কৌশিক হাসান মামুন, বারহাট্টা
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিতে ছোট-বড় প্রায় ৭০টি দোকান তোলা হয়েছে। এক জায়গায় এত দোকানঘর তুলতে গিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের বের হওয়ার রাস্তাও বন্ধ করার অভিযোগ রয়েছে দখলদারদের বিরুদ্ধে।
এসব দোকান থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দখলদারেরা। কোনো কোনো দোকানের পেছনের দেয়াল পেছাতে পেছাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। এ যেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি দখলের হিড়িক।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এক একর জমিতে গড়ে তোলা হয় ৪০টি ঘর। বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি অতিথপুর বাজারের দোকানদারদের দখল ও কংশ নদের ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। জমি দখলমুক্ত করার জন্য ২০০৭ সালে আদালতে মামলা করা হয়। ২০১২ সালে মামলার রায় সরকারের পক্ষে আসলেও অজানা কারণে প্রকল্পের খাসজমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়নি। বারবার প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে দাবি প্রকল্পের বাসিন্দাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন, প্রকল্পটি নেত্রকোনা জেলার প্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প। আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার চাই। আমাদের সরকার প্রথমে যে এক একর জমি দলিল করে দিয়েছিল সেই জমির হিসাব চাই। আমাদের বেশি জমির দরকার নেই। আমরা শুরুর এক একর জমি বুঝে নিতে চাই। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে এই দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো প্রশাসনই আমাদের ওই এক একর জমি বুঝিয়ে দিতে আসেননি। এমনকি মামলার রায় সরকারের পক্ষে আসার পরও প্রশাসন খোঁজ নিতে আসেনি। আমরা বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম সভাপতি মোর্শেদ আলী ফয়েজ বলেন, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সেনাবাহিনী এসে অথিতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি তৈরি করে দিয়েছিল। শুরুর থেকেই এখানে আমরা ৪০টি পরিবার বসবাস করছি। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতা–কর্মীরা আমাদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে। আর তখন থেকেই শুরু হয় দখলদারি। বর্তমানে আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক একর জমির বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। আর দুই চার বছর পরে বাকি জমিটুকুও দখল হয়ে যাবে। আর তখন আশ্রয়ণ প্রকল্প বলতে আর কিছুই থাকবে না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বর্তমান সভাপতি মো. কাচালি মিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের এক একর জমি বুঝে নিতে চাই। প্রশাসন আমাদের এই দাবি কেন মানছে না ঠিক বুঝতে পারছি না। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা কেউ ভয়ে কথা বলতে চায় না। কারণ যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি অবৈধভাবে দখল করেছে তাঁরা প্রকল্পের বাসিন্দাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
আশ্রয়ণের জমি দখলের বিষয়ে সোহেল নামের এক দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা দোকান করেছেন তাঁদের সবার কাছেই বৈধ কাগজপত্র আছে। আপনাদের কাছে কী কাগজ আছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দোকানের জমি তাঁরা কিনে নিয়েছেন। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি খাসজমি আপনাদের কাছে বিক্রি করল কে—এমন প্রশ্নে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের বাসিন্দারা তাঁদের মামলার রায়ের কপিসহ লিখিত অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। কারণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা অন্যায়ভাবে কেউ দখল করতে পারে না, আর পারবেও না।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিতে ছোট-বড় প্রায় ৭০টি দোকান তোলা হয়েছে। এক জায়গায় এত দোকানঘর তুলতে গিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের বের হওয়ার রাস্তাও বন্ধ করার অভিযোগ রয়েছে দখলদারদের বিরুদ্ধে।
এসব দোকান থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দখলদারেরা। কোনো কোনো দোকানের পেছনের দেয়াল পেছাতে পেছাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। এ যেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি দখলের হিড়িক।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এক একর জমিতে গড়ে তোলা হয় ৪০টি ঘর। বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি অতিথপুর বাজারের দোকানদারদের দখল ও কংশ নদের ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। জমি দখলমুক্ত করার জন্য ২০০৭ সালে আদালতে মামলা করা হয়। ২০১২ সালে মামলার রায় সরকারের পক্ষে আসলেও অজানা কারণে প্রকল্পের খাসজমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়নি। বারবার প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে দাবি প্রকল্পের বাসিন্দাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন, প্রকল্পটি নেত্রকোনা জেলার প্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প। আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার চাই। আমাদের সরকার প্রথমে যে এক একর জমি দলিল করে দিয়েছিল সেই জমির হিসাব চাই। আমাদের বেশি জমির দরকার নেই। আমরা শুরুর এক একর জমি বুঝে নিতে চাই। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে এই দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো প্রশাসনই আমাদের ওই এক একর জমি বুঝিয়ে দিতে আসেননি। এমনকি মামলার রায় সরকারের পক্ষে আসার পরও প্রশাসন খোঁজ নিতে আসেনি। আমরা বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম সভাপতি মোর্শেদ আলী ফয়েজ বলেন, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সেনাবাহিনী এসে অথিতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি তৈরি করে দিয়েছিল। শুরুর থেকেই এখানে আমরা ৪০টি পরিবার বসবাস করছি। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতা–কর্মীরা আমাদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে। আর তখন থেকেই শুরু হয় দখলদারি। বর্তমানে আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক একর জমির বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। আর দুই চার বছর পরে বাকি জমিটুকুও দখল হয়ে যাবে। আর তখন আশ্রয়ণ প্রকল্প বলতে আর কিছুই থাকবে না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বর্তমান সভাপতি মো. কাচালি মিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের এক একর জমি বুঝে নিতে চাই। প্রশাসন আমাদের এই দাবি কেন মানছে না ঠিক বুঝতে পারছি না। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা কেউ ভয়ে কথা বলতে চায় না। কারণ যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি অবৈধভাবে দখল করেছে তাঁরা প্রকল্পের বাসিন্দাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
আশ্রয়ণের জমি দখলের বিষয়ে সোহেল নামের এক দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা দোকান করেছেন তাঁদের সবার কাছেই বৈধ কাগজপত্র আছে। আপনাদের কাছে কী কাগজ আছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দোকানের জমি তাঁরা কিনে নিয়েছেন। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি খাসজমি আপনাদের কাছে বিক্রি করল কে—এমন প্রশ্নে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের বাসিন্দারা তাঁদের মামলার রায়ের কপিসহ লিখিত অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। কারণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা অন্যায়ভাবে কেউ দখল করতে পারে না, আর পারবেও না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪