Ajker Patrika

চলেই গেলেন মহীনের ঘোড়াগুলির বাপি দাস

চলেই গেলেন মহীনের ঘোড়াগুলির বাপি দাস

দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাপস বাপি দাস। রোববার শেষ হলো লড়াই। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

ফুসফুসের ক্যানসারের তৃতীয় ধাপে ছিলেন তাপস বাপি দাস। অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না তিনি। পরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। শিল্পীরাও এগিয়ে আসেন তাপস দাসের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে। বাপি দাসের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে কলকাতায় একাধিক কনসার্ট হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যান্ড কমিউনিটিও একটি উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই ‘ভালোবাসি জ্যোৎস্নায়’ শীর্ষক সেই কনসার্ট ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে কনসার্টের টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু সে সময়টুকু আর দিলেন না সবার প্রিয় ‘বাপিদা’। সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন পরপারে।

বাপি দাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লেখেন, ‘তাপস দাসের মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড “মহীনের ঘোড়াগুলি”র সদস্য ছিলেন।’ শিল্পীর পরিবার, অনুরাগী এবং কাছের মানুষদের সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা। শোক প্রকাশ করেছেন সংগীতাঙ্গনের মানুষেরাও।

১৯৭৫ সালে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের প্রথম বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। ব্যান্ডটির সাতজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম তাপস বাপি দাস। মহীনের ঘোড়াগুলির প্রথম গান ‘ভেসে আসে কলকাতা’ লিখেছিলেন তিনি। এরপর ব্যান্ডটির অনেক জনপ্রিয় গান বেরিয়েছে তাঁর কলম থেকে। লেখার পাশাপাশি ব্যান্ডে তিনি গিটার বাজিয়েছেন, গেয়েছেন। ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতাও বাপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত