মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
আসছে অমর একুশে বইমেলা। অসংখ্য স্টল, প্যাভিলিয়ন ভরে উঠবে নানা ধরনের বই-পুস্তকে। জ্ঞানচর্চার একটা জায়গা তৈরি হবে। হাজার হাজার মানুষের পদভারে, কলকাকলিতে মুখর হবে বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ। নতুন লেখক, প্রকাশকদেরও আগমন ঘটবে। বই বিক্রিও হবে প্রচুর। মেলা শেষ হবে। প্রকাশক ও লেখকদের মধ্যে একটা দীর্ঘশ্বাস। সারা বছর আর কি বই বিক্রি হবে? কোথায় বিক্রি হবে?
বইপ্রেমীদের বড় অংশটাও তাঁদের কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়ে পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবেন। কিন্তু এ অবস্থাটা কি স্বাভাবিক? কোথাও কি বই বিপণন বাকি ১১ মাস বন্ধ থাকে? থাকার কথা নয়। বাড়ির কাছেই কলকাতা। কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের এত বিপণন চলে যেন সারা বছরই বইমেলা চলতে থাকে। যদিও কলকাতায়ও একটি বইমেলা হয়ে থাকে। সেখানেও প্রচুর বইপ্রেমী ভিড় করে থাকেন। বই বিপণনের সেটাও একটা ক্ষেত্র। আর ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলার কথাও তো আমরা জানি।
সবচেয়ে বেশি নাটক দেখেছি আমি লাতিন আমেরিকায়। এমন বইপ্রেমী মানুষের জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা আর কোথায় আছে, জানি না। ঢাকার বাংলাবাজারে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাইকারি দোকানের স্থান। খুচরা বই কেনাবেচার জন্য গড়ে উঠেছিল একটা আজিজ সুপার মার্কেট। সেটাও একসময় ক্লিশে হয়ে গেল। বুটিকের দোকানের কাছে পরাজিত হলো একসময়ের বইয়ের বাজার। এই সংবাদটা সবাই জানেন যে আজিজ মার্কেটে গেলে দুর্লভ বইগুলো পাওয়া যায়। সেটাও গেল!
এখন অবশ্য কাটাবনে একটা বইয়ের বাজার হচ্ছে। কিন্তু সেটারও পরিসর বড় নয়। বইয়ের বাজার একসময় গড়ে উঠেছিল প্রকাশকদের উদ্যোগে। একেবারে ছোট আকারে। কলেজ স্ট্রিটের প্রথম বইয়ের দোকানটি দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এর মানে দুই শ বছর ধরে এ জায়গাটি বইয়ের বিপণনক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
আমাদের নতুন দেশ। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান এই শহরটায়, এই পূর্ব বাংলার জন্য তেমন কিছু করেনি। তাই উদ্যোগটা সরকার নিলেই তা একটা পরিণতির দিকে যায়। একদা মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা বইমেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই তাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ শুরু হলো, তখনই তা বিশাল আকার ধারণ করেছে। তাই আজিজ মার্কেটকে রক্ষা করার দায়িত্ব যদি সরকার নিত, তাহলেই তা একটা ভালো পরিণতি পেত। এর মধ্যেই পাঠক সমাবেশ বড় বইয়ের দোকান করেছে। বাতিঘর ঢাকায়, চট্টগ্রামে, সিলেটে বেশ বড় বইয়ের বিপণন ও প্রকাশনা করেছে। সম্প্রতি মিরপুরেও বই প্রকাশনা সংস্থা ও একটা বিশাল বিপণনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এগুলোর জন্য ঝুঁকি নিয়েছেন ব্যক্তিবিশেষ।
যদি একটা নির্দিষ্ট স্থানে বড় কোনো বই বিপণনকেন্দ্র গড়ে তোলা যায়, তাহলে পাঠকদেরও বই খুঁজে নেওয়ার জায়গা তৈরি হয়। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এই উদ্যোগগুলো নিতে পারে। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এই উদ্যোগগুলো নিতে পারে। প্রতিটি পৌরসভায় বইয়ের বিপণনের একটা জায়গা তৈরি করা জরুরি। কত ফালতু কাজের জন্য জায়গা দেওয়া হয়, অথচ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্যই এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভাষার মাসে আমরা সেসব স্মরণ করে থাকি। তাহলে সংস্কৃতিচর্চার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই ব্যবস্থা থাকবে না কেন?
এই ঢাকা শহরে এত জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যা বিন্যস্ত আছে মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকায়। এই জনগোষ্ঠীর জন্য থিয়েটার হল, লাইব্রেরি, সিনেমা হল নেই। এটা কি ভাবা যায়! এসব জায়গায় পাঠ্যবইয়ের দোকান হয়তো আছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘অপাঠ্য বই’ বা যেসব বই পড়ে মানুষ জ্ঞানী হয়, এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব তো নাগরিক অধিকার।
অন্যদিকে, রেস্টুরেন্টের জন্য কী চমৎকার ব্যবস্থা! ভোগী খাদ্যরসিক বাঙালি মুসলমানদের রয়েছে বিপুল খাদ্যভান্ডার। ধানমন্ডির একটি রাস্তার ওপরেই দেড় সহস্রাধিক উঁচুমানের খাবারের দোকান। কী ভিড় সেগুলোয়! উচ্চমূল্যের এই খাবারের দোকানে কী ভিড়! লুটেরা সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের জীবন যাপন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাদের জন্য ঢাকায় বড় বড় বেসরকারি হাসপাতাল। এরপর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রায় ভারত, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার ব্যবস্থা। তাদের মাথায় যদি সংস্কৃতিটা ঢুকত, তাহলে তারা লুটেরা হতো না। এসব কথা কাকেইবা বোঝাব?
চারুকলার সামনে একটা চারুশিল্পের বাজার হয়ে গেল। সেখানে শিল্পকর্ম বিক্রি হতো। শিল্পীদের আড্ডা হতো। কিন্তু দেখা গেল কিছু মাদকাসক্তও জায়গা করে নিল। যেমন হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সেসব মাদকাসক্তকে নির্মূল করার চেয়ে জায়গাটিকেই বন্ধ করে দিল। কী চমৎকার একটা জায়গা হয়েছিল শিল্পীদের জন্য, শিল্পমোদীদের জন্য। অথচ বন্ধ করে দেওয়া হলো। ফল দাঁড়াল এই যে শিল্পী ও শিল্পমোদীরা চলে গেল, মাদকাসক্তরা থেকে গেল! ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চেরও তা-ই হয়েছে। সারা দেশের এই সব স্থান তারাই দখল করেছে।
বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলো প্রধানত ইসলামি সংস্কৃতির উপাসক। বাম দলগুলো নানা তত্ত্ব নিয়ে তাদের সহযোগী। আবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে সরকার গঠন হলো, তা-ও নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এসব ধারায় আমরা যারা সংস্কৃতিসেবী, তাদের জায়গাটা কোথায়?
সত্যি একটা বিপর্যয়কর জায়গায় আমরা অবস্থান করছি। আমাদের যেসব বাঙালি প্রবাসে আছেন, বইমেলায় আসেন, নিজের বই প্রকাশ করেন, তাঁরাও বিপদে আছেন। যাঁরা চান সারা বছর বাংলাদেশের বই বিপণন হয়, তাঁদের গুরুত্ব কম নয়। তাই আমার প্রার্থনা—বাংলাদেশে বই বিপণন সারা বছর হোক। সরকার এটা নিয়ে ভাবুক।
মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
আসছে অমর একুশে বইমেলা। অসংখ্য স্টল, প্যাভিলিয়ন ভরে উঠবে নানা ধরনের বই-পুস্তকে। জ্ঞানচর্চার একটা জায়গা তৈরি হবে। হাজার হাজার মানুষের পদভারে, কলকাকলিতে মুখর হবে বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ। নতুন লেখক, প্রকাশকদেরও আগমন ঘটবে। বই বিক্রিও হবে প্রচুর। মেলা শেষ হবে। প্রকাশক ও লেখকদের মধ্যে একটা দীর্ঘশ্বাস। সারা বছর আর কি বই বিক্রি হবে? কোথায় বিক্রি হবে?
বইপ্রেমীদের বড় অংশটাও তাঁদের কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়ে পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবেন। কিন্তু এ অবস্থাটা কি স্বাভাবিক? কোথাও কি বই বিপণন বাকি ১১ মাস বন্ধ থাকে? থাকার কথা নয়। বাড়ির কাছেই কলকাতা। কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের এত বিপণন চলে যেন সারা বছরই বইমেলা চলতে থাকে। যদিও কলকাতায়ও একটি বইমেলা হয়ে থাকে। সেখানেও প্রচুর বইপ্রেমী ভিড় করে থাকেন। বই বিপণনের সেটাও একটা ক্ষেত্র। আর ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলার কথাও তো আমরা জানি।
সবচেয়ে বেশি নাটক দেখেছি আমি লাতিন আমেরিকায়। এমন বইপ্রেমী মানুষের জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা আর কোথায় আছে, জানি না। ঢাকার বাংলাবাজারে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাইকারি দোকানের স্থান। খুচরা বই কেনাবেচার জন্য গড়ে উঠেছিল একটা আজিজ সুপার মার্কেট। সেটাও একসময় ক্লিশে হয়ে গেল। বুটিকের দোকানের কাছে পরাজিত হলো একসময়ের বইয়ের বাজার। এই সংবাদটা সবাই জানেন যে আজিজ মার্কেটে গেলে দুর্লভ বইগুলো পাওয়া যায়। সেটাও গেল!
এখন অবশ্য কাটাবনে একটা বইয়ের বাজার হচ্ছে। কিন্তু সেটারও পরিসর বড় নয়। বইয়ের বাজার একসময় গড়ে উঠেছিল প্রকাশকদের উদ্যোগে। একেবারে ছোট আকারে। কলেজ স্ট্রিটের প্রথম বইয়ের দোকানটি দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এর মানে দুই শ বছর ধরে এ জায়গাটি বইয়ের বিপণনক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
আমাদের নতুন দেশ। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান এই শহরটায়, এই পূর্ব বাংলার জন্য তেমন কিছু করেনি। তাই উদ্যোগটা সরকার নিলেই তা একটা পরিণতির দিকে যায়। একদা মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা বইমেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই তাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ শুরু হলো, তখনই তা বিশাল আকার ধারণ করেছে। তাই আজিজ মার্কেটকে রক্ষা করার দায়িত্ব যদি সরকার নিত, তাহলেই তা একটা ভালো পরিণতি পেত। এর মধ্যেই পাঠক সমাবেশ বড় বইয়ের দোকান করেছে। বাতিঘর ঢাকায়, চট্টগ্রামে, সিলেটে বেশ বড় বইয়ের বিপণন ও প্রকাশনা করেছে। সম্প্রতি মিরপুরেও বই প্রকাশনা সংস্থা ও একটা বিশাল বিপণনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এগুলোর জন্য ঝুঁকি নিয়েছেন ব্যক্তিবিশেষ।
যদি একটা নির্দিষ্ট স্থানে বড় কোনো বই বিপণনকেন্দ্র গড়ে তোলা যায়, তাহলে পাঠকদেরও বই খুঁজে নেওয়ার জায়গা তৈরি হয়। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এই উদ্যোগগুলো নিতে পারে। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এই উদ্যোগগুলো নিতে পারে। প্রতিটি পৌরসভায় বইয়ের বিপণনের একটা জায়গা তৈরি করা জরুরি। কত ফালতু কাজের জন্য জায়গা দেওয়া হয়, অথচ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্যই এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভাষার মাসে আমরা সেসব স্মরণ করে থাকি। তাহলে সংস্কৃতিচর্চার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই ব্যবস্থা থাকবে না কেন?
এই ঢাকা শহরে এত জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যা বিন্যস্ত আছে মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকায়। এই জনগোষ্ঠীর জন্য থিয়েটার হল, লাইব্রেরি, সিনেমা হল নেই। এটা কি ভাবা যায়! এসব জায়গায় পাঠ্যবইয়ের দোকান হয়তো আছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘অপাঠ্য বই’ বা যেসব বই পড়ে মানুষ জ্ঞানী হয়, এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব তো নাগরিক অধিকার।
অন্যদিকে, রেস্টুরেন্টের জন্য কী চমৎকার ব্যবস্থা! ভোগী খাদ্যরসিক বাঙালি মুসলমানদের রয়েছে বিপুল খাদ্যভান্ডার। ধানমন্ডির একটি রাস্তার ওপরেই দেড় সহস্রাধিক উঁচুমানের খাবারের দোকান। কী ভিড় সেগুলোয়! উচ্চমূল্যের এই খাবারের দোকানে কী ভিড়! লুটেরা সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের জীবন যাপন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাদের জন্য ঢাকায় বড় বড় বেসরকারি হাসপাতাল। এরপর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রায় ভারত, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার ব্যবস্থা। তাদের মাথায় যদি সংস্কৃতিটা ঢুকত, তাহলে তারা লুটেরা হতো না। এসব কথা কাকেইবা বোঝাব?
চারুকলার সামনে একটা চারুশিল্পের বাজার হয়ে গেল। সেখানে শিল্পকর্ম বিক্রি হতো। শিল্পীদের আড্ডা হতো। কিন্তু দেখা গেল কিছু মাদকাসক্তও জায়গা করে নিল। যেমন হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সেসব মাদকাসক্তকে নির্মূল করার চেয়ে জায়গাটিকেই বন্ধ করে দিল। কী চমৎকার একটা জায়গা হয়েছিল শিল্পীদের জন্য, শিল্পমোদীদের জন্য। অথচ বন্ধ করে দেওয়া হলো। ফল দাঁড়াল এই যে শিল্পী ও শিল্পমোদীরা চলে গেল, মাদকাসক্তরা থেকে গেল! ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চেরও তা-ই হয়েছে। সারা দেশের এই সব স্থান তারাই দখল করেছে।
বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলো প্রধানত ইসলামি সংস্কৃতির উপাসক। বাম দলগুলো নানা তত্ত্ব নিয়ে তাদের সহযোগী। আবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে সরকার গঠন হলো, তা-ও নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এসব ধারায় আমরা যারা সংস্কৃতিসেবী, তাদের জায়গাটা কোথায়?
সত্যি একটা বিপর্যয়কর জায়গায় আমরা অবস্থান করছি। আমাদের যেসব বাঙালি প্রবাসে আছেন, বইমেলায় আসেন, নিজের বই প্রকাশ করেন, তাঁরাও বিপদে আছেন। যাঁরা চান সারা বছর বাংলাদেশের বই বিপণন হয়, তাঁদের গুরুত্ব কম নয়। তাই আমার প্রার্থনা—বাংলাদেশে বই বিপণন সারা বছর হোক। সরকার এটা নিয়ে ভাবুক।
মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪