Ajker Patrika

চুলের সুস্থতায় স্ক্যাল্প ডিটক্স

সানজিদা সামরিন, ঢাকা
Thumbnail image

‘স্ক্যাল্প ডিটক্স’ বলে একটা শব্দ আছে। একটু ভেঙে বললে, স্ক্যাল্প ডিটক্স মানে হলো—মাথার ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করা। আর তা সম্ভব ঘরে বসেই। চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখতে মাথার ত্বকের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অধিকাংশ সময়ই আমরা চুলের যত্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকি।ভুলে যাই মাথার ত্বকের কথা। মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ময়লা আর খুশকি যদি পরিষ্কার না হয়, তাহলে চুল ভালো রাখা কঠিন। স্ক্যাল্প ডিটক্স করতে পারলে মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহারে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পৌঁছাবে।

কেন স্ক্যাল্প ডিটক্স জরুরি
আমাদের মাথার ত্বকে মরা কোষ জন্মায়। নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও এই মরা কোষ সহজে অপসারণ করা সম্ভব হয় না। তাই মাথার ত্বকেরও এক্সফলিয়েশন জরুরি। এর মাধ্য়মে চুলের গোড়ায় আটকে থাকা সব ধরনের ময়লা, মরা কোষ ও তেল দূর হয়। সপ্তাহে এক দিন অন্তত স্ক্যাল্প ডিটক্স করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে নারকেল তেল খুব ভালো এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। তবে কত দিন পরপর স্ক্যাল্প ডিটক্স করতে হবে, তা স্ক্যাল্পের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। 

স্ক্যাল্প ডিটক্সের ৫ ধাপ
১. মাথার ত্বকে অল্প করে পানি স্প্রে করুন। এবার আঙুল দিয়ে মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এতে করে মাথার ত্বক থেকে ময়লা আলগা হতে থাকবে।

২. নারকেল তেল হালকা গরম করে আঙুল দিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী শারমিন কচি বলেন, ‘স্ক্যাল্প গভীরভাবে পরিষ্কারের জন্য চুল ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে। এরপর নারকেল তেল হালকা গরম করে এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে চুলের গোড়ায় সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে একটি শাওয়ার 
ক্যাপ দিয়ে পুরো চুল ঢেকে রাখুন।’

৩. মাথার ত্বকে ৩০ মিনিট তেল রাখার পর স্টিম নিতে হবে। মাথা থেকে শাওয়ার ক্যাপ খুলে নিন। সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে পুরো চুল জড়িয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এতে চুলের গোড়া থেকে ময়লা সহজে বেরিয়ে আসবে।

৪. চুল ধোয়ার জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু একটা বাটিতে ঢেলে আঙুল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ লাগিয়ে নিন। এরপর আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. স্ক্য়াল্প ডিটক্সের কাজ এখানেই শেষ। এবার চুলের আর্দ্রতা ও জেল্লার জন্য চুলে ভালো কোনো কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া থেকে এক ইঞ্চি বাদ রেখে তারপর কন্ডিশনার লাগাতে হবে। কারণ কন্ডিশনার শুধু চুলের জন্য, স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বকের জন্য নয়।

ছবি: মঞ্জু আলমডিটক্স প্যাক

  • ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল আর ১ চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলের গোড়ায় লাগান। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • ১টি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে ১ টেবিল চামচ অমন্ড অয়েল মেশান। মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে অপেক্ষা করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
  • মধুও মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে। নারকেল তেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য সপ্তাহে অনন্ত এক দিন হেয়ার মাস্ক লাগানো জরুরি।
  • নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। টি-ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও প্রদাহবিরোধী উপাদান, যা মাথার ত্বকের চুলকানি এবং অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  • শ্যাম্পু করার পর ভালো মানের কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত