Ajker Patrika

নম্র আচরণ কল্যাণ বয়ে আনে

আলাউদ্দিন কবির
আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১৫: ২৯
নম্র আচরণ কল্যাণ বয়ে আনে

মানবজীবনে বিনয়-নম্রতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নম্রতা সহজেই বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি দূর করে। তাই ইসলাম মানুষকে নম্র আচরণের প্রতি উৎসাহিত করে। নম্র আচরণের জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-এর প্রশংসা করেছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছিলেন। যদি আপনি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)

মহানবী (সা.) সাহাবিদের দয়া, নম্রতা ও ভদ্রতার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করতেন এবং নির্দয়তা ও কঠোরতার ব্যাপারে সতর্ক করতেন। নম্র আচরণ করলে ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা নম্র এবং তিনি সকল বিষয়ে নম্রতা পছন্দ করেন।’ (বুখারি)

মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতের প্রতিও নম্র ও দয়াবান ছিলেন। তিনি সর্বক্ষেত্রে উম্মতের জন্য অধিকতর সহজ বিষয়টিই গ্রহণ করতেন। যেমন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটো বিষয়ের কোনো একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হতো, তখন তিনি সহজটি সাদরে গ্রহণ করতেন, যদি না তা দোষের হতো। আর যদি তা দূষণীয় হতো, তবে তা হতে তিনি সবার চেয়ে বেশি দূরে থাকতেন।’ (মুসলিম)

মহানবী (সা.) সাধারণ মানুষের প্রতি অত্যন্ত নম্র ও দয়াপ্রবণ ছিলেন। এক বেদুইন লোক একবার মসজিদে নববিতে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। সাহাবিরা তাঁকে শাস্তি দিতে চাইলে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘তোমরা তাকে পাকড়াও করো না, বরং তাকে ছেড়ে দাও। কারণ, তোমাদের পাঠানো হয়েছে নম্র আচরণকারী হিসেবে, কঠোর-নিষ্ঠুর হিসেবে নয়।’ (বুখারি)

আলাউদ্দিন কবির, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত