Ajker Patrika

ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় মাছের আকাল দুশ্চিন্তায় শত জেলে পরিবার

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

হঠাৎ করেই সব ধরনের মাছের সরবরাহ কমেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি মাছবাজারে। মূলত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনায় মাছের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। এতে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ভাটা পড়ছে জেলেদের আয়-রোজগারে। বিপাকে পড়েছে শত শত জেলে পরিবার। 
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার নিবন্ধন করা জেলে রয়েছেন।

ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকমল হোসেন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, ভরা বর্ষাতেও নদে মাছের আকাল। আশায় বুক বেঁধে প্রতিদিন নদীতে জাল ফেললেও মিলছে না মাছ।

কুলকান্দী মাঝিমারা গ্রামের জেলে চাঁন মিয়া ও নজরুল বলেন, ‘যমুনায় জাল ফালাই, কিন্তু তেমন মাছ পাই না। যে পরিমাণ মাছ পাই, তা বেঁচে নৌকার তেলের খরচই ওঠে না।’

নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের সোনামুখি গ্রামের বাসিন্দা জেলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘যেখানে মাছ বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাই, সেখানে নিজেদের খাবার মাছটুকুও জুটছে না। মাছ না পাওয়ায় বাজারও ঠিকমতো করতে পারছি না। সরকারি কোনো সাহায্যও পাইনি।’

গাইবান্ধা ইউনিয়নের নয়া মালমারা গ্রামের মানিকজল মিয়া জানান, মাছ ধরেই সংসার চলে তাঁর, কিন্তু নদীতে এখন মাছ মিলছে না। তাই আয়-রোজগারও নেই।
অন্যদিকে উলিয়া বাজারে মাছ কিনতে আসা সাজু মিয়া বলেন, এলাকার মানুষজন যমুনার মাছ কিনে থাকে। কিন্তু যমুনায় মাছের আকাল দেখা দেওয়ায় চড়া দামে মাছ কিনতে হচ্ছে।

মাছ ব্যবসায়ী সুলতান আকন্দ বলেন, বাজারে আমদানি কম, তাই দাম বেশি। ফলে বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘হঠাৎ মাছের এমন আকাল কেন, সেই তথ্য আমাদের জানা নেই।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, জেলেদের জন্য প্রণোদনার কোনো বরাদ্দ নেই। তবে সরকারি বরাদ্দ পেলে জেলেদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে সরকারি বরাদ্দে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত