ্য অধিকার করে নিল মহিষাসুর। দেবতারা ব্রহ্মাকে জানালেন তাঁদের দুঃখের কথা। ব্রহ্মা দেবতাদের নিয়ে গেলেন শিব ও বিষ্ণুর কাছে। দেবতারা বর্ণনা করলেন মহিষাসুরের দৌরাত্ম্যের কাহিনি এবং নিজেদের অসহায়তার কথা। শুনে বিষ্ণু ও শিব ক্রুদ্ধ হলেন। পরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব এবং অন্য দেবগণের শরীর থেকে বিপুল তেজ নির্গত হয়ে এক নারীর দেহে রূপান্তরিত হলো। তিনিই জগজ্জননী মহামায়া দুর্গতিনাশিনী দুর্গা।
দুর্গা শক্তিশালী হন অনেকের বিপুল তেজে। অনেকের মিলিত শক্তি তাঁর কাছে পুঞ্জীভূত বলেই তিনি সর্বজনীন—সবার জন্য মঙ্গলময়ী। এ কারণেই তিনি জ্বলে উঠতে পারেন, শায়েস্তা করতে পারেন অন্যায়কারীকে। আমাদের চারদিকে যে অসত্য ও পেশিশক্তির দুর্দমনীয় উত্থান ঘটে চলেছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে হাতে হাত ধরে স্থিত হওয়া দরকার। দুর্গতিনাশিনীর কাছে সেই শক্তিই চাই আজ।
আমাদের ছেলেবেলায় জাতপাত বা হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব দূরে থাকতে পেরেছিল, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথের দিশা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে। বাংলার মাটিতে, বাংলার চিন্তায়, বাংলার আরাধনায় যে ঐক্যের সুর তখন বেজে উঠেছিল, সে সুরই বুঝিয়ে দিয়েছিল, ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই’। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সে অর্জনকে নিজেরাই ধূলিসাৎ করে দিয়েছি। ভেতরের পশুটি আবার বেরিয়ে এসেছে বাইরে। এই পশুকে বধ করার যে পথগুলোর সন্ধান করা হয়, তারই একটি পথের প্রতীকী রূপ দেবী দুর্গা। তিনি দুর্গতিনাশ করে কল্যাণ বয়ে আনবেন পৃথিবীতে।
কে না জানে, ধর্মীয় উৎসবের থাকে দুটো দিক। শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা ও প্রার্থনা একটি দিক। এটি বিশ্বাসী ভক্তদের জন্য। অন্যটি উৎসব। এই উৎসবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবহই বড় হয়ে ওঠে এবং এর ওপর অধিকার ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার।
দেবী দুর্গা আসছেন। মানুষের লক্ষ্য চিরতরে দুঃখের বিনাশ ও আনন্দ লাভ। দেবী দুর্গা মানুষের সে আকাঙ্ক্ষার মূর্ত রূপ দিতে পারেন। কিন্তু সে জন্য তো সত্যের পথে লড়াই করার শক্তি থাকতে হবে মানুষেরও। মানুষ সেই শক্তি অর্জন করতে পারলে দুর্গতিনাশিনীর মর্ত্যে আসা সার্থক হবে।
‘দুর্গতিনাশিনী’ শব্দটা শুনলে এক নারীর প্রতিচ্ছবি দেখা দেয় মনের চোখে, দুর্গা তাঁর নাম। দেবী দুর্গা এমনই এক নারী, যিনি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন তো করেনই, সঙ্গে অন্নহীনের মুখে জোগান অন্ন।
মহামায়া দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যে আসবেন গজে অর্থাৎ হাতির পিঠে চড়ে। আর মর্ত্য থেকে ফিরে যাবেন নৌকায়। গজে আগমন মানে শস্যপূর্ণ পৃথিবীর আভাস এবং নৌকায় গমনের অর্থ শস্য ও জল বৃদ্ধি। দুটিই পৃথিবীর জন্য, মানুষের জন্য মঙ্গলজনক। জগজ্জননী কি জগতের মঙ্গল না করে পারেন!
২. ঈদের দিন হিন্দু প্রতিবেশীকে বাড়িতে এসে সেমাই, পায়েস দিয়ে যেমন আপ্যায়ন করেছি, তেমনি পূজার সময় হিন্দু বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে নাড়ু খাওয়ার কথাও স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল। সেই সৌহার্দ্য কোথায় যেন হোঁচট খেয়েছে। সেভাবে হাতে হাত ধরে যেন এগোতে পারছে না।
আমাদের ছেলেবেলায় মসজিদ-মন্দিরে এতটা দূরত্ব ছিল না। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঙালির সম্মিলিত জয়যাত্রার কালে কিছুকালের জন্য মানুষে মানুষে ভেদাভেদ প্রায় দূর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতির চেয়ে হানাহানিটাই প্রকটিত ছিল রাজনৈতিক সময়ের বিভিন্ন বিন্দুতে। মানুষ হয়ে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মিলন ঘটানোর যে আকাঙ্ক্ষা মানুষের, তা যেন দূরবর্তী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়েই রয়ে গেল!
কাজী নজরুল ইসলাম এই ভেদাভেদের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছেন, তা খুবই সাহসী লড়াই। মানুষের জয়গান করতে গিয়ে তিনি হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মের গোঁড়াদেরই কোপানলে পড়েছেন। আর রবীন্দ্রনাথ? জীবনের পুরোটা পথ তিনি এগিয়েছেন জঞ্জাল সাফ করতে করতে। সে জঞ্জাল ধর্মের, সে জঞ্জাল সংস্কারের, আচারের।
সনাতন ধর্মমতে, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতেই পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী দুর্গার। শারদীয় এই উৎসবটিকে বলা হয় ‘সর্বজনীন’ উৎসব। মানুষে মানুষে মিলনের ক্ষেত্র হিসেবে উৎসবগুলো খুব বড় ভূমিকা পালন করে। সনাতন ধর্মের বর্ণবৈষম্য মানুষে মানুষে যে বিভেদ তৈরি করে রেখেছে, তা থেকেও কিন্তু মুক্তি দিতে পারে উৎসব। ওপর-নিচ, বড়লোক-গরিব ইত্যাদি বিভাজনের পথ অগ্রাহ্য করে মানুষ যদি মিলতে পারে, তবেই তো সার্থক হয় সে মিলন। নইলে, এক দিনের বা কয়েক দিনের জন্য এই মিলন হয় সত্য, তারপর যে-ই কে সেই। বিভেদগুলো টিকে থাকে।
অসুখটা তো সংক্রামক হয়ে গেছে। অসুর এসে লাগিয়ে দিচ্ছে ভজকট। এই অসুর এখন আসে নানা বেশে। বিষ্ণু দে বহু আগেই সে সত্যকে জেনেছেন। তাই লিখেছেন,
বাংলায় হাজার রূপে হাজার রাক্ষস
বহু ছল, ক্ষমতার হরেক কৌশল
তাই আত্মপরিচয় নেই, ব্যক্তি নেই,
সত্তা নেই।…
আত্মপরিচয়হীন হলে মানুষের কী থাকে? থাকে স্বার্থ, লোভ, ক্রোধ, অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হওয়ার বাসনা ইত্যাদি। এসব অসততা যত বাড়তে থাকে, শাস্ত্রমতে, দেবী দুর্গা ততই কঠোর হাতে তা দমন করার জন্য মর্ত্যে আসেন। এবারও আসছেন তিনি।
৩. শাস্ত্রে অনেক রকম বর্ণনা থাকে। তারই একটি এ রকম, স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করে স্বর্গরাজ্য অধিকার করে নিল মহিষাসুর। দেবতারা ব্রহ্মাকে জানালেন তাঁদের দুঃখের কথা। ব্রহ্মা দেবতাদের নিয়ে গেলেন শিব ও বিষ্ণুর কাছে। দেবতারা বর্ণনা করলেন মহিষাসুরের দৌরাত্ম্যের কাহিনি এবং নিজেদের অসহায়তার কথা। শুনে বিষ্ণু ও শিব ক্রুদ্ধ হলেন। পরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব এবং অন্য দেবগণের শরীর থেকে বিপুল তেজ নির্গত হয়ে এক নারীর দেহে রূপান্তরিত হলো। তিনিই জগজ্জননী মহামায়া দুর্গতিনাশিনী দুর্গা।
দুর্গা শক্তিশালী হন অনেকের বিপুল তেজে। অনেকের মিলিত শক্তি তাঁর কাছে পুঞ্জীভূত বলেই তিনি সর্বজনীন—সবার জন্য মঙ্গলময়ী। এ কারণেই তিনি জ্বলে উঠতে পারেন, শায়েস্তা করতে পারেন অন্যায়কারীকে। আমাদের চারদিকে যে অসত্য ও পেশিশক্তির দুর্দমনীয় উত্থান ঘটে চলেছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে হাতে হাত ধরে স্থিত হওয়া দরকার। দুর্গতিনাশিনীর কাছে সেই শক্তিই চাই আজ।
আমাদের ছেলেবেলায় জাতপাত বা হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব দূরে থাকতে পেরেছিল, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথের দিশা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে। বাংলার মাটিতে, বাংলার চিন্তায়, বাংলার আরাধনায় যে ঐক্যের সুর তখন বেজে উঠেছিল, সে সুরই বুঝিয়ে দিয়েছিল, ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই’। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সে অর্জনকে নিজেরাই ধূলিসাৎ করে দিয়েছি। ভেতরের পশুটি আবার বেরিয়ে এসেছে বাইরে। এই পশুকে বধ করার যে পথগুলোর সন্ধান করা হয়, তারই একটি পথের প্রতীকী রূপ দেবী দুর্গা। তিনি দুর্গতিনাশ করে কল্যাণ বয়ে আনবেন পৃথিবীতে।
কে না জানে, ধর্মীয় উৎসবের থাকে দুটো দিক। শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা ও প্রার্থনা একটি দিক। এটি বিশ্বাসী ভক্তদের জন্য। অন্যটি উৎসব। এই উৎসবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবহই বড় হয়ে ওঠে এবং এর ওপর অধিকার ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার।
দেবী দুর্গা আসছেন। মানুষের লক্ষ্য চিরতরে দুঃখের বিনাশ ও আনন্দ লাভ। দেবী দুর্গা মানুষের সে আকাঙ্ক্ষার মূর্ত রূপ দিতে পারেন। কিন্তু সে জন্য তো সত্যের পথে লড়াই করার শক্তি থাকতে হবে মানুষেরও। মানুষ সেই শক্তি অর্জন করতে পারলে দুর্গতিনাশিনীর মর্ত্যে আসা সার্থক হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪