রমজানে কোরআন তিলাওয়াত

কোরআন মজিদ মুসলমানদের জীবন পরিচালনা করার একমাত্র ঐশীগ্রন্থ। এ মহাগ্রন্থ তিলাওয়াত করা, বোঝা ও তদনুযায়ী আমল করা আবশ্যক। এ কাজকে এমন ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই; অথচ ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যেখানে কখনো ক্ষতি হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)

কোরআন তিলাওয়াত বড় নেকির কাজ। রমজান মাসে তা আরও অধিক নেকির কাজে পরিণত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো। প্রতিটি অক্ষর তিলাওয়াতের বিনিময়ে আল্লাহ তোমাদের দশ নেকি প্রদান করবেন। আমি আলিফ-লাম-মিমকে একটি অক্ষর বলব না। বরং আলিফ অক্ষরে দশ নেকি, লাম অক্ষরে দশ নেকি এবং মিম অক্ষরে দশ নেকি।’ (শুআবুল ইমান)

হাদিসের ভাষায়, রমজানের একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজের সমান এবং একটি ফরজ ইবাদত অন্য মাসের সত্তরটি ফরজের সমান। তাই এ মাসে কোরআন তিলাওয়াত করলে প্রতিটি অক্ষরে দশ নেকি পাওয়ার পাশাপাশি ফরজ ইবাদত পালনের মর্যাদা পাওয়া যায়। কোরআন তিলাওয়াত করা যেমন সর্বোত্তম নফল ইবাদত, তেমনি তা অন্যকে শিক্ষা দিলেও রয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়, সে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।’ (বুখারি) তিনি আরও বলেন, ‘কোরআন পাঠ করো। যে অন্তরে কোরআন থাকে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না।’ (দারেমি)

তাই অধিক নেকি লাভের আশায় রমজানে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা, এর মর্মার্থ উদ্‌ঘাটন করা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়