Ajker Patrika

ইউটিউব দেখে ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফল রন্টি

ফরিদপুর সংবাদদাতা
Thumbnail image

ফরিদপুর সদরে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হাসিবুল হাসান রন্টি। প্রথমবারের মতো এই ধান চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা তাঁর। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই খেত থেকে ধান কেটে ঘরে তুলবেন রন্টি।

রন্টির বাড়ি ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায়। পরীক্ষামূলকভাবে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে এর চাষ করেছেন তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আবাদ করা দুই বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রন্টি বলেন, ইউটিউবে প্রথম এই ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন এবং বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার বীজ সংগ্রহ করেন। দুই হাজার টাকা কেজি দরে দুই কেজি ব্ল্যাক রাইস ও দুই কেজি গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইসের বীজ সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, ধান সংগ্রহ করার পর প্রথমে বীজতলা তৈরি করেন। সেখানে একটি একটি করে ধান বপন করে চারা তৈরি করতে বীজতলা করা হয়। প্রায় প্রতিটি ধান থেকে অঙ্কুর বের হয়। দুই সপ্তাহ পর বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে ব্ল্যাক রাইস এবং এক বিঘা জমিতে গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইসের চারা রোপণ করেন। ব্ল্যাক রাইস একটু মোটা ও গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইস চিকন হয়।

এদিকে ১৮ নভেম্বর রন্টির ব্ল্যাক রাইস চাষ করা খেত পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জিয়াউল হকসহ কর্মকর্তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইলিয়াস শেখ বলেন, রন্টির ব্ল্যাক রাইস খেতের ফলন খুবই ভালো হয়েছে।আমরা নিবিড় পরিচর্যা করে যাচ্ছি তাঁর খেত। অন্যান্য ধানে বিঘাপ্রতি ২০ মণ হলে এ ধান হয় ২৫-৩০ মণ।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, কৃষকদের হাতে ব্ল্যাক রাইস পৌঁছে দিতে রন্টির এ ধান বীজ হিসেবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এই ধানের চাল ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত