Ajker Patrika

‘মাস্টার্স পাস করেছি, ২ হাজারের নিচে নিই না’

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ২১
Thumbnail image

‘অনার্স-মাস্টার্স পাস করে এসেছি। সর্বনিম্ন ২ হাজারের নিচে টাকা নিই না।’ এভাবেই বলছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক তফাজ্জল হোসেন। কার্যালয়ে আসা বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে ২ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিচ্ছিলেন তিনি। ২ হাজারের নিচে কেউ টাকা দিলে নিজেকে ‘ফকিন্নি না’ বলে দাবি করেন তফাজ্জল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য এখন প্রার্থীদের যাতায়াত নির্বাচন কার্যালয়ে। সঠিকভাবে মনোনয়ন ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন তফাজ্জল।

অভিযোগ উঠেছে, ফরমে ভুল হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। এ রকম ভুয়া ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেন তিনি। কেউ টাকা কম দিতে চাইলে নিজেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস বলে বেশি টাকা আদায় করার প্রমাণও মিলেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।

তফাজ্জলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে। তিনি ওই কার্যালয়ে প্রায় চার বছর ধরে কাজ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহায়ক তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি যে লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, সে আমার বন্ধু। নির্বাচনের ফরম পূরণের জন্য আমি কারোর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিইনি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে ওই অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ইতিমধ্যে ওই অফিস সহায়ককে শোকজ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, অফিস সহকারী তফাজ্জলের টাকা নেওয়া সংক্রান্ত একটি ভিডিও সাংবাদিকদের হাতে আসার পর দেখানো হয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হককে। পরে নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক অফিস সহায়ক তফাজ্জলকে শোকজ করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তফাজ্জলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত