সম্পাদকীয়
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতা নিয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বড় একটি অংশকে অপহরণ করে এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন তারা এই অপহরণের কাজ করতে থাকে। পরাজয় এসে দোরগোড়ায় কড়া নাড়লেও তারা তাদের এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়নি।
একাত্তরের মার্চ মাস থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। অপারেশন সার্চলাইটে যার সূচনা, তা মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় অব্যাহত থাকে। কিন্তু পরাজয় আসন্ন জেনে তারা আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে দেয় মরণ ছোবল। এ ছিল জাতিকে মেধাশূন্য করার পাঁয়তারা।
একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, ডিসেম্বরের হত্যাযজ্ঞ একটি নীলনকশার ফল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মালিকের সামরিক সচিব রাও ফরমান আলী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকায় আরও নাম সংযোজন করে দালাল আলবদর বাহিনী। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, তখন পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকেরা সোচ্চার হয়েছিলেন, যাঁরা জ্ঞান ও মনীষা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের ওপরই হয়েছিল হামলা, তাঁরাই হয়েছিলেন জিঘাংসার শিকার। শুধু বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
নানা কারণেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের হোতাদের বিচার হয়নি অনেক দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও নির্দিষ্ট অপরাধে যারা অভিযুক্ত ছিল, তাদের মুক্তি দেননি। জিয়াউর রহমান যখন সিএমএলএ, তখন দালাল আইন বাতিল করে সব দালালকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর দেশ যখন মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে, তখন ধীরে ধীরে এই দালালেরাই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। খালেদা জিয়ার সরকারে আলবদর বাহিনীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ মন্ত্রী পর্যন্ত হন। বিচারহীনতার কারণে তাঁরা বহুদিন প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশ নিতে থাকেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার অনুযায়ী ইতিমধ্যে মানবাধিকারবিরোধীদের বিচারকাজ শুরু করেছেন। কারও কারও বিচার হওয়ার পর সাজা হয়েছে। কেউ দেশের বাইরে থাকায় তাদের শাস্তি কার্যকর হয়নি। কিন্তু এ রকম অপরাধ শাস্তিহীন থাকতে পারে না, সে কথা মাথায় নিয়েই পরবর্তীকালেও বিচার-প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
যাঁরা দেশের বনিয়াদ গড়ে দিতে পারতেন, তাঁদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী এবং দালাল আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতাসহ বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে তাঁদের দেখানো পথ বেয়ে চলবে, এই কামনা করি। এই মহৎ মানুষেরা যে আদর্শ ও কাজ রেখে গেছেন, সেগুলো যেন আমরা নিজেদের জীবনাচরণে মূর্ত করে তুলতে পারি। নইলে তাঁদের আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হবে না।
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতা নিয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বড় একটি অংশকে অপহরণ করে এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন তারা এই অপহরণের কাজ করতে থাকে। পরাজয় এসে দোরগোড়ায় কড়া নাড়লেও তারা তাদের এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়নি।
একাত্তরের মার্চ মাস থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। অপারেশন সার্চলাইটে যার সূচনা, তা মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় অব্যাহত থাকে। কিন্তু পরাজয় আসন্ন জেনে তারা আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে দেয় মরণ ছোবল। এ ছিল জাতিকে মেধাশূন্য করার পাঁয়তারা।
একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, ডিসেম্বরের হত্যাযজ্ঞ একটি নীলনকশার ফল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মালিকের সামরিক সচিব রাও ফরমান আলী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকায় আরও নাম সংযোজন করে দালাল আলবদর বাহিনী। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, তখন পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকেরা সোচ্চার হয়েছিলেন, যাঁরা জ্ঞান ও মনীষা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের ওপরই হয়েছিল হামলা, তাঁরাই হয়েছিলেন জিঘাংসার শিকার। শুধু বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
নানা কারণেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের হোতাদের বিচার হয়নি অনেক দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও নির্দিষ্ট অপরাধে যারা অভিযুক্ত ছিল, তাদের মুক্তি দেননি। জিয়াউর রহমান যখন সিএমএলএ, তখন দালাল আইন বাতিল করে সব দালালকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর দেশ যখন মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে, তখন ধীরে ধীরে এই দালালেরাই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। খালেদা জিয়ার সরকারে আলবদর বাহিনীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ মন্ত্রী পর্যন্ত হন। বিচারহীনতার কারণে তাঁরা বহুদিন প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশ নিতে থাকেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার অনুযায়ী ইতিমধ্যে মানবাধিকারবিরোধীদের বিচারকাজ শুরু করেছেন। কারও কারও বিচার হওয়ার পর সাজা হয়েছে। কেউ দেশের বাইরে থাকায় তাদের শাস্তি কার্যকর হয়নি। কিন্তু এ রকম অপরাধ শাস্তিহীন থাকতে পারে না, সে কথা মাথায় নিয়েই পরবর্তীকালেও বিচার-প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
যাঁরা দেশের বনিয়াদ গড়ে দিতে পারতেন, তাঁদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী এবং দালাল আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতাসহ বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে তাঁদের দেখানো পথ বেয়ে চলবে, এই কামনা করি। এই মহৎ মানুষেরা যে আদর্শ ও কাজ রেখে গেছেন, সেগুলো যেন আমরা নিজেদের জীবনাচরণে মূর্ত করে তুলতে পারি। নইলে তাঁদের আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪