Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে নৌকা চান ৪৯ জন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৫৯
সীতাকুণ্ডে নৌকা চান ৪৯ জন

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন চান ৯ ইউনিয়নে ৪৯ জন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯ ইউপিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ নির্বাচন করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়ীয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৯৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৯০ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৫ জন। প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে ৯টি করে ভোট কেন্দ্র।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা জানান, তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে ২০ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চান ৪৯ জন। এর মধ্যে সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৮ জন, বারৈয়ারঢালায় ৫ জন, মুরাদপুরে ৫ জন, বাড়বকুণ্ডে ৬ জন, বাঁশবাড়িয়ায় ৩ জন, কুমিরায় ৫ জন, সোনাইছড়িতে ৪ জন, ভাটিয়ারীতে ৭ জন এবং সলিমপুর ইউনিয়নে ৬ জন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন জানান, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের সমন্বয়ে বর্ধিত সভার মাধ্যমে তালিকা করার পর তা উত্তর জেলা নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর বিষয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে গত রোববার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তালিকাটি তাঁরা যাচাই-বাছাই শেষে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

অন্যদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রস্তুত আছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত, এই সরকারের অধীনে দল আর কোনো নির্বাচনে যাবে না।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণে দলীয় হাইকমান্ডের অনুমতি নেই। কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ আমাদের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন। তাই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না।’

অন্যদিকে এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বার পদে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রার্থী না দিলেও একাধিক বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে স্থানীয়ভাবে গুঞ্জন রয়েছে। সব মিলিয়ে উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমেই নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত