রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ প্রায় দুই কোটি টাকা। চালকের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণসহ গাড়ির অন্য সব খরচও অধিদপ্তরের। বিপুল এই অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহারের এখতিয়ার নেই। অথচ তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাড়ি ব্যবহার করছেন, জ্বালানি নিচ্ছেন। এসব গাড়ি ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণসুবিধাও নিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ৩১টি গাড়ির মধ্যে ২৮টি ব্যবহার করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাড়িগুলোর বেশির ভাগই পাজেরো (এসইউভি)। এর মধ্যে টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-০২০২) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৫৮৯৮) মন্ত্রীর পিএস এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৮৬৬১) মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (পিও) ব্যবহার করেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আরেকটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৩৬৩৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২) এবং অধিদপ্তরের টিওঅ্যান্ডই-বহির্ভূত একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৪৮১৩) মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহৃত হয়। ইপিআই কর্মসূচির একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৫) বিএমআরসির চেয়ারম্যান, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৩) স্বাস্থ্য সেবা সচিবের দপ্তর, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২২) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য), রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৫৮৯৪) স্বাস্থ্যসচিবের একান্ত সচিব এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৭৪৯৯) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) ব্যবহার করেন।
রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার দুটি পাজেরোর একটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৯) যুগ্ম সচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন) এবং অন্যটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৩) যুগ্ম সচিব (পার) ব্যবহার করেন। এনসিডিসি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৭৭৪), এমআইএস শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৮১২), হাসপাতাল শাখার তিনটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯০৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৪৪০ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬০৫৪) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন যথাক্রমে যুগ্ম সচিব (পার-২), উপসচিব (পার-৩), যুগ্ম সচিব (প্রশাসন), অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজের পরিচালক। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো স্বাস্থ্য ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন উপসচিব সংসদীয় কমিটি এবং সচিবের একান্ত সচিব। এমডিসি (মাইক্রোবিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্মসূচির দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৬, ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৭) এবং দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৬৬৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৯৪০৩) ব্যবহার করেন উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য-২), উপসচিব (প্রশাসন-১), পরিচালক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অতিরিক্ত সচিব, হাসপাতাল, ক্লিনিকসমূহ।
চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯৭৪) ব্যবহার করেন অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা)। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর চারটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২৬, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১৪) ব্যবহার করেন যথাক্রমে বিএমআরসি, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য), গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জামালপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ক-৭১-০৭৪৪) সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এবং ইএসডি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯১২) ‘পঙ্গু হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ব্যবহার করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাতটি, এমএনসিঅ্যান্ডএইচ কর্মসূচির (ইপিআই) চারটি, জাতীয় পুষ্টি সেবার দুটি এবং এমআইএসের একটি গাড়ির জন্য মাসে জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের খরচ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৬ টাকা। এই ১৪টি গাড়ির জ্বালানি খরচ বছরে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে ওই ৩১টি গাড়ির জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের ব্যয় দুই কোটি টাকার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে শুরু করে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। মন্ত্রী ও সচিবের দপ্তরের নবম ও দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা, এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও দীর্ঘদিন ধরে এসব গাড়ি ব্যবহার করছেন। সচিবালয়ের দু-একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের গাড়ি উবারে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সব মন্ত্রণালয় মিলে সরকারি গাড়ি রয়েছে ১ হাজার ৭৫০টি। তবে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রীরাও বাদ যান না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, অধিদপ্তরের সব পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে গাড়ি সুবিধা গ্রহণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন করতে পারবেন। কিন্তু সুদমুক্ত ঋণ (৪০ লাখ টাকা) নিয়ে গাড়ি কিনলে যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুদমুক্ত ঋণে কেনা গাড়ির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গাড়ির জন্য সুদমুক্ত ঋণ নেওয়া কোনো কর্মকর্তা সাধারণভাবে তাঁর দপ্তর থেকে রিক্যুইজিশন ভিত্তিতে কোনো গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট না হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই এসব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এখানে আরও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ প্রায় দুই কোটি টাকা। চালকের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণসহ গাড়ির অন্য সব খরচও অধিদপ্তরের। বিপুল এই অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহারের এখতিয়ার নেই। অথচ তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাড়ি ব্যবহার করছেন, জ্বালানি নিচ্ছেন। এসব গাড়ি ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণসুবিধাও নিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ৩১টি গাড়ির মধ্যে ২৮টি ব্যবহার করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাড়িগুলোর বেশির ভাগই পাজেরো (এসইউভি)। এর মধ্যে টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-০২০২) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৫৮৯৮) মন্ত্রীর পিএস এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৮৬৬১) মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (পিও) ব্যবহার করেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আরেকটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৩৬৩৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২) এবং অধিদপ্তরের টিওঅ্যান্ডই-বহির্ভূত একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৪৮১৩) মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহৃত হয়। ইপিআই কর্মসূচির একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৫) বিএমআরসির চেয়ারম্যান, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৩) স্বাস্থ্য সেবা সচিবের দপ্তর, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২২) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য), রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৫৮৯৪) স্বাস্থ্যসচিবের একান্ত সচিব এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৭৪৯৯) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) ব্যবহার করেন।
রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার দুটি পাজেরোর একটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৯) যুগ্ম সচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন) এবং অন্যটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৩) যুগ্ম সচিব (পার) ব্যবহার করেন। এনসিডিসি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৭৭৪), এমআইএস শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৮১২), হাসপাতাল শাখার তিনটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯০৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৪৪০ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬০৫৪) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন যথাক্রমে যুগ্ম সচিব (পার-২), উপসচিব (পার-৩), যুগ্ম সচিব (প্রশাসন), অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজের পরিচালক। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো স্বাস্থ্য ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন উপসচিব সংসদীয় কমিটি এবং সচিবের একান্ত সচিব। এমডিসি (মাইক্রোবিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্মসূচির দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৬, ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৭) এবং দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৬৬৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৯৪০৩) ব্যবহার করেন উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য-২), উপসচিব (প্রশাসন-১), পরিচালক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অতিরিক্ত সচিব, হাসপাতাল, ক্লিনিকসমূহ।
চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯৭৪) ব্যবহার করেন অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা)। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর চারটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২৬, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১৪) ব্যবহার করেন যথাক্রমে বিএমআরসি, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য), গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জামালপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ক-৭১-০৭৪৪) সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এবং ইএসডি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯১২) ‘পঙ্গু হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ব্যবহার করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাতটি, এমএনসিঅ্যান্ডএইচ কর্মসূচির (ইপিআই) চারটি, জাতীয় পুষ্টি সেবার দুটি এবং এমআইএসের একটি গাড়ির জন্য মাসে জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের খরচ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৬ টাকা। এই ১৪টি গাড়ির জ্বালানি খরচ বছরে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে ওই ৩১টি গাড়ির জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের ব্যয় দুই কোটি টাকার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে শুরু করে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। মন্ত্রী ও সচিবের দপ্তরের নবম ও দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা, এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও দীর্ঘদিন ধরে এসব গাড়ি ব্যবহার করছেন। সচিবালয়ের দু-একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের গাড়ি উবারে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সব মন্ত্রণালয় মিলে সরকারি গাড়ি রয়েছে ১ হাজার ৭৫০টি। তবে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রীরাও বাদ যান না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, অধিদপ্তরের সব পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে গাড়ি সুবিধা গ্রহণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন করতে পারবেন। কিন্তু সুদমুক্ত ঋণ (৪০ লাখ টাকা) নিয়ে গাড়ি কিনলে যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুদমুক্ত ঋণে কেনা গাড়ির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গাড়ির জন্য সুদমুক্ত ঋণ নেওয়া কোনো কর্মকর্তা সাধারণভাবে তাঁর দপ্তর থেকে রিক্যুইজিশন ভিত্তিতে কোনো গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট না হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই এসব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এখানে আরও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ প্রায় দুই কোটি টাকা। চালকের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণসহ গাড়ির অন্য সব খরচও অধিদপ্তরের। বিপুল এই অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহারের এখতিয়ার নেই। অথচ তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাড়ি ব্যবহার করছেন, জ্বালানি নিচ্ছেন। এসব গাড়ি ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণসুবিধাও নিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ৩১টি গাড়ির মধ্যে ২৮টি ব্যবহার করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাড়িগুলোর বেশির ভাগই পাজেরো (এসইউভি)। এর মধ্যে টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-০২০২) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৫৮৯৮) মন্ত্রীর পিএস এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৮৬৬১) মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (পিও) ব্যবহার করেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আরেকটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৩৬৩৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২) এবং অধিদপ্তরের টিওঅ্যান্ডই-বহির্ভূত একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৪৮১৩) মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহৃত হয়। ইপিআই কর্মসূচির একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৫) বিএমআরসির চেয়ারম্যান, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৩) স্বাস্থ্য সেবা সচিবের দপ্তর, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২২) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য), রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৫৮৯৪) স্বাস্থ্যসচিবের একান্ত সচিব এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৭৪৯৯) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) ব্যবহার করেন।
রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার দুটি পাজেরোর একটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৯) যুগ্ম সচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন) এবং অন্যটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৩) যুগ্ম সচিব (পার) ব্যবহার করেন। এনসিডিসি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৭৭৪), এমআইএস শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৮১২), হাসপাতাল শাখার তিনটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯০৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৪৪০ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬০৫৪) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন যথাক্রমে যুগ্ম সচিব (পার-২), উপসচিব (পার-৩), যুগ্ম সচিব (প্রশাসন), অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজের পরিচালক। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো স্বাস্থ্য ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন উপসচিব সংসদীয় কমিটি এবং সচিবের একান্ত সচিব। এমডিসি (মাইক্রোবিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্মসূচির দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৬, ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৭) এবং দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৬৬৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৯৪০৩) ব্যবহার করেন উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য-২), উপসচিব (প্রশাসন-১), পরিচালক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অতিরিক্ত সচিব, হাসপাতাল, ক্লিনিকসমূহ।
চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯৭৪) ব্যবহার করেন অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা)। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর চারটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২৬, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১৪) ব্যবহার করেন যথাক্রমে বিএমআরসি, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য), গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জামালপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ক-৭১-০৭৪৪) সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এবং ইএসডি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯১২) ‘পঙ্গু হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ব্যবহার করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাতটি, এমএনসিঅ্যান্ডএইচ কর্মসূচির (ইপিআই) চারটি, জাতীয় পুষ্টি সেবার দুটি এবং এমআইএসের একটি গাড়ির জন্য মাসে জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের খরচ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৬ টাকা। এই ১৪টি গাড়ির জ্বালানি খরচ বছরে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে ওই ৩১টি গাড়ির জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের ব্যয় দুই কোটি টাকার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে শুরু করে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। মন্ত্রী ও সচিবের দপ্তরের নবম ও দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা, এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও দীর্ঘদিন ধরে এসব গাড়ি ব্যবহার করছেন। সচিবালয়ের দু-একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের গাড়ি উবারে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সব মন্ত্রণালয় মিলে সরকারি গাড়ি রয়েছে ১ হাজার ৭৫০টি। তবে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রীরাও বাদ যান না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, অধিদপ্তরের সব পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে গাড়ি সুবিধা গ্রহণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন করতে পারবেন। কিন্তু সুদমুক্ত ঋণ (৪০ লাখ টাকা) নিয়ে গাড়ি কিনলে যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুদমুক্ত ঋণে কেনা গাড়ির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গাড়ির জন্য সুদমুক্ত ঋণ নেওয়া কোনো কর্মকর্তা সাধারণভাবে তাঁর দপ্তর থেকে রিক্যুইজিশন ভিত্তিতে কোনো গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট না হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই এসব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এখানে আরও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ প্রায় দুই কোটি টাকা। চালকের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণসহ গাড়ির অন্য সব খরচও অধিদপ্তরের। বিপুল এই অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহারের এখতিয়ার নেই। অথচ তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাড়ি ব্যবহার করছেন, জ্বালানি নিচ্ছেন। এসব গাড়ি ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণসুবিধাও নিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ৩১টি গাড়ির মধ্যে ২৮টি ব্যবহার করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাড়িগুলোর বেশির ভাগই পাজেরো (এসইউভি)। এর মধ্যে টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-০২০২) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৫৮৯৮) মন্ত্রীর পিএস এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৮৬৬১) মন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (পিও) ব্যবহার করেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আরেকটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৩৬৩৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২) এবং অধিদপ্তরের টিওঅ্যান্ডই-বহির্ভূত একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৪৮১৩) মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহৃত হয়। ইপিআই কর্মসূচির একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৫) বিএমআরসির চেয়ারম্যান, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২৩) স্বাস্থ্য সেবা সচিবের দপ্তর, আরেকটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৮০২২) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য), রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৫৮৯৪) স্বাস্থ্যসচিবের একান্ত সচিব এবং একটি ক্যারিবয় (ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৭৪৯৯) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) ব্যবহার করেন।
রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার দুটি পাজেরোর একটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৯) যুগ্ম সচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন) এবং অন্যটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৫৯৩) যুগ্ম সচিব (পার) ব্যবহার করেন। এনসিডিসি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৭৭৪), এমআইএস শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৮১২), হাসপাতাল শাখার তিনটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯০৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৪৪০ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬০৫৪) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন যথাক্রমে যুগ্ম সচিব (পার-২), উপসচিব (পার-৩), যুগ্ম সচিব (প্রশাসন), অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং বগুড়া মেডিকেল কলেজের পরিচালক। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৫, ঢাকা মেট্রো স্বাস্থ্য ঘ-১৩-৩৫১০) ব্যবহার করেন উপসচিব সংসদীয় কমিটি এবং সচিবের একান্ত সচিব। এমডিসি (মাইক্রোবিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্মসূচির দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৬, ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৭৭৭) এবং দুটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৬৬৬৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-৯৪০৩) ব্যবহার করেন উপসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য-২), উপসচিব (প্রশাসন-১), পরিচালক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অতিরিক্ত সচিব, হাসপাতাল, ক্লিনিকসমূহ।
চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯৭৪) ব্যবহার করেন অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা)। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর চারটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২৬, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৭৮৮, ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫২২ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৫১৪) ব্যবহার করেন যথাক্রমে বিএমআরসি, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য), গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জামালপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ক-৭১-০৭৪৪) সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এবং ইএসডি শাখার একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯১২) ‘পঙ্গু হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ব্যবহার করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাতটি, এমএনসিঅ্যান্ডএইচ কর্মসূচির (ইপিআই) চারটি, জাতীয় পুষ্টি সেবার দুটি এবং এমআইএসের একটি গাড়ির জন্য মাসে জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের খরচ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৬ টাকা। এই ১৪টি গাড়ির জ্বালানি খরচ বছরে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে ওই ৩১টি গাড়ির জ্বালানি বাবদ অধিদপ্তরের ব্যয় দুই কোটি টাকার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে শুরু করে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন। মন্ত্রী ও সচিবের দপ্তরের নবম ও দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা, এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীও দীর্ঘদিন ধরে এসব গাড়ি ব্যবহার করছেন। সচিবালয়ের দু-একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের গাড়ি উবারে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সব মন্ত্রণালয় মিলে সরকারি গাড়ি রয়েছে ১ হাজার ৭৫০টি। তবে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রীরাও বাদ যান না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, অধিদপ্তরের সব পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে গাড়ি সুবিধা গ্রহণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন করতে পারবেন। কিন্তু সুদমুক্ত ঋণ (৪০ লাখ টাকা) নিয়ে গাড়ি কিনলে যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। সুদমুক্ত ঋণে কেনা গাড়ির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গাড়ির জন্য সুদমুক্ত ঋণ নেওয়া কোনো কর্মকর্তা সাধারণভাবে তাঁর দপ্তর থেকে রিক্যুইজিশন ভিত্তিতে কোনো গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট না হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই এসব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এখানে আরও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, যাঁরা এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ
২০ মার্চ ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ
২০ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ
২০ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১ গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রীর এপিএস, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) এবং তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীও রয়েছেন। এসব গাড়ির জ্বালানি তেলের পেছনেই অধিদপ্তরের বছরে খরচ
২০ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২১ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫