Ajker Patrika

‘চুরি-ডাকাতি করতে ভেঙে ফেলা হয়েছে সড়কবাতি’

বরুন কান্তি সরকার, নাসিরনগর 
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সড়কের প্রায় সাত লাখ টাকা মূল্যের এক ডজন সৌরবাতি ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার নাসিরনগর-তিলপাড়া সড়কের এই বাতিগুলো ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটছে। চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকে নির্বিঘ্ন করতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এমনটা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সড়কে প্রায়ই ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় তাঁদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলা সদর থেকে প্রতিদিনই বুড়িশ্বর, গুনিয়াউক, চাপরতলা, পূর্বভাগ ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে আনন্দপুর-তিলপাড়া সড়কে প্রায়ই চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে শীতকাল এলেই ঘন কুয়াশায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারীর উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। এসব রোধে উপজেলা প্রশাসন সড়কটিতে সৌরবাতি বসিয়েছে। এরপর চুরি-ডাকাতির ঘটনা কিছুটা কমলেও সম্প্রতি ডাকাতের দল এ রাস্তার প্রায় এক ডজন সড়কবাতি রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের ২০ ফুট উঁচু ল্যাম্পপোস্টের কোনোটিতে বাতি আছে সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি নেই, কোনোটির ব্যাটারি-বাতি কিছুই নেই। আবার কোনোটির বাতি-ব্যাটারি সব আছে, কিন্তু ভাঙা। এসব ভাঙা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই এই সড়ক দিয়ে সাধারণ জনগণ যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াতের মাধ্যম এই রাস্তা।

বিভিন্ন সময়ে এই রাস্তায় নারী, শিশু থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদেরাও ডাকাতের কবলে পড়েছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শীতের মৌসুম এলেই এই রাস্তায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যায়।

স্থানীয় রূপক সরকার জানান, প্রায়ই ডাকাতেরা সবকিছু নিয়ে যায়। কিছু না পেলে মেরে গুরুতর আহত করে।

আজদু মিয়া বলেন, ‘সড়কটিতে বেশি বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ জন্য সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু লাইটগুলো ডাকাতেরা ভেঙে ফেলেছে। এ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’

বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’

উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগেও কয়েকবার একটি চক্র সড়কের বাতিগুলো ভেঙেছে। তবে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আমি লাইটগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করব।’

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত