Ajker Patrika

ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০২৩ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কমলনগরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এসএসসি এবং দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা বিভিন্ন অজুহাতে এসব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ফি ২ হাজার ১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫, কেন্দ্র ফি ৫১৫ রয়েছে। তবে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ ও টাকা কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকাসহ মোট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০ টাকা। এ বছর দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের এই নীতিমালা মানেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। তারা ২ হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি নিয়ে ফরম পূরণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে প্রতি বিষয়ে ১২০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।

চরলরেন্স উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুর রহমান, ফজলে এলাহী, তানভির, আল ইমরান, শাকিল, রাকিব জানায়, এবার ফরম পূরণের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন।

চরলরেঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয়বার নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়েছেন। পরীক্ষার ফি নিয়েছেন ৫০০ টাকা এবং যারা নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য ৫০০ টাকা করে আদায় করেছেন।

চরলরেঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন জানান, বোর্ডের ফির বাইরে তিনি অতিরিক্ত টাকা নেননি। দ্বিতীয়বার নির্বাচনী পরীক্ষার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। তিনি আরও জানান, যারা ফেল করেছে তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলোর জন্য টাকা আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫০০ টাকা না, ৩০০ টাকা করে নিয়েছেন।

মার্টিন উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাকসুদ, শরীফ, মামুন, ফেন্সি জানায়, ফরম পূরণের জন্য তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। মার্টিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা যোগাযোগ করে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে অকৃতকার্য বিষয়ে ৫০০ টাকা চাইলে সবাই দেয় না। ১০০-২০০ টাকা দেয়। আবার অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে বিনা মূল্যে ফরম ফিলাপ করতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত