Ajker Patrika

শেরপুরে নতুন মামলার চেয়ে নিষ্পত্তির বেশি

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরে নতুন মামলার চেয়ে নিষ্পত্তির বেশি

শেরপুর বিচার বিভাগে মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে সাক্ষ্য গ্রহণের হারও। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের সময়কালে জেলায় করা মামলার চেয়ে নিষ্পত্তি মামলার হার প্রায় ২০ দশমিক ৪২ ভাগ বেশি।

জজশিপ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির আদালতগুলোর মামলা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত ২০২২-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।বিচার বিভাগের ত্রৈমাসিক বিবরণীর তথ্য মতে, জেলা বিচার বিভাগের আওতায় (গত জুন মাস পর্যন্ত) দেওয়ানি, ফৌজদারি ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মিলিয়ে জেলায় মোট ২৪ হাজার ৮৯টি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে জেলা জজশিপের আওতায় ১২ হাজার ৭৮২টি দেওয়ানি মামলা ও ৩ হাজার ২২৩টি ফৌজদারি মামলা এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় ৬ হাজার ৫৯৪টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একই সময়ে রয়েছে ১ হাজার ৪৯০টি মামলা। এই মামলাগুলো তদন্তাধীন ও বিচারাধীন পর্যায়ে রয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জেলা জজশিপের আওতায় ৭৩৩টি মামলা করা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ৮০৫টি। একই আদালতের আওতায় ৬৫৮টি ফৌজদারি মামলা করা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৮১টি আর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতায় একই সময়ে ৭৭৩টি মামলা করা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৩২০টি।

ফলে এসব আদালতে গড়ে মামলা করার চেয়ে নিষ্পত্তির হার প্রায় ২০ দশমিক ৪২ ভাগ বেশি। এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আওতায় একই সময়ে ৩৪০টি মামলা করা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ৪০৭টি। এতে মামলা করার চেয়ে নিষ্পত্তির হার প্রায় ১৯ দশমিক ৭০ ভাগ বেশি।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘বর্তমানে জেলায় বিচারকস্বল্পতা না থাকায় এবং বার-বেঞ্চের সমন্বয় থাকায় মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমাদের বিচারকদের এজলাস সংকট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত এখানে ভবন হবে। এটি হয়ে গেলে বিচারের ক্ষেত্রে শেরপুর আরও এগিয়ে যাবে।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আইনজীবী ও বিচারকদের সমন্বয়ের কারণেই দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। বর্তমানে তিন মাস অন্তর বিচার বিভাগীয় সম্মেলন হচ্ছে। এতে সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা সুফল পাচ্ছেন।’

এ ব্যাপারে জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, ‘করোনাকালে ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনায় শেরপুরের বিচার বিভাগ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিচার বিভাগে মামলা করার চেয়ে নিষ্পত্তির হার আশানুরূপভাবে বেড়েছে, এটি খুবই ভালো বিষয়। বিচারকদের এজলাস সংকট দূর হলে আগামী দিনে বিচার বিভাগে শেরপুর এগিয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত