Ajker Patrika

আজই কি সিরিজ বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ০৫
আজই কি সিরিজ বাংলাদেশের

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সোনালি সময়ের কথা বললে সবার আগে আসবে ২০১৫ সাল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ থেকে ফিরে ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জয়। তিনটিই ‘বিশেষ’। প্রথমবার এই তিন ক্রিকেট পরাশক্তির বিপক্ষে সিরিজ জয় বলে কথা।

তবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় একটু বেশিই স্মরণীয় হয়ে থাকার কথা। প্রথমবার সিরিজ জয়ের ব্যাপার তো ছিলই। মেলবোর্নের সেই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রেক্ষাপটও তাতিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ দলকে। এবারও একই উপলক্ষ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিতলেই সিরিজ জয়ের উৎসব করবে স্বাগতিকেরা। হারলেও সুযোগ থাকবে।

তবে চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত নিশ্চয়ই অপেক্ষা করতে চাইবে না বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর মানসিকভাবেও এগিয়ে থাকার কথা লিটন দাসদের। ভারত ১৮৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরে সেটি হেলে যায় ভারতের দিকে। খাদের কিনারা থেকে যেভাবে মেহেদী হাসান মিরাজ দলকে জিতিয়েছেন, তাতে অবাক ভারতীয়রা।

ভারতের বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ বাংলাদেশ অনেকবারই ফসকেছে। এবার ঠিক বিপরীত ছবি, হারতে হারতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতার পর গতকাল অনুশীলনে চনমনে বাংলাদেশের দেখাই মিলেছে। অনুশীলনে ফিরেছেন পিঠের চোটে থাকা তাসকিন আহমেদ। তবে এই ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ২৭ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারকে ঝুঁকি নিতে চায় না দল। আর জয়ী সমন্বয়ও ভাঙার পক্ষে নয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

প্রথম ওয়ানডেতে তাসকিনের জায়গায় নেওয়া ইবাদত হোসেন ভালো কিছু করতে না পারলে হয়তো ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে হতো টিম ম্যানেজমেন্টকে। সমন্বয় নিয়ে ভাবনা না থাকলেও সিরিজ জয়ের কাজটা সহজ হবে না বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচ হারের পরও ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস সে কথাই বলছে। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন পর্যন্ত আটবার প্রথম ম্যাচ হেরেও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখেছে ভারত। এর মধ্যে গত চার বছরে এমনটা হয়েছে চারবার। যার সর্বশেষটি গত মাসে। প্রতিপক্ষ? দক্ষিণ আফ্রিকা।

লক্ষ্ণৌতে প্রথম ম্যাচ হারের পর রাঁচি আর দিল্লিতে শেষ দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

পরিসংখ্যানটা সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডমিঙ্গো জেনে এসেছিলেন কি না কে জানে। গতকাল বাংলাদেশ দলের প্রোটিয়া কোচ বললেন, ‘এটা (সিরিজ জয়) সহজ হবে না।

ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। তারা ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা ভালোভাবেই জানে।’ গত মে মাসে সর্বশেষ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন ডমিঙ্গো। এরপর নানা ঘটনার ঘনঘটায় অনেকটা আড়ালেই ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ দল ব্যস্ত ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। তাঁকে সরিয়ে এই সংস্করণের দায়িত্ব দেওয়া হয় শ্রীধরন শ্রীরামকে।

তবু দল জেতায় সব সময়ের মতো এ দিনও সংবাদ সম্মেলনে বেশ সপ্রতিভ ছিলেন ডমিঙ্গো। অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে তাঁর দল ওয়ানডেতে যে স্বস্তিবোধ করে, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কতটা স্বচ্ছন্দে ছিল, সে প্রশ্ন থাকছে। না হলে ডমিঙ্গো কি আর বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের চেয়ে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা যদি স্নায়ুর পরীক্ষায় উতরে যেতে পারি, তাহলেই লাইনটা পেরোতে পারব।’

‘লাইন’টা পেরিয়ে গেলেই আজই হয়তো ২০১৫-এর স্মৃতি ফিরবে মিরপুরে। সেবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই সুযোগ সাকিব-লিটনদের সামনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত