চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী। দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গত শনিবার তিনটি নদীর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক সময়ের স্রোতসিনী বড়াল, চিকনাই ও গুমানী নদী শুকিয়ে গেছে। শুকনো মৌসুম না আসতেই নদীর বুকে এখন বোরোর বীজতলা। এগুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রভাব পড়েছে কৃষিকাজ আর ব্যবসা-বাণিজ্যে। নদীগুলো খনন না করার কারণেই এমন হাল হয়েছে বলে মনে করছেন বড়াল ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব এস এম মিজানুর রহমান।
বড়াল নদে গৃহস্থালি বর্জ্য, মুরগির খামারের বিষ্ঠা, পলিথিন ফেলায় তলদেশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ। অবৈধ দখলদারেরা যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। ধানসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করছেন বড়াল নদে।
নতুনবাজার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায়, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে বড়াল নদের এই করুণ পরিণতি।
এদিকে গুমানী নদীর তলদেশে ইরি ও বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। গুমানী শুকিয়ে এখন চৌচির। পানি না থাকায় নদীকেন্দ্রিক সব কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নদীর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর বুকে আবাদ করা ধান পাকা শুরু করেছে। গুমানী নদীর একাংশে খনন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ খননকাজ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। শুকিয়ে যাওয়া নদীর মাটি চলে যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে। নদীর অধিকাংশ এলাকার তলদেশে ধানের আবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এস এম মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নদী বাঁচাতে আন্দোলন করছি। বড়াল নদসহ এই অঞ্চলের সব নদ-নদী খননসহ পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি আমাদের।’
এস এম মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘নদীকে বানানো হচ্ছে ময়লার ভাগাড়। নদীতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। দখল তো আছেই। আমরা সামাজিক সংগঠন হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মমতাজ মহল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী। দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গত শনিবার তিনটি নদীর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক সময়ের স্রোতসিনী বড়াল, চিকনাই ও গুমানী নদী শুকিয়ে গেছে। শুকনো মৌসুম না আসতেই নদীর বুকে এখন বোরোর বীজতলা। এগুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রভাব পড়েছে কৃষিকাজ আর ব্যবসা-বাণিজ্যে। নদীগুলো খনন না করার কারণেই এমন হাল হয়েছে বলে মনে করছেন বড়াল ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব এস এম মিজানুর রহমান।
বড়াল নদে গৃহস্থালি বর্জ্য, মুরগির খামারের বিষ্ঠা, পলিথিন ফেলায় তলদেশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ। অবৈধ দখলদারেরা যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। ধানসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করছেন বড়াল নদে।
নতুনবাজার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায়, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে বড়াল নদের এই করুণ পরিণতি।
এদিকে গুমানী নদীর তলদেশে ইরি ও বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। গুমানী শুকিয়ে এখন চৌচির। পানি না থাকায় নদীকেন্দ্রিক সব কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নদীর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর বুকে আবাদ করা ধান পাকা শুরু করেছে। গুমানী নদীর একাংশে খনন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ খননকাজ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। শুকিয়ে যাওয়া নদীর মাটি চলে যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে। নদীর অধিকাংশ এলাকার তলদেশে ধানের আবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এস এম মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নদী বাঁচাতে আন্দোলন করছি। বড়াল নদসহ এই অঞ্চলের সব নদ-নদী খননসহ পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি আমাদের।’
এস এম মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘নদীকে বানানো হচ্ছে ময়লার ভাগাড়। নদীতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। দখল তো আছেই। আমরা সামাজিক সংগঠন হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মমতাজ মহল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪