Ajker Patrika

লাইভ করা নয়নের কুলাউড়ার বাড়িতে মাতম

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ১৫: ২৯
লাইভ করা নয়নের কুলাউড়ার বাড়িতে মাতম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে যখন আগুনের সূত্রপাত হয়, তখন ফেসবুক লাইভে তা প্রচার করছিলেন অলিউর রহমান নয়ন (২৩)। ৪০ মিনিট লাইভের পড়ে হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। লাইভে থাকা নয়ন ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। এর পর থেকেই দীর্ঘ সময় নিখোঁজ হন নয়ন। রাত আনুমানিক দুইটার সময় অলিউর রহমানের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে।

নয়ন সেখানে কর্মরত শ্রমিক এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা। তিনি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। পরিবারের চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৪ মাস আগে একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। মামুনও ওই জায়গায় কাজ করতেন।

জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন নয়ন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে হাতের মোবাইল ছিটকে যায় নয়নের। এরপর চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও নয়নের অবস্থান জানা যায়নি।

এদিকে গতকাল রোববার সকালে পরিবারের কাছে খবর আছে নয়ন মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে আহাজারি করছেন অলিউরের বাবা আশিক মিয়া।  

নয়নের চাচা সুন্দর আলী মোবাইলে এই প্রতিবেদকে বলেন, ‘আমাদের গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অলিউরের লাশ নিতে রওনা দিয়েছি।’

স্থানীয় কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ নয়ন মারা যাওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে নয়নের মরদেহ আনার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশে স্বজনেরা রওনা হয়েছেন বলে জানান তিনি। নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত