শেখ আবু হাসান, খুলনা
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সেতু। একটি স্বাধীন দেশের সক্ষমতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বাঙালি জাতির জন্য একটি মাইলফলক। এ সেতুর কারণে শুধু ২১ জেলার মানুষই উপকৃত হবে না, সারা দেশের মানুষই উপকৃত হবে। এ সেতু ঘিরে নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি হচ্ছে।
গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চেম্বার সভাপতি এসব কথা বলেছেন। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতি হিসেবে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে সম্মানের অধিকারী। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আমাদের প্রিয় নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা অসম্ভব ছিল। তিনি তা করে দেখিয়েছেন। এই সেতু নির্মাণের সব কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। তাঁকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবে না। সমগ্র জাতি আজ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী জানতে চাইলে চেম্বারের সভাপতি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যাতায়াত সহজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের গতির সঞ্চার হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াতের যে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পেয়ে আসছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় তার অবসান ঘটবে।
ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগ থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের শিল্পপতি ও উদ্যোক্তারা এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে জমি কেনা শুরু করেছেন। মোট কথা দেশি বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুত হয়ে আছেন। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ অঞ্চলে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য এ অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট প্রশস্তকরণ, নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ, বাইপাস সড়কসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে ব্যাপক শিল্পবিপ্লব ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এর ফলে এই অঞ্চলের দৃশ্যপটের আমূল পরিবর্তন হবে। মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
এ জন্য তিনি দেশের ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিল্প উদ্যোক্তারা যাতে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এর পাশাপাশি সরকারকেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। খুলনার বিমান বন্দর চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পর্যটন শিল্পে ব্যাপক গতির সৃষ্টি হবে। তিনি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
এ ছাড়া এ অঞ্চলের ৪টি বন্দর বেনাপোল, ভোমরা, মোংলা ও পায়রা বন্দর আরও গতশীল হবে। ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের এই বন্দরগুলোর প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সেতু। একটি স্বাধীন দেশের সক্ষমতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বাঙালি জাতির জন্য একটি মাইলফলক। এ সেতুর কারণে শুধু ২১ জেলার মানুষই উপকৃত হবে না, সারা দেশের মানুষই উপকৃত হবে। এ সেতু ঘিরে নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি হচ্ছে।
গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চেম্বার সভাপতি এসব কথা বলেছেন। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতি হিসেবে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে সম্মানের অধিকারী। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আমাদের প্রিয় নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা অসম্ভব ছিল। তিনি তা করে দেখিয়েছেন। এই সেতু নির্মাণের সব কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। তাঁকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবে না। সমগ্র জাতি আজ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী জানতে চাইলে চেম্বারের সভাপতি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যাতায়াত সহজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের গতির সঞ্চার হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াতের যে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পেয়ে আসছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় তার অবসান ঘটবে।
ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগ থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের শিল্পপতি ও উদ্যোক্তারা এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে জমি কেনা শুরু করেছেন। মোট কথা দেশি বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুত হয়ে আছেন। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ অঞ্চলে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য এ অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট প্রশস্তকরণ, নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ, বাইপাস সড়কসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে ব্যাপক শিল্পবিপ্লব ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এর ফলে এই অঞ্চলের দৃশ্যপটের আমূল পরিবর্তন হবে। মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
এ জন্য তিনি দেশের ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিল্প উদ্যোক্তারা যাতে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এর পাশাপাশি সরকারকেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। খুলনার বিমান বন্দর চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পর্যটন শিল্পে ব্যাপক গতির সৃষ্টি হবে। তিনি আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
এ ছাড়া এ অঞ্চলের ৪টি বন্দর বেনাপোল, ভোমরা, মোংলা ও পায়রা বন্দর আরও গতশীল হবে। ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের এই বন্দরগুলোর প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫