সাইফুল মাসুম, ঢাকা
হাতিরঝিল এলাকাকে রাজধানী ঢাকার ফুসফুস হিসেবে অভিহিত করেন পরিবেশ ও নগর–পরিকল্পনাবিদেরা। সাম্প্রতিক এক রায়ে হাতিরঝিলকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, হাতিরঝিলের পানি ও এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদকে কোনোভাবে ধ্বংস বা এর ক্ষতি করা যাবে না।
হাইকোর্টের এমন রায়ের পরও অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন মলিন হচ্ছে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য। এ ছাড়া নানা অসংগতির কারণে হাতিরঝিলের দর্শনার্থী ও পথচারীদের অসন্তোষ এবং ভোগান্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এ নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। গত বছরের ৩০ জুন থেকে হাতিরঝিল প্রকল্প দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছে সংস্থাটি।
বাণিজ্যিক দৌরাত্ম্যে হারাচ্ছে সৌন্দর্য
হাতিরঝিলের ৩১টি স্থান রেস্তোরাঁ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাতিরঝিল প্রকল্পের নকশাবিদ স্থপতি এহসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব স্থাপনা তাঁদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। অবৈধভাবে এসব স্থাপনা বসানো হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গা সীমিত করা হয়েছে। যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা ব্যক্তিস্বার্থে এসব কাজ করেছেন। এতে হাতিরঝিলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে।
এ নিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, হাতিরঝিল এলাকায় সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ বেআইনি ও অবৈধ। রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে এসব উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে এ রায় নিয়ে আপিল করেছে রাজউক। দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, হাতিরঝিল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকা লাগে। কিন্তু এ খাতে কোনো বরাদ্দ নেই। দোকানপাট ও অন্যান্য খাত থেকে বছরে ১০ কোটি টাকা আসছে। বাকি ৮ কোটি টাকাও রাজউকের পক্ষে ভর্তুকি দেওয়া কঠিন।
তবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের দাবি, কাগজে-কলমে যে টাকায় হাতিরঝিলের দোকানপাট ভাড়া দেওয়া হয়েছে, আদতে সেই ভাড়া বিশ্বাসযোগ্য নয়। অনিয়মের মাধ্যমে এসব স্থাপনা বসিয়ে রাজউকের কোনো কোনো কর্মকর্তা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অভিযোগ করে এই আইনজীবী বলেন, যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন, তাঁরাই উচ্ছেদ করতে চান না। তিনি আরও বলেন, হাতিরঝিল তো বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়। রাজউকের তো বিবেচনা করা উচিত হাতিরঝিলের কী অবস্থা এখন। মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব দোকানপাট তুলে দেওয়া উচিত।
লেকের পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ
হাতিরঝিল লেকে চলাচলকারী ‘ওয়াটার বোট’ এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই বোটের যাত্রীরা নিত্যদিনই অভিযোগ করেন লেকের পানির দুর্গন্ধ নিয়ে। দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হয় দর্শনার্থী ও চলাচলকারীদেরও। সরেজমিনে দেখা গেছে, লেকের পানিতে ভাসছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা। পানির রং কোথাও কালচে, কোথাও গাঢ় নীল। এ ছাড়া পুরো হাতিরঝিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন বর্জ্য, যার ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
লেকের পানি নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, হাতিরঝিল প্রথমে ডিজাইন করা হয়েছে ড্রেনেজ প্রজেক্ট হিসেবে। পরবর্তীকালে সড়ক যোগাযোগ ও সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়। এখন হাতিরঝিল বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কিন্তু ড্রেনেজ ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে না। ফলে স্যুয়ারেজ বর্জ্য সরাসরি ফেলার কারণে পানির মান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
অবৈধ যানবাহনে ভোগান্তি
রাজধানীর এক অংশ থেকে অন্য অংশে যানজটের বিপত্তি এড়িয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য হাতিরঝিলের বিকল্প নেই। এই এলাকায় গণপরিবহন হিসেবে চালু হয়েছে চক্রাকার বাস। কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই হাতিরঝিলে যাত্রী পরিবহনের জন্য চালু হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের রুট। এই রুটের আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল হয়ে রামপুরা মোল্লা টাওয়ার পর্যন্ত প্রতিদিন চলছে শতাধিক অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস, যার বেশির ভাগই ফিটনেসবিহীন।
হাতিরঝিল এলাকায় চক্রাকার বাস কাউন্টারের সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অবৈধ রুটের এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই হাতিরঝিলে জ্যাম হয়। অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে।’
নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা
সাম্প্রতিক সময়ে হাতিরঝিল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সিসি ক্যামেরা ও সড়কবাতি ঠিকভাবে কাজ না করায় গত কয়েক মাসে হাতিরঝিল এলাকায় ঘটে যাওয়া বেশ কিছু অপরাধমূলক ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ৮ জুন হাতিরঝিল থেকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কর্মীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একটি দৈনিক পত্রিকার একজন প্রতিবেদকের লাশ উদ্ধার হয় হাতিরঝিল থেকে। কিন্তু ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা অকেজো থাকায় এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। এ ছাড়া রাত-বিরেতে অনেকেই এই এলাকায় ছিনতাইকারীর কবল পড়েছেন।
তবে হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌসের দাবি, বেশির ভাগ সড়কবাতি ঠিক আছে। ৬৮টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে সচল রয়েছে ৫৭টি। নষ্ট হওয়া ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। হাতিরঝিলে অপরাধ কত বাড়ছে বা কমছে, আগে সেই তথ্য দেন।’
যা বলছেন রাজউক চেয়ারম্যান
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞার সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন জয়েন করেছি। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার সময় কিছু সিসি ক্যামেরা ও লাইটে সমস্যা ছিল। অনেকগুলো মেরামত করা হয়েছে। একটা টিম কাজ করছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলো মেরামত করা হবে।’
আদালতের নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ পরামর্শ আমরা মেনে নেব। দুই-একটা ইস্যু আছে, যেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে, সেটা নিয়ে আপিল করব। হাতিরঝিল যে পর্যায়ে রয়েছে তার চেয়ে মান উন্নত করব।’
অবৈধ যানবাহন এবং নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস বন্ধ করতে ট্রাফিক বিভাগ এবং হাতিরঝিল থানাকে চিঠি দিয়েছি। ডিবির প্রধানকে অনুরোধ করেছি তাঁর টিম পাঠাতে, যাতে সন্ধ্যার পর হাতিরঝিলে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।’
হাতিরঝিল এলাকাকে রাজধানী ঢাকার ফুসফুস হিসেবে অভিহিত করেন পরিবেশ ও নগর–পরিকল্পনাবিদেরা। সাম্প্রতিক এক রায়ে হাতিরঝিলকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, হাতিরঝিলের পানি ও এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদকে কোনোভাবে ধ্বংস বা এর ক্ষতি করা যাবে না।
হাইকোর্টের এমন রায়ের পরও অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন মলিন হচ্ছে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য। এ ছাড়া নানা অসংগতির কারণে হাতিরঝিলের দর্শনার্থী ও পথচারীদের অসন্তোষ এবং ভোগান্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এ নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। গত বছরের ৩০ জুন থেকে হাতিরঝিল প্রকল্প দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছে সংস্থাটি।
বাণিজ্যিক দৌরাত্ম্যে হারাচ্ছে সৌন্দর্য
হাতিরঝিলের ৩১টি স্থান রেস্তোরাঁ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাতিরঝিল প্রকল্পের নকশাবিদ স্থপতি এহসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব স্থাপনা তাঁদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। অবৈধভাবে এসব স্থাপনা বসানো হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গা সীমিত করা হয়েছে। যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা ব্যক্তিস্বার্থে এসব কাজ করেছেন। এতে হাতিরঝিলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে।
এ নিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, হাতিরঝিল এলাকায় সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ বেআইনি ও অবৈধ। রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে এসব উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে এ রায় নিয়ে আপিল করেছে রাজউক। দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, হাতিরঝিল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকা লাগে। কিন্তু এ খাতে কোনো বরাদ্দ নেই। দোকানপাট ও অন্যান্য খাত থেকে বছরে ১০ কোটি টাকা আসছে। বাকি ৮ কোটি টাকাও রাজউকের পক্ষে ভর্তুকি দেওয়া কঠিন।
তবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের দাবি, কাগজে-কলমে যে টাকায় হাতিরঝিলের দোকানপাট ভাড়া দেওয়া হয়েছে, আদতে সেই ভাড়া বিশ্বাসযোগ্য নয়। অনিয়মের মাধ্যমে এসব স্থাপনা বসিয়ে রাজউকের কোনো কোনো কর্মকর্তা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অভিযোগ করে এই আইনজীবী বলেন, যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন, তাঁরাই উচ্ছেদ করতে চান না। তিনি আরও বলেন, হাতিরঝিল তো বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়। রাজউকের তো বিবেচনা করা উচিত হাতিরঝিলের কী অবস্থা এখন। মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব দোকানপাট তুলে দেওয়া উচিত।
লেকের পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ
হাতিরঝিল লেকে চলাচলকারী ‘ওয়াটার বোট’ এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই বোটের যাত্রীরা নিত্যদিনই অভিযোগ করেন লেকের পানির দুর্গন্ধ নিয়ে। দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হয় দর্শনার্থী ও চলাচলকারীদেরও। সরেজমিনে দেখা গেছে, লেকের পানিতে ভাসছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা। পানির রং কোথাও কালচে, কোথাও গাঢ় নীল। এ ছাড়া পুরো হাতিরঝিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন বর্জ্য, যার ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
লেকের পানি নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, হাতিরঝিল প্রথমে ডিজাইন করা হয়েছে ড্রেনেজ প্রজেক্ট হিসেবে। পরবর্তীকালে সড়ক যোগাযোগ ও সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়। এখন হাতিরঝিল বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কিন্তু ড্রেনেজ ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে না। ফলে স্যুয়ারেজ বর্জ্য সরাসরি ফেলার কারণে পানির মান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
অবৈধ যানবাহনে ভোগান্তি
রাজধানীর এক অংশ থেকে অন্য অংশে যানজটের বিপত্তি এড়িয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য হাতিরঝিলের বিকল্প নেই। এই এলাকায় গণপরিবহন হিসেবে চালু হয়েছে চক্রাকার বাস। কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই হাতিরঝিলে যাত্রী পরিবহনের জন্য চালু হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের রুট। এই রুটের আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল হয়ে রামপুরা মোল্লা টাওয়ার পর্যন্ত প্রতিদিন চলছে শতাধিক অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস, যার বেশির ভাগই ফিটনেসবিহীন।
হাতিরঝিল এলাকায় চক্রাকার বাস কাউন্টারের সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অবৈধ রুটের এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই হাতিরঝিলে জ্যাম হয়। অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে।’
নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা
সাম্প্রতিক সময়ে হাতিরঝিল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সিসি ক্যামেরা ও সড়কবাতি ঠিকভাবে কাজ না করায় গত কয়েক মাসে হাতিরঝিল এলাকায় ঘটে যাওয়া বেশ কিছু অপরাধমূলক ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ৮ জুন হাতিরঝিল থেকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কর্মীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একটি দৈনিক পত্রিকার একজন প্রতিবেদকের লাশ উদ্ধার হয় হাতিরঝিল থেকে। কিন্তু ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা অকেজো থাকায় এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। এ ছাড়া রাত-বিরেতে অনেকেই এই এলাকায় ছিনতাইকারীর কবল পড়েছেন।
তবে হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌসের দাবি, বেশির ভাগ সড়কবাতি ঠিক আছে। ৬৮টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে সচল রয়েছে ৫৭টি। নষ্ট হওয়া ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। হাতিরঝিলে অপরাধ কত বাড়ছে বা কমছে, আগে সেই তথ্য দেন।’
যা বলছেন রাজউক চেয়ারম্যান
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞার সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন জয়েন করেছি। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার সময় কিছু সিসি ক্যামেরা ও লাইটে সমস্যা ছিল। অনেকগুলো মেরামত করা হয়েছে। একটা টিম কাজ করছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলো মেরামত করা হবে।’
আদালতের নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ পরামর্শ আমরা মেনে নেব। দুই-একটা ইস্যু আছে, যেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে, সেটা নিয়ে আপিল করব। হাতিরঝিল যে পর্যায়ে রয়েছে তার চেয়ে মান উন্নত করব।’
অবৈধ যানবাহন এবং নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস বন্ধ করতে ট্রাফিক বিভাগ এবং হাতিরঝিল থানাকে চিঠি দিয়েছি। ডিবির প্রধানকে অনুরোধ করেছি তাঁর টিম পাঠাতে, যাতে সন্ধ্যার পর হাতিরঝিলে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪