খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল নগরে ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ের বিপরীতেই গড়ে উঠেছে গরিবের বাজারখ্যাত পোশাকের হাজি মো. মহসিন বিপণিবিতান। এ মার্কেটে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান রয়েছে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলোর কোনোটা কাঠের, আবার কোনোটা টিনশেডের। এ মার্কেটে নেই তেমন একটা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
ফায়ার সার্ভিস মহসিন মার্কেটের মতো নগরের চকবাজার, কাটপট্টির কয়েকটি মার্কেট নিয়ে চিন্তিত। জানা গেছে, নগরের অধিকাংশ মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, আগেভাগে সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বরিশাল নগরেও।
হাজি মো. মহসিন মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস দাবি করেন, মার্কেটে দুই শতাধিক পোশাকের দোকান আছে। এর চারপাশে কয়েকটি রেস্তোরাঁও গড়ে উঠেছে। এগুলো নিয়ে তাঁরা আগুন-আতঙ্কে থাকেন। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসকেও অবহিত করেছেন। শেখর জানান, কোটি কোটি টাকার শীত ও গরমের পোশাক নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে। দোকানগুলোতে কতটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৬০ ভাগ দোকানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নেই।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহসিন মার্কেটের ভেতর ও চারপাশ ঘিরে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান গড়ে উঠেছে। কাঠের কিংবা টিনশেডের এসব ছোট দোকানঘর একটার সঙ্গে আরেকটা গড়ে উঠেছে। মহসিন মার্কেটের একাধিক কর্মচারী বলেছেন, মার্কেটের উন্নয়নে কেউ নেই, চাঁদাবাজিতে আছে। এর চারপাশে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে, এগুলোর কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ১৫৪টি দাহ্যবস্তুর যেকোনোটি মজুত করলেই অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স নিতে হবে। তিনি বলেন, বরিশাল জেলায় এ ধরনের ১ হাজার ২০০-এর মতো দোকানের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স আছে। তবে তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করেন। পরিদর্শক আব্বাস জানান, তাঁরা মহসিন মার্কেট নিয়ে বেশ চিন্তিত। দ্রুত এ মার্কেট ভেঙে ভবন না করা হলে আগুনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, চকবাজারের কাপড়ের ও জুতার দোকান আলাদা করা উচিত। কাটপট্টিতে গাদাগাদি করে থাকা স্বর্ণের দোকানগুলো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেননা, সোনায় সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।
গতকাল সোমবার নগরের চকবাজার ও কাটপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে জুতার দোকানের পাশে পোশাকের দোকান। জুয়েলারি কারখানার পাশে স্টেশনারি দোকান। অধিকাংশ দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে পরিদর্শক আব্বাস বলেন, অগ্নিপ্রতিরোধ ও নিরূপণ আইন, ২০০৩-এর ১৭, ১৮ ধারায় অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স না নেওয়া কিংবা এর শর্ত ভঙ্গ করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। লাইসেন্সের বিশেষ শর্ত হচ্ছে প্রতি ৫০০ বর্গফুট পরপর অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক মো. রফিকুল আলম বলেন, মহসীন মার্কেটের মতো ঘনবসতি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণে নিয়মিত মহড়া দেওয়া দরকার। লাইসেন্স আছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। এ ছাড়া কাটপট্টির জুয়েলারিতে যে অ্যাসিড পোড়ানো হয়, তা ভয়াবহ। এখন থেকেই সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো কিছু একটা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
বরিশাল নগরে ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ের বিপরীতেই গড়ে উঠেছে গরিবের বাজারখ্যাত পোশাকের হাজি মো. মহসিন বিপণিবিতান। এ মার্কেটে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান রয়েছে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলোর কোনোটা কাঠের, আবার কোনোটা টিনশেডের। এ মার্কেটে নেই তেমন একটা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
ফায়ার সার্ভিস মহসিন মার্কেটের মতো নগরের চকবাজার, কাটপট্টির কয়েকটি মার্কেট নিয়ে চিন্তিত। জানা গেছে, নগরের অধিকাংশ মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, আগেভাগে সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বরিশাল নগরেও।
হাজি মো. মহসিন মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস দাবি করেন, মার্কেটে দুই শতাধিক পোশাকের দোকান আছে। এর চারপাশে কয়েকটি রেস্তোরাঁও গড়ে উঠেছে। এগুলো নিয়ে তাঁরা আগুন-আতঙ্কে থাকেন। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসকেও অবহিত করেছেন। শেখর জানান, কোটি কোটি টাকার শীত ও গরমের পোশাক নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে। দোকানগুলোতে কতটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৬০ ভাগ দোকানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নেই।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহসিন মার্কেটের ভেতর ও চারপাশ ঘিরে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান গড়ে উঠেছে। কাঠের কিংবা টিনশেডের এসব ছোট দোকানঘর একটার সঙ্গে আরেকটা গড়ে উঠেছে। মহসিন মার্কেটের একাধিক কর্মচারী বলেছেন, মার্কেটের উন্নয়নে কেউ নেই, চাঁদাবাজিতে আছে। এর চারপাশে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে, এগুলোর কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ১৫৪টি দাহ্যবস্তুর যেকোনোটি মজুত করলেই অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স নিতে হবে। তিনি বলেন, বরিশাল জেলায় এ ধরনের ১ হাজার ২০০-এর মতো দোকানের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স আছে। তবে তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করেন। পরিদর্শক আব্বাস জানান, তাঁরা মহসিন মার্কেট নিয়ে বেশ চিন্তিত। দ্রুত এ মার্কেট ভেঙে ভবন না করা হলে আগুনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, চকবাজারের কাপড়ের ও জুতার দোকান আলাদা করা উচিত। কাটপট্টিতে গাদাগাদি করে থাকা স্বর্ণের দোকানগুলো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেননা, সোনায় সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।
গতকাল সোমবার নগরের চকবাজার ও কাটপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে জুতার দোকানের পাশে পোশাকের দোকান। জুয়েলারি কারখানার পাশে স্টেশনারি দোকান। অধিকাংশ দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে পরিদর্শক আব্বাস বলেন, অগ্নিপ্রতিরোধ ও নিরূপণ আইন, ২০০৩-এর ১৭, ১৮ ধারায় অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স না নেওয়া কিংবা এর শর্ত ভঙ্গ করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। লাইসেন্সের বিশেষ শর্ত হচ্ছে প্রতি ৫০০ বর্গফুট পরপর অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক মো. রফিকুল আলম বলেন, মহসীন মার্কেটের মতো ঘনবসতি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণে নিয়মিত মহড়া দেওয়া দরকার। লাইসেন্স আছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। এ ছাড়া কাটপট্টির জুয়েলারিতে যে অ্যাসিড পোড়ানো হয়, তা ভয়াবহ। এখন থেকেই সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো কিছু একটা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫