চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাতে তিতুদহ ইউনিয়নের বাষট্টি আড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থকেরা হলেন বাষট্টি আড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৬০), রাফিয়া বেগম, মহেদ আলী, শিমুল হোসেন, মাছুরা খাতুন, মমতাজ ও আশানুর রহমান। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আহতরা হলেন তিতুদহ গ্রামের হোসেন মিয়া (৪৫) ও শামীম (২২)। স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনা থানার পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দর্শনা থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র, একটি আলমসাধু ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
মিজানুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘বুধবার রাতে তাঁরা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ভোট কেন্দ্রিক পূর্ব বিরোধের জেরে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা একটি আলমসাধু ও দুটি মোটরসাইকেলে করে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাধা দিলে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের মোট সাতজন নারী-পুরুষ জখম হয়েছেন।’
তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শুকুর আলী বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হোসেন ও শামীম টিপুর সমর্থক জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে কিছু টাকা পেতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি সেই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা না দেওয়ায় হোসেন ও শামীম বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরের বাড়িতে যান। এ সময় জাহাঙ্গীরের পক্ষের লোকজন হোসেন ও শামীমকে মেরে গুরুতর আহত করেন। তবে এ ঘটনায় আমরা কোনো মামলা করতে চাই না। মামলা করলে এতে দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা বাড়বে। এ নিয়ে পরবর্তীকালে নতুন করে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সে জন্য বিষয়টি দর্শনা থানা-পুলিশের সাহায্যে মীমাংসা করে দেওয়া হবে।’
পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, ‘শুকুর আলীর বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক আলমসাধুতে করে আমার কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের সহযোগিতা চাই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুব-এ খোদা বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে একই ঘটনায় ৬ জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের জখম গুরুতর। ওই দুজনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা বা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। তারপরও ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাতে তিতুদহ ইউনিয়নের বাষট্টি আড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থকেরা হলেন বাষট্টি আড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৬০), রাফিয়া বেগম, মহেদ আলী, শিমুল হোসেন, মাছুরা খাতুন, মমতাজ ও আশানুর রহমান। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আহতরা হলেন তিতুদহ গ্রামের হোসেন মিয়া (৪৫) ও শামীম (২২)। স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনা থানার পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দর্শনা থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র, একটি আলমসাধু ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
মিজানুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘বুধবার রাতে তাঁরা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ভোট কেন্দ্রিক পূর্ব বিরোধের জেরে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা একটি আলমসাধু ও দুটি মোটরসাইকেলে করে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাধা দিলে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের মোট সাতজন নারী-পুরুষ জখম হয়েছেন।’
তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শুকুর আলী বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হোসেন ও শামীম টিপুর সমর্থক জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে কিছু টাকা পেতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি সেই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা না দেওয়ায় হোসেন ও শামীম বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরের বাড়িতে যান। এ সময় জাহাঙ্গীরের পক্ষের লোকজন হোসেন ও শামীমকে মেরে গুরুতর আহত করেন। তবে এ ঘটনায় আমরা কোনো মামলা করতে চাই না। মামলা করলে এতে দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা বাড়বে। এ নিয়ে পরবর্তীকালে নতুন করে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সে জন্য বিষয়টি দর্শনা থানা-পুলিশের সাহায্যে মীমাংসা করে দেওয়া হবে।’
পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, ‘শুকুর আলীর বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক আলমসাধুতে করে আমার কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের সহযোগিতা চাই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুব-এ খোদা বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে একই ঘটনায় ৬ জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের জখম গুরুতর। ওই দুজনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা বা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। তারপরও ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪