সম্পাদকীয়
জীবনের সবচেয়ে কঠিন কথাগুলো সবচেয়ে সহজভাবে বলতে পারতেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’, কথাটা ঠিক। কিন্তু কঠিন কথা যে সহজে বলা যায়, তার উদাহরণ দিতে হলে তো সুভাষ মুখোপাধ্যায়েই এসে থামতে হবে সবার আগে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মিছিলের মুখ’ কবিতাটি পড়ে অনেক মেয়েই ভাবছেন, মেয়েটির মুখের আদল বুঝি তার সঙ্গেই মেলে। সুভাষ আর গীতার বিয়ে হতেই মিছিলের মুখটা চেনা হয়ে গেল সবার। গীতা না থাকলে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে ঘর-সংসার করা বোধ হয় সম্ভব হতো না।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে সুভাষ-গীতা চলে গিয়েছিলেন বজবজে। সেখানে শ্রমিক পরিবেষ্টিত অবস্থায় ভালোই ছিলেন তাঁরা। দু-চারজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে তখন লেখালেখির পরিকল্পনা করছেন সুভাষ এবং সেই ভাবনারই ফসল ‘ভূতের বেগার’ নামে এক অসামান্য বই।
কিন্তু বইটি পছন্দ হলো না কমিউনিস্ট পার্টির বড় বড় নেতার। তাঁরা খুবই অপছন্দ করলেন বইটিকে। কোন কথা অপছন্দ হয়েছিল তাঁদের? বইটিতে লেখা ছিল ‘গরিব মানুষ গতর খাটায়’। এ কথায় আপত্তি করার কী থাকতে পারে, সেটা শুধু ওই কমিউনিস্ট নেতারাই জানেন। পরবর্তীকালে এই কমিউনিস্টদের হাতেই লেখালেখি নিয়ে কম বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে।
একটা সুখের ঘটনা বলি। ১৯৫৮ সালে উমা সেহানবীশ যাচ্ছেন স্টকহোমে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে। সে কথা শুনে সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন নাজিম হিকমতের কবিতার যে অনুবাদ করেছিলেন, সে বইটি। স্টকহোমে পৌঁছে উমা নাজিম হিকমতকে দেখছেন কিন্তু কাছে যেতে পারছেন না, সব সময়ই তিনি লোক-পরিবেষ্টিত।
একবার পেয়ে গেলেন। বইটি দিলেন তাঁর হাতে। দোভাষীকে ডেকে আনলেন। বইয়ে সুভাষের নাম দেখে নাজিম হিকমত উমার হাতে চুম্বন করলেন এবং সুভাষেরই সম্মানে কফি কর্নারে নিয়ে গিয়ে দুর্লভ কফি খাওয়ালেন। সুভাষের জন্য উমা সেদিন গর্ববোধ করেছিলেন।সামনাসামনি না হোক, সুভাষ আর নাজিমের মোলাকাত তো হলো!
সূত্র: অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়, লেখকের মুখোমুখি, পৃষ্ঠা ২৮৮-২৮৯
জীবনের সবচেয়ে কঠিন কথাগুলো সবচেয়ে সহজভাবে বলতে পারতেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’, কথাটা ঠিক। কিন্তু কঠিন কথা যে সহজে বলা যায়, তার উদাহরণ দিতে হলে তো সুভাষ মুখোপাধ্যায়েই এসে থামতে হবে সবার আগে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মিছিলের মুখ’ কবিতাটি পড়ে অনেক মেয়েই ভাবছেন, মেয়েটির মুখের আদল বুঝি তার সঙ্গেই মেলে। সুভাষ আর গীতার বিয়ে হতেই মিছিলের মুখটা চেনা হয়ে গেল সবার। গীতা না থাকলে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে ঘর-সংসার করা বোধ হয় সম্ভব হতো না।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে সুভাষ-গীতা চলে গিয়েছিলেন বজবজে। সেখানে শ্রমিক পরিবেষ্টিত অবস্থায় ভালোই ছিলেন তাঁরা। দু-চারজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে তখন লেখালেখির পরিকল্পনা করছেন সুভাষ এবং সেই ভাবনারই ফসল ‘ভূতের বেগার’ নামে এক অসামান্য বই।
কিন্তু বইটি পছন্দ হলো না কমিউনিস্ট পার্টির বড় বড় নেতার। তাঁরা খুবই অপছন্দ করলেন বইটিকে। কোন কথা অপছন্দ হয়েছিল তাঁদের? বইটিতে লেখা ছিল ‘গরিব মানুষ গতর খাটায়’। এ কথায় আপত্তি করার কী থাকতে পারে, সেটা শুধু ওই কমিউনিস্ট নেতারাই জানেন। পরবর্তীকালে এই কমিউনিস্টদের হাতেই লেখালেখি নিয়ে কম বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে।
একটা সুখের ঘটনা বলি। ১৯৫৮ সালে উমা সেহানবীশ যাচ্ছেন স্টকহোমে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে। সে কথা শুনে সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন নাজিম হিকমতের কবিতার যে অনুবাদ করেছিলেন, সে বইটি। স্টকহোমে পৌঁছে উমা নাজিম হিকমতকে দেখছেন কিন্তু কাছে যেতে পারছেন না, সব সময়ই তিনি লোক-পরিবেষ্টিত।
একবার পেয়ে গেলেন। বইটি দিলেন তাঁর হাতে। দোভাষীকে ডেকে আনলেন। বইয়ে সুভাষের নাম দেখে নাজিম হিকমত উমার হাতে চুম্বন করলেন এবং সুভাষেরই সম্মানে কফি কর্নারে নিয়ে গিয়ে দুর্লভ কফি খাওয়ালেন। সুভাষের জন্য উমা সেদিন গর্ববোধ করেছিলেন।সামনাসামনি না হোক, সুভাষ আর নাজিমের মোলাকাত তো হলো!
সূত্র: অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়, লেখকের মুখোমুখি, পৃষ্ঠা ২৮৮-২৮৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫