Ajker Patrika

চাটখিলে নকল সেমাইয়ে সয়লাব বাজার

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
চাটখিলে নকল সেমাইয়ে সয়লাব বাজার

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নোয়াখালীর চাটখিল বাজারে রং মিশ্রিত নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি করা হচ্ছে। ব্র্যান্ডের সেমাই নকল করে ও বিভিন্ন লেবেল লাগিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব সেমাই বিক্রি হচ্ছে।

চাটখিলের শাহপুর বাজার, সোমপাড়া বাজার, খিলপাড়া বাজার, বদলকোট বাজার, জনতা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির সেমাইয়ের গায়ের মধ্যে দাম এবং মেয়াদের তারিখ স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান লাচ্ছা সেমাই বিক্রির নামে চলছে প্রতারণা। বিভিন্ন দোকানের ডিজিটাল পাল্লায় ওজনে এলোমেলো দেখা গেছে। 
চাটখিল বাজারের প্রায় দোকানেও নিষিদ্ধ ঘোষিত রং মিশ্রিত লাচ্ছা সেমাই বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্র্যান্ডের মধ্যে বনফুল, ড্যানিশ, স্টার লাইনসহ বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের সেমাই নকল করে লেবেল লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে মফস্বলের অনেক দোকানে।

দক্ষিণ রাজজাকপুর গ্রামের আজিজুল হক (৮৫) বলেন, ‘কোনটা নকল কোনটা আসল আমরা চিনতে পারি না। নোয়াখালা থেকে আলেয়া বেগম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তিনি বনফুল লাচ্ছা সেমাই কিনেছেন, কিন্তু পরে দেখা যায় সেটিতে লেখা রয়েছে বর্ণফুল। তিনি বলেন, ‘কোনটা আসল কোনটা নকল, সেটা তো আমি চিনতে পারিনি।’

পৌর শহরের ব্যবসায়ী বুলবুল পাটোয়ারী বলেন, গ্রামের অর্ধশিক্ষিত পুরুষ ও নারীদের নিকট বিভিন্ন দোকানদার নিম্নমানের ও ভেজাল সেমাই বিক্রি করে থাকেন, শিক্ষিত সমাজের কাছে সেটা সম্ভব হয় না। মফস্বলের মুদি ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, ‘সকল কোম্পানি আসি বলে আমারটাই ভালো, আসলে কোনটা ভালো-মন্দ সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি না, সকলেই চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে যান।’

এক প্রশ্নের জবাবে আরেক ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে কোনো নিম্নমানের সেমাই নেই এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই বিক্রি করি না।’একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, এসব নিম্নমানের ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই অনেক দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি করা উচিত।

চাটখিল পৌর মেয়র ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভিপি বলেন, নিম্নমানের ও ভেজাল সেমাই বিক্রি করলে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য নিয়ে আমরা প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকি এবং ভোক্তা অধিকার আইনে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত