ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। কাল রোববার গণধর্ষণ ঘটনার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ধর্ষণ মামলা ও চলতি বছরের মে মাসে চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও আজও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। এতে রাষ্ট্রপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার বাদী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, এজাহারকারী ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণের বিষয়টি নজরে আনলে হাইকোর্ট রুল ইস্যু করে সরকারপক্ষকে এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য প্রদানের নোটিশ জারি করেন। হাইকোর্টের বাৎসরিক ছুটির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি জামিন পাননি।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সবসময়ই প্রস্তুত ছিলাম; কিন্তু বাদী এই ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যেতে চান। তিনি উচ্চ আদালতে একটি রিটও করেছেন। উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশের কপি এখনো আমরা পাইনি। এ জন্য আপাতত এই ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম এভাবেই চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, দুটি মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও দীর্ঘদিনে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়ায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী গত ১ আগস্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৬ আগস্ট দুই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশের কপি বাদীপক্ষের হাতে এখনো আসেনি বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
এর আগে, গত ২৭ জুলাই আসামি রবিউল ইসলামের জামিন শুনানিতে মামলার বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাক্ষ্য কেন শুরু করা হয় না মর্মে রাষ্ট্রপক্ষকে গত ২১ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক। ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার মামলার সর্বশেষ ধার্য তারিখে এর জবাব দেওয়া হয়নি। ওইদিন কোনো আসামিকেও এজলাসে তোলা হয়নি বলে বাদীপক্ষ জানিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখলাম আসামি সবাই সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের লোকদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে এসব টালবাহানার মাধ্যমে বিচারকাজ বিলম্বিত করছেন।’
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। কাল রোববার গণধর্ষণ ঘটনার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ধর্ষণ মামলা ও চলতি বছরের মে মাসে চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও আজও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। এতে রাষ্ট্রপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার বাদী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, এজাহারকারী ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণের বিষয়টি নজরে আনলে হাইকোর্ট রুল ইস্যু করে সরকারপক্ষকে এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য প্রদানের নোটিশ জারি করেন। হাইকোর্টের বাৎসরিক ছুটির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি জামিন পাননি।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সবসময়ই প্রস্তুত ছিলাম; কিন্তু বাদী এই ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যেতে চান। তিনি উচ্চ আদালতে একটি রিটও করেছেন। উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশের কপি এখনো আমরা পাইনি। এ জন্য আপাতত এই ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম এভাবেই চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, দুটি মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও দীর্ঘদিনে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়ায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী গত ১ আগস্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৬ আগস্ট দুই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশের কপি বাদীপক্ষের হাতে এখনো আসেনি বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
এর আগে, গত ২৭ জুলাই আসামি রবিউল ইসলামের জামিন শুনানিতে মামলার বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাক্ষ্য কেন শুরু করা হয় না মর্মে রাষ্ট্রপক্ষকে গত ২১ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক। ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার মামলার সর্বশেষ ধার্য তারিখে এর জবাব দেওয়া হয়নি। ওইদিন কোনো আসামিকেও এজলাসে তোলা হয়নি বলে বাদীপক্ষ জানিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখলাম আসামি সবাই সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের লোকদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে এসব টালবাহানার মাধ্যমে বিচারকাজ বিলম্বিত করছেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪