Ajker Patrika

তীব্র যানজটে নাকাল গাইবান্ধা শহরবাসী

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
তীব্র যানজটে নাকাল গাইবান্ধা শহরবাসী

তীব্র যানজটের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত নাকাল হচ্ছে গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দারা। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ডিবি রোডের বিকল্প হিসেবে আর কোনো রাস্তা না থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া দুই লেনের ডিবি রোড চার লেনে উন্নতি করার কাজ রেলগেট এলাকায় আটকে থাকায় এর সুফল নিতে পারছে না শহরবাসী।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের প্রবেশদ্বার ডিসি অফিস থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড, ডিবি রোড, ১ নম্বর রেলগেট ও সার্কুলার রোড হয়ে পুরাতন জেলখানা মোড় পর্যন্ত সব জায়গায় সারা দিন যানজট লেগে থাকে। কোনো বাইপাস সড়ক না থাকায় শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া একটিমাত্র সড়কেই চলছে রিকশাভ্যান, অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ হাজারো যানবাহন। 
শহরের প্রফেসর কলোনির সবুজ মিয়া বলেন, অটোরিকশাগুলো যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে। এ কারণেই যানজট লেগে থাকে।

পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম জানান, পুরাতন ব্রিজ ও কাচারি বাজার মসজিদের সামনে অটোরিকশা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। এটি হতে না দিলেই যানজট অনেকটা কমে যাবে।

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, শহরের যানজটের মূল কারণ অটোরিকশা। তা নিরসনে পরিকল্পনা করতে পৌরসভা থেকে কতগুলো রিকশাকে লাইসেন্স দেওয়া আছে তার তালিকা চেয়ে বারবার আবেদন করা হয়েছে। এই হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। অদক্ষ চালক ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ না করলে যানজটের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বলেন, পৌরসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যানজট নিরসনে পুরাতন ব্রিজ, কাচারি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পৌরসভার কর্মচারীরা কাজ করবেন। শহরের কয়েকটি স্থানে অটোরিকশার স্ট্যান্ড তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আখতার বলেন, ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ করা হয়েছে। তবে শহরের রেলগেটের দুই পাশের কাজ এখন সম্পূর্ণ হয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ জায়গা না দেওয়ায় ওই অংশের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ জানান, গাইবান্ধা পৌর শহরে প্রায় চার হাজার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি চলাচল করলে যানজট লাগবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত