আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা কি সাংবাদিক হতে পারেন? কিংবা ঠিকাদার? শুধু সাংবাদিক বা ঠিকাদার কেন, অনেক কিছুই হতে পারেন তাঁরা। কিন্তু এর জন্য যে দুস্তর পারাবার পাড়ি দিতে হয়, তার খোঁজ কি আমরা জানি? মজিবরের গল্প সেই বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার।
৪৫ বছর বয়স মজিবরের। বাড়ি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বুড়াইল গ্রামে। জন্মগতভাবে তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা মোহাম্মদ আলী ছিলেন একজন দিনমজুর। হতদরিদ্র বাবা সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন প্রতিনিয়ত। ফলে প্রতিবেশীর ছেলেমেয়েরা যখন স্কুলে যেত, মজিবরের তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার থাকত না তখন। কষ্ট হতো। কিন্তু ভেবে নিতেন, স্বয়ং প্রকৃতি যেখানে বিরুদ্ধে, জীবন সেখানে কষ্টের তো হবেই! কিন্তু পড়াশোনার প্রতি বেশ টান ছিল তাঁর। বাড়ির পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেন ছোট্ট মজিবর। সেখান থেকে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোন বেশ ভালোভাবে।
ধীরে ধীরে যখন বড় হচ্ছিলেন, বুঝতে পারছিলেন, পুরো জীবন তাঁকে প্রকৃতির এ বিরুদ্ধতা মেনে নিয়েই চলতে হবে, তখন নিজের মনকে শক্ত করে নেন। অতিকষ্টে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, দারিদ্র্য—সব পেছনে ফেলে নিজের চেষ্টায় এসএসসি পাস করেন তিনি। পরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর দরিদ্র বাবা আর পড়ালেখা করাতে পারেননি। তারপরও জীবনযুদ্ধে থেমে যাননি মজিবর। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই সাংসারিক কাজকর্ম করতে শুরু করেন। মজিবর এখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। এক পা দিয়ে দিব্যি মোটরসাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করছেন। তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে ঠিকাদারির কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি জাতীয় একটি দৈনিকে সাংবাদিকতাও করেন মজিবর!
শুধু কি তা-ই, ২০০৪ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা এডিডি বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের খবর পেয়ে দাদির সঙ্গে গিয়ে সেটির সদস্য হন। এই সংগঠনের সদস্য থেকে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচবার ‘অধিকার চাই প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মজিবর। এ ছাড়া তিনি জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন।
জীবন যখন আর থেমে থাকল না, তাকে পূর্ণতা দিতে মজিবর রহমান বিয়ে করে ফেলেন। বর্তমানে চার সন্তানের জনক তিনি। প্রথম ছেলে রাজু আহম্মেদ রিয়াজ নবম শ্রেণি, দ্বিতীয় ছেলে রিয়ন আহম্মেদ সপ্তম শ্রেণিতে বুড়াইল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ে। তৃতীয় ছেলে রিদয় আহম্মেদ তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সবার ছোট ছেলে খাজা মোহাম্মদ খানজাহান আলীর স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়নি।
মজিবর রহমান এখন ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য। সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি ছুটে যান মাঠঘাটে। ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মজিবরের কাজকর্ম দেখলে মনেই হয় না, তিনি শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড! আর ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান তো মজিবর রহমানকে ‘জীবনযুদ্ধের বীর সৈনিক’ উপাধি দিয়ে দিয়েছেন। মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি দেখি, সংবাদের জন্য তিনি দিনরাত ছোটাছুটি করেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে পরিবার ও সমাজের বোঝা নন, তিনি কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করছেন।’
শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা কি সাংবাদিক হতে পারেন? কিংবা ঠিকাদার? শুধু সাংবাদিক বা ঠিকাদার কেন, অনেক কিছুই হতে পারেন তাঁরা। কিন্তু এর জন্য যে দুস্তর পারাবার পাড়ি দিতে হয়, তার খোঁজ কি আমরা জানি? মজিবরের গল্প সেই বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার।
৪৫ বছর বয়স মজিবরের। বাড়ি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বুড়াইল গ্রামে। জন্মগতভাবে তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা মোহাম্মদ আলী ছিলেন একজন দিনমজুর। হতদরিদ্র বাবা সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন প্রতিনিয়ত। ফলে প্রতিবেশীর ছেলেমেয়েরা যখন স্কুলে যেত, মজিবরের তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার থাকত না তখন। কষ্ট হতো। কিন্তু ভেবে নিতেন, স্বয়ং প্রকৃতি যেখানে বিরুদ্ধে, জীবন সেখানে কষ্টের তো হবেই! কিন্তু পড়াশোনার প্রতি বেশ টান ছিল তাঁর। বাড়ির পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেন ছোট্ট মজিবর। সেখান থেকে প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোন বেশ ভালোভাবে।
ধীরে ধীরে যখন বড় হচ্ছিলেন, বুঝতে পারছিলেন, পুরো জীবন তাঁকে প্রকৃতির এ বিরুদ্ধতা মেনে নিয়েই চলতে হবে, তখন নিজের মনকে শক্ত করে নেন। অতিকষ্টে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, দারিদ্র্য—সব পেছনে ফেলে নিজের চেষ্টায় এসএসসি পাস করেন তিনি। পরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর দরিদ্র বাবা আর পড়ালেখা করাতে পারেননি। তারপরও জীবনযুদ্ধে থেমে যাননি মজিবর। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই সাংসারিক কাজকর্ম করতে শুরু করেন। মজিবর এখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। এক পা দিয়ে দিব্যি মোটরসাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করছেন। তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে ঠিকাদারির কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি জাতীয় একটি দৈনিকে সাংবাদিকতাও করেন মজিবর!
শুধু কি তা-ই, ২০০৪ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা এডিডি বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের খবর পেয়ে দাদির সঙ্গে গিয়ে সেটির সদস্য হন। এই সংগঠনের সদস্য থেকে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচবার ‘অধিকার চাই প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মজিবর। এ ছাড়া তিনি জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন।
জীবন যখন আর থেমে থাকল না, তাকে পূর্ণতা দিতে মজিবর রহমান বিয়ে করে ফেলেন। বর্তমানে চার সন্তানের জনক তিনি। প্রথম ছেলে রাজু আহম্মেদ রিয়াজ নবম শ্রেণি, দ্বিতীয় ছেলে রিয়ন আহম্মেদ সপ্তম শ্রেণিতে বুড়াইল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ে। তৃতীয় ছেলে রিদয় আহম্মেদ তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সবার ছোট ছেলে খাজা মোহাম্মদ খানজাহান আলীর স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়নি।
মজিবর রহমান এখন ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য। সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি ছুটে যান মাঠঘাটে। ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, মজিবরের কাজকর্ম দেখলে মনেই হয় না, তিনি শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড! আর ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান তো মজিবর রহমানকে ‘জীবনযুদ্ধের বীর সৈনিক’ উপাধি দিয়ে দিয়েছেন। মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি দেখি, সংবাদের জন্য তিনি দিনরাত ছোটাছুটি করেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে পরিবার ও সমাজের বোঝা নন, তিনি কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করছেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪