Ajker Patrika

আকাশে উড়ল ডলফিন, বাঘ সৈকতে মুগ্ধ পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ০৯: ০৩
আকাশে উড়ল ডলফিন, বাঘ সৈকতে মুগ্ধ পর্যটক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর আবারও কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত পর্যটকে ভরপুর হয়ে গেছে। দর্শনার্থীরা নানাভাবে আনন্দে সময় পার করছেন। গত শনিবার সৈকতের আকাশে কখনো মেঘ, কখনো রোদ ছিল। বিকেলের শান্ত সৈকতে সূর্য হেলে পড়ছিল। ঠিক এ সময় পর্যটকেরা ঘুড়ি নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।

সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও ঢাকাবাসী নামের সংগঠন। মুজিববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে এবং বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে সংগঠন দুটি দেশের বিভিন্ন স্থানে এ উৎসব করে আসছে।

‍বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সৈকতের আকাশজুড়ে উড়তে শুরু করে রং-বেরঙের ঘুড়ি। ডলফিন, মাছরাঙা, ইগল, জেলিফিশ, বাঘ, অজগরসহ বিভিন্ন আকৃতির প্রাণীর অবয়বে এসব ঘুড়ি বানানো। প্রাণীর আকাশে ওড়া দেখছেন দর্শনার্থীরা আর অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টি সুতার দিকে। অর্ধশতাধিক অংশগ্রহণকারীর হাতের সুতোয় বাঁধা ঘড়িগুলো যেন দূর আকাশে হারিয়ে যাচ্ছিল। এ দৃশ্যে মুগ্ধ পর্যটকেরা। আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা।

উৎসবের উদ্বোধন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। শিশু-কিশোর বয়সে ঘুড়ি ওড়ায়নি, এমন মানুষের সংখ্যা কম। বহু বছর পর ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে পেরে আনন্দ পেয়েছি। এ ধরনের উৎসব পর্যটনশিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

উৎসবে অংশ নেওয়া চকরিয়ার আমিনুল করিম বলেন, ‘ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াউড়ি করতাম। গ্রামের মাঠে-ময়দানে ঘুড়ির মেলা বসত। এখন তা হারিয়ে যাচ্ছে।’

অংশগ্রহণকারী নুসরাত নামের এক নারী জানান, দিগন্ত ছোঁয়া আকাশ ও সমুদ্রসৈকতের বাতাসে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দই আলাদা। বেশ ভালো লেগেছে তাঁর।

বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও ঢাকাবাসীর সভাপতি মো. শুকুর সালেহ বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে আসছি। এরই অংশ হিসেবে সৈকতে ঘুড়ি উৎসব করা হয়েছে।’ পর্যটনশিল্প বিকাশে প্রতিবছর সৈকতে উৎসবটি চালু রাখার কথা জানান তিনি। এ ছাড়া বাঙালি জাতির ঐতিহ্যকে টিকায়ে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত