আল-আমিন রাজু, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা মো. সবুর হাওলাদার শয়ন। পেশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। ৫ নভেম্বর ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি বরিশালের রাজাপুর থেকে শাকুরা পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকায় আসেন। দীর্ঘ পথ ভ্রমণ শেষে দিবাগত রাত তিনটার দিকে গাবতলী এলাকার মাজার রোডে এসে নামেন। রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রিকশাটি মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকার চলন্তিকা মোড়ে পৌঁছামাত্র একটি প্রাইভেট কার এসে গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে এক যুবক নেমে এসে শয়নের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। এরই মধ্যে পেছন থেকে একজন শয়নের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে থাকা মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেন।
সেই রাতের অভিজ্ঞতার বিষয়ে শয়ন বলেন, ‘আমার রিকশা থামানোর পর একজন এসে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। অপর একজন পেছন দিক থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে। আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়নি। পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। আমার গলায় ফাঁস লেগে যায়। আর একটু সময় থাকলে আমি মরে যেতাম। গামছাটা খুলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় পাঁচ মিনিট আমি চোখে কিছু দেখছিলাম না। পরে আমার সঙ্গে থাকা রিকশাচালকের সহযোগিতায় বাসায় আসি।’
ছিনতাইকারীদের ভয়ে আর মামলা করেননি উল্লেখ করে শয়ন বলেন, ‘বাসার কাছাকাছি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। পরবর্তী সময়ে ওরা আবার কোনো ক্ষতি করতে পারে, এই ভেবে থানায় যাইনি। মনের ভেতর ভয় কাজ করত।’
রাজধানীতে রাত আর দিনের চিত্র আলাদা। সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শহরবাসীর ব্যস্ততা। আবার দিন শেষে রাতের অন্ধকার গভীর হতেই নীরবতায় ঢেকে যায় রাজধানীর অলিগলি থেকে রাজপথ। দিনের ব্যস্ততা থেকে রাতের নীরবতায় শহরে জেগে ওঠে একদল সুযোগ সন্ধানী। ঘাপটি মেরে থাকে বিশেষ প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকা পথচারীদের ওপর হামলে পড়তে। সুযোগ পেলেই লুটে নেয় সর্বস্ব। যেমনটি ঘটেছে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে বের হওয়া মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদারের (৫১) ভাগ্যে। একদল কিশোর ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নির্মম মৃত্যু হয় তাঁর।
বাসিন্দারা বলছেন, শেষ রাত থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সবই ফাঁকা থাকে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তেমন একটা সক্রিয় থাকেন না। টহল পুলিশের উপস্থিতি তেমন দেখা যায় না। পুলিশের চেকপোস্ট রাতের শুরুতে যেমন সক্রিয় থাকে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেমনটাই নিষ্ক্রিয়। ফলে এই সময়টা অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গত সোমবার রাত আড়াইটা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার এসআই রবিউল আলমের নেতৃত্বে একটি টহল দল বিজয় সরণি মোড় এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে। কাছে যেতেই দেখা গেল গাড়ি বন্ধ করে টহল দলের সদস্যরা ঘুমাচ্ছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেগে ওঠেন তাঁরা।
এমন ঢিলেঢালা টহলের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই রবিউল আলম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কোথাও কোনো যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমরা সার্বক্ষণিক টহলের ওপর থাকি। আমাদের এলাকা হলো বিজয় সরণি থেকে মহাখালী ডিওএইচএস পর্যন্ত।
মাত্র টহল দিয়ে আসলাম। আবার আমরা যাব।’
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘টহল টিমের মনিটরিং করার বিষয়টি ডিজিটালাইজেশন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কে কোথায় আছে, কী করছে, ডিউটি অফিসাররা কাজ করছে কি না। এটাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিটি জোনাল ডিসি, এডিসি ও এসিদের বলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কাজ চলছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ছিনতাইকারীদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের যোগসাজশ রয়েছে। যাঁরা ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ভাগ-বাঁটোয়ারা পান, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যে এলাকাগুলোতে দূরপাল্লার পরিবহনে করে যাত্রীরা আসেন, সেখানে নিরাপত্তায় পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে।
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা মো. সবুর হাওলাদার শয়ন। পেশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। ৫ নভেম্বর ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি বরিশালের রাজাপুর থেকে শাকুরা পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকায় আসেন। দীর্ঘ পথ ভ্রমণ শেষে দিবাগত রাত তিনটার দিকে গাবতলী এলাকার মাজার রোডে এসে নামেন। রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রিকশাটি মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকার চলন্তিকা মোড়ে পৌঁছামাত্র একটি প্রাইভেট কার এসে গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে এক যুবক নেমে এসে শয়নের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। এরই মধ্যে পেছন থেকে একজন শয়নের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে থাকা মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেন।
সেই রাতের অভিজ্ঞতার বিষয়ে শয়ন বলেন, ‘আমার রিকশা থামানোর পর একজন এসে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। অপর একজন পেছন দিক থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে। আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়নি। পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। আমার গলায় ফাঁস লেগে যায়। আর একটু সময় থাকলে আমি মরে যেতাম। গামছাটা খুলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় পাঁচ মিনিট আমি চোখে কিছু দেখছিলাম না। পরে আমার সঙ্গে থাকা রিকশাচালকের সহযোগিতায় বাসায় আসি।’
ছিনতাইকারীদের ভয়ে আর মামলা করেননি উল্লেখ করে শয়ন বলেন, ‘বাসার কাছাকাছি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। পরবর্তী সময়ে ওরা আবার কোনো ক্ষতি করতে পারে, এই ভেবে থানায় যাইনি। মনের ভেতর ভয় কাজ করত।’
রাজধানীতে রাত আর দিনের চিত্র আলাদা। সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শহরবাসীর ব্যস্ততা। আবার দিন শেষে রাতের অন্ধকার গভীর হতেই নীরবতায় ঢেকে যায় রাজধানীর অলিগলি থেকে রাজপথ। দিনের ব্যস্ততা থেকে রাতের নীরবতায় শহরে জেগে ওঠে একদল সুযোগ সন্ধানী। ঘাপটি মেরে থাকে বিশেষ প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকা পথচারীদের ওপর হামলে পড়তে। সুযোগ পেলেই লুটে নেয় সর্বস্ব। যেমনটি ঘটেছে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে বের হওয়া মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদারের (৫১) ভাগ্যে। একদল কিশোর ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নির্মম মৃত্যু হয় তাঁর।
বাসিন্দারা বলছেন, শেষ রাত থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সবই ফাঁকা থাকে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তেমন একটা সক্রিয় থাকেন না। টহল পুলিশের উপস্থিতি তেমন দেখা যায় না। পুলিশের চেকপোস্ট রাতের শুরুতে যেমন সক্রিয় থাকে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেমনটাই নিষ্ক্রিয়। ফলে এই সময়টা অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গত সোমবার রাত আড়াইটা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার এসআই রবিউল আলমের নেতৃত্বে একটি টহল দল বিজয় সরণি মোড় এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে। কাছে যেতেই দেখা গেল গাড়ি বন্ধ করে টহল দলের সদস্যরা ঘুমাচ্ছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেগে ওঠেন তাঁরা।
এমন ঢিলেঢালা টহলের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই রবিউল আলম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কোথাও কোনো যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমরা সার্বক্ষণিক টহলের ওপর থাকি। আমাদের এলাকা হলো বিজয় সরণি থেকে মহাখালী ডিওএইচএস পর্যন্ত।
মাত্র টহল দিয়ে আসলাম। আবার আমরা যাব।’
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘টহল টিমের মনিটরিং করার বিষয়টি ডিজিটালাইজেশন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কে কোথায় আছে, কী করছে, ডিউটি অফিসাররা কাজ করছে কি না। এটাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিটি জোনাল ডিসি, এডিসি ও এসিদের বলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কাজ চলছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ছিনতাইকারীদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের যোগসাজশ রয়েছে। যাঁরা ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ভাগ-বাঁটোয়ারা পান, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যে এলাকাগুলোতে দূরপাল্লার পরিবহনে করে যাত্রীরা আসেন, সেখানে নিরাপত্তায় পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪